জনশুমারির রিপোর্ট প্রকাশে কারো যাতে গাফিলতি না থাকে
জনশুমারির ফলাফল প্রকাশে যেন দেরি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলনকক্ষে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। কারো গাফিলতি যেন ধরা না পড়ে। তবে এ মহৎ কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন সারাদেশে ষষ্ঠ জনশুমারি শুরু হবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের মতোই সবাইকে এ কাজে সম্পৃক্ত করা হবে। কারণ এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কৃষক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সাংবাদিক সবাইকে যুক্ত করা হবে এ কাজে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই এখানে এবার সময়ের কাজ সময়ে করা হবে। তবে কেনাকাটা করতে গিয়ে হোঁচট খেতে হচ্ছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে জবাবদিহি নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকারপ্রধানকে জানানো হয়েছে। এ কাজ সম্পন্ন করতে প্রধানমন্ত্রীও সায় দিয়েছেন।
তিনি বলেন, জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রসারিত হচ্ছে। তাহলে কেন আমরা পিছিয়ে থাকব। পৃথিবীতে ১০ বছরের কম সময় লাগে জনশুমারিতে। তাই আমরাও ১০ বছরের কম সময়ে পরবর্তী শুমারি করার চেষ্টা করব।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে রিপোর্টের সব পর্যায়ে বাংলায় করতে হবে। কোনো আবেগ নয়। বিদেশিদের জন্য দরকার হলে ইংরেজি ভার্সনে করা হবে। তবে ভয়ঙ্কর কোনো কিছু ছাপানো যাবে না। বিবিএসের ছাপাখানায় সাধারণভাবে চূড়ান্ত রিপোর্ট ছাপাতে হবে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ডক্টর শামসুল আলম বলেন, এ বিশাল কর্মযজ্ঞ ডিজিটাল পদ্ধতিতে হবে। উন্নত দেশেও ১০ বছরের পরিবর্তে পাঁচ বছর হয়। তাই আমরা এ পর্যায়ে চলে আসব। এ জনশুমারিতে সব তথ্য তুলে ধরা হবে। তার ভিত্তিতে পরবর্তীতে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা সচিব ডক্টর শাহনাজ আরেফিন বলেন, করোনার কারণে ২০২১ সালে ষষ্ঠ শুমারি আরম্ভ করা হয়নি। তাই দেরিতে ২০২২ সালে শুরু করা হচ্ছে এ শুমারি। তবে এটি এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা হচ্ছে। শতভাগ তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলে মাইকিং ও মসজিদ-মন্দিরে এ শুমারির প্রচার করা হবে। যাতে সবাই সম্পৃক্ত হয়ে অংশ নিতে পারেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৭৪ সালে প্রথম জনশুমারি শুরু হয়। এরপর প্রতি ১০ বছর পরপর হয়। সর্বশেষ ২০১১ সালে হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে ২০২১ সালে সম্ভব হয়নি। যা এক বছর পর এই বছরের ১৫ থেকে ২১ জুন সাত দিনব্যাপী শুরু হতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২।
জেডএ/এসএন