বাজারে চলছে খোলা তেলের সংকট
রমজানের প্রথম ও দ্বিতীয় রোজায় লেবুর ডজন সেঞ্চুরি, বেগুন ও মরিচের কেজিও সেঞ্চুরি হয়ে যায়। তৃতীয় রমজানে এ সব পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। তবে বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের সংকট এখনো চরমে।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) ১০০ টাকার বেগুনের কেজি কমে হয়েছে ৪০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। ১০০ থেকে মরিচের দামও কমে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, ১০০ টাকার লেবুর ডজন কমে বিক্রি করা হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। ৭০ টাকা কেজির শসা কমে হয়েছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা।
এদিকে পেঁয়াজের দামও অনেক কমে গেছে। তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে ২৫ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে খোলা সয়াবিন তেল এখনো বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার দাম ১৪০ টাকা লিটার নির্ধারণ করলেও সে দামে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কোথাও কোথাও ৩ থেকে ৫ টাকা বেশি দিলে ১৪৫ টাকা লিটার পাওয়া যাচ্ছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) কাওরান বাজারের বাস্তব চিত্র হচ্ছে এটি।
রমজানের কারণে আগে ছোলার দাম অনেক বাড়লেও বর্তমানে কেজিতে ৫ টাকা কমে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
রমজান উপলক্ষে ভোজ্যতেলের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। এর সুযোগ নিয়ে মিলমালিকরা অনেক আগেই তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এভাবে দাম বাড়তে থাকায় দেশেও হইচই পড়ে যায়। ফলে সরকার দাম নির্ধারণ করে দেয় তেলের। সরকার ও মিলমালিকরা খোলা সয়াবিন তেল ১৪০ টাকা দাম নির্ধারণ করে। কিন্তু বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানি থেকে সাপ্লাই দিচ্ছে না। তাই আমরা বিক্রি করতে পারছিনা। আমাদের কাছে নেই। তবে কোনো কোনো দোকানে সরকার নির্ধারিত দামের বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা লিটার। জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের ভাই ভাই স্টোরের জসিম বলেন ১৪৫ টাকা লিটার হলে বিক্রি করা যাবে। তবে পাম অয়েলের গ্রাহক ছোট ছোট ব্যবসায়ী, হোটেল মালিক। কিন্তু মিলমালিকদের গুরুত্ব নেই। তারা বিক্রেতাদের সরবরাহ করছেন না, তাই আমরা পাচ্ছি না।
রমজানের আগেই ছোলার দাম বেড়ে গিয়েছিল। চিনির দাম খোলাটা ৭৮ টাকা, প্যাকেট চিনি ৮৫ টাকা কেজি বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, দাম কমলে আমরাও কম দামে বিক্রি করব। তেলের মতো সরকার উদ্যোগ নিলে চিনির দামও কমতে পারে।
জেডএ/আরএ/