এক সংস্থার মনিটরিং চান রেস্তোরাঁ মালিকরা
দেশের রেস্তোরাঁগুলোকে ১২টি সংস্থা মনিটরিং করার কারণে সমন্বয়হীনতা, অযাচিত হস্তক্ষেপ ও বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হচ্ছে উল্লেখ করে রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা একটি সংস্থার অধীনে রেস্তোরাঁগুলোকে আনার দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়েছে। এ সময় তারা স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণও চান।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এতোগুলো সংস্থার দ্বারা যে অরাজকতা চলছে। কারও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারকে বাস্তবায়ন না করার জন্য কোনো একটা পক্ষ ষড়যন্ত্র করে এ অবস্থা তৈরি করেছে। তাই অবিলম্বে টাস্কফোর্স বা কমিশন গঠন করে একটি সংস্থার অধীনে রেস্তোরাঁগুলোকে আনতে হবে। না হলে আমরা আমাদের ব্যবসা বন্ধ করে সমস্ত রেস্তোরাঁর চাবি জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করব।
ইমরান হাসান বলেন, ‘আমাদের সেক্টরের ৯৫ শতাংশ কর্মী অদক্ষ, স্বল্প শিক্ষিত। তাদের আগে ট্রেনিং দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। আমাদের একটি পুর্ণাঙ্গ গাইডলাইন হিসেবে এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর) দিন। এভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোনোদিনই খাদ্যের মান ভালো করা যাবে না। জরিমানা করা, হাতে হাতকড়া লাগানো কোনো সমাধান নয়।’
সমিতির মহাসচিব বলেন,করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত সেক্টরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে রেস্তোরাঁগুলোর। তারপরেও আমরা সরকারের কোনো প্রণোদনা, সাহায্য পাইনি। এখন আমরা সরকারের কাছে এসএমই খাত থেকে স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ চাই। তা না পেলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ভ্যাট-ট্যাক্সের নামে অত্যাচার-অনাচার সব কিছু মিলে এখন আমাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করা ছাড়া বিকল্প নেই।
সমিতির সভাপতি ওসমান গনি বলেন, আমাদের যদি কোনো ভুল থাকে তবে সেটা সংশোধন করে দিন। সময় দেন সবকিছু ঠিকভাবে চালানোর জন্য। কিন্তু দীর্ঘদিনের এ সব ব্যবসায়ীকে রাস্তায় নামিয়ে দেবেন না। আমরা হয়রানি-প্রতিবন্ধকতা ছাড়া সুন্দরভাবে ব্যবসা করতে চাই।
এ সময় সংগঠনের প্রথম যুগ্ম মহাসচিব ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ তৌফিকুল ইসলাম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আন্দালিবসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেডএ/আরএ/