খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে বীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হতে হবে
স্থানীয়ভাবে মাত্র ৭ শতাংশ বীজ উৎপাদিত হয়। বাকি ৯৩ শতাংশই আমদানি করতে হয়। এমন অবস্থায় বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই করতে নিজস্ব বীজ উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ এসেছে এফবিসিসিআই’র কৃষি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তক শিল্প সম্পর্কিত স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম বৈঠকে। বুধবার (৬ মার্চ) মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে প্রধান অতিথি এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কোন দেশের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোভিড মহামারিকালীন কৃষির উৎপাদনে উপর ভর করেই বাংলাদেশের অর্থনীতি তূলনামূলক ভালো অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছে।
সভাপতি আরও বলেন, ‘সরকার কৃষিভিত্তিক শিল্পকে রপ্তানিমুখী শিল্পে পরিণত করার উদ্যোগ নিয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যক্তিখাতের উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। বিদেশে বাংলাদেশের কৃষিপণ্য রপ্তানি হলেও সেগুলোর ক্রেতা মূলত প্রবাসী বাংলাদেশিরাই। মূল বাজারে কেন এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে না তা জানতে লন্ডনের বাজারে গবেষণার জন্য পিডব্লিউসকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গবেষণার তথ্য পাওয়ার পর, বিদেশের বাজারে বাংলাদেশি কৃষিপণ্য রপ্তানি আরও বাড়ানো সম্ভব। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসিভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে হালাল খাবার নিতে আগ্রহী। তাই এই খাতেও প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে'।
কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ ড. ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘বীজের ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বীজ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জনের জন্য দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ প্রয়োজন। তাই এ খাতে সরকারি সহযোগিতা দরকার।
কমিটির কো-চেয়ারম্যান তাসফিয়া জসিম বলেন, ‘কৃষিখাতে শ্রমশক্তির ৫৪ শতাংশই নারী। এই বিপুল সংখ্যক শ্রমিকের পুরুষের সমান মজুরি এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। একই সঙ্গে নারীদের ভূমির মালিকানা ১০ শতাংশ বা তারচেয়েও কম। কৃষিখাতে টেকসই উন্নয়নে নারীর অবদানের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি জরুরি।’
এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ‘স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে পাওয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। কৃষিখাতের উন্নয়নে এফবিসিসিআইর পক্ষ থেকে যেকোন সহায়তার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।’ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবুল হাশেম জানান, ‘শিগগিরই স্ট্যান্ডিং কমিটির উদ্যোগে একটি জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করা হবে।’
জেডএ/