মার্চে বেড়েছে রেমিট্যান্স
বিভিন্ন কারণে কয়েক মাস দেশে রেমিট্যান্স কমলেও মার্চ মাসে বেড়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের চেয়ে এটা ২৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি এসেছে। ঈদকে সামনে রেখে প্রবাসীরা বেশি করে পাঠাচ্ছেন তাদের আয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, করোনাকালে অনেকে স্বজনদের কাছে বেশি করে ডলার পাঠাতে থাকেন। এ কারণে গত অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে দেশে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। যা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।
কিন্তু চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স প্রবাহে ভাটা পড়ে।প্রথম মাস জুলাইয়ে আসে ১৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার। আগস্টে আসে ১৮১ কোটি ডলার।সেপ্টেম্বরে আসে ১৭২ কোটি ৬২ লাখ ডলার।অক্টোবরে আসে ১৬৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার। নভেম্বরে আসে আরও কম, ১৫৫কোটি ৩৭ লাখ ডলার। এভাবে বাড়তে থাকে রেমিটেন্স।
ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে এসেছিল যথাক্রমে ১৬৩ কোটি ৬ লাখ ও ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।জানুয়ারিতে বাড়লেও ফেব্রুয়ারিতে ফের কমে যায়। ওই মাসে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সামনে দুটি ঈদ উৎসব। তাই স্বজনদের কাছে প্রবাসীরা পাঠাচ্ছেন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, মার্চ মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার।বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৮ লাখ ডলার।
৪২টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৪৮ কোটি ৭৩ লাখ ডলার।আর পাঁচটি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার। এদিকে রেমিট্যান্স বাড়তে থাকায় রিজার্ভও বাড়ছে।
রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় গত রবিবার রিজার্ভ ৪৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। এটা দিয়ে বর্তমানের আমদানির খরচ হিসাবে পাঁচ মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে।
জেডএ/এমএমএ/