বিশ্বব্যাংকের ২৫ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা
করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিশ্বব্যাংক এবার বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা দিচ্ছে। বর্তমান বাজারদরে দেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় সোয়া ২ হাজার কোটি টাকা। পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। সুদের হার এক দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং সার্ভিস দশমিক ৭৫ শতাংশ।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) সংস্থাটির সঙ্গে এ বিষয়ে একটি ঋণচুক্তি সই করেছে সরকার। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মোহাম্মদ আনিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। পরিকল্পনা কমিশনে ইআরডির সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
ইআরডি থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ফাস্ট রিকভারি অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট (ডিপিসি১) কর্মসূচির আওতায় বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) থেকে এই ঋণ পাবে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, ডিপিসি সিরিজের আওতায় দুই বছরে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) ২৫ কোটি ডলার এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৫ কোটি ডলার। বিশ্বব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিটে দুটি মূল বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। একটি হচ্ছে সরকারের রাজস্ব ও আর্থিক খাত, অন্যটি হচ্ছে সহনশীল অর্থনীতির জন্য জীবন ও জীবিকা।
কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক উত্তরণ এবং উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে এই ঋণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। এর মাধ্যমে করোনা পরবর্তী পুনরুদ্ধারের জন্য একটি আর্থিক উদ্দীপনা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সহায়তা করার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা বাড়াবে।
করোনার বিরূপ প্রভাব থেকে কার্যকরভাবে উত্তরণে সরকার অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প, কৃষি খাত ও রপ্তানিমুখী শিল্পে প্রণোদনা দেওয়াসহ খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি করেছে। বিশ্বব্যাংকের বাজেট সহায়তার এই ঋণ সরকার করোনার পুনরুদ্ধারে নেওয়া কর্মসূচিতে সহনশীল অর্থনীতির জন্য জীবন ও জীবিকায় ব্যয় করবে।
জেডএ/আরএ/