সোমবার, ৯ জুন ২০২৫ | ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিশ্ববাজারের চেয়ে দেশে জিনিসপত্রের দাম বেশি: সিপিডি

বিশ্ব বাজারের তুলনায় বাংলাদেশে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ প্রায় সব পণ্যের দাম বেশি। সুশাসনের অভাব ও বাজার কারসাজির কারণে এই অবস্থা হয়েছে। এ বাড়তি দামের চাপ মানুষের উপর পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশে গরীব মানুষের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।

রবিবার (২০ মার্চ) বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ ( সিপিড) এর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতির এ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির সম্মেলন কক্ষে এ ব্যাপারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। আলোচক ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনসহ অন্যরা।

পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি কোন পথে শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কোভিড-১৯ অতিমারী বৈশ্বিক অর্থনীতিকে বিভিন্ন মাত্রার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে। সামাজিক দুরত্বসহ জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনা করে নেওয়া পদক্ষেপগুলি অর্থনীতির চাহিদা এবং যোগান উভয় দিককেই দুর্বল করে তুলেছে। এই করোনার সঙ্গে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের তাপেও দেশে বিভিন্ন জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুশাসনের অভাব ও বাজার সিন্ডিকেটে বাড়াচ্ছে দাম। যা বিশ্বের তুলনায় অনেক বেশি। অথচ আমাদের চেয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের গড় আয় অনেক বেশি।
ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, দেশে একদিকে নিত্যপণ্যের আকাশ চুম্বি দাম, অন্যদিকে, মুল্যস্ফীতি স্থিতিশীল। এটা আশ্চর্যের বিষয়। কারণ সারা বিশ্বে মুল্যস্ফীতি বাড়ছে, এটা আকাশ চুম্বি। অথচ আমাদের দেশে ৬ শতাংশের বেশি না। এটা বাজারের সঠিক চিত্র প্রকাশ করে না। কারণ কোনো কোনো পণ্যের দাম ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ বেড়েছে। চাল, ডাল পেঁয়াজ তেলের দাম দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ হয়েছে। তারপরও মুল্যস্ফীতি স্থিতিশীল দেখা যায। মানুষের আয় বাড়লেও প্রকৃত আয় কম হওয়ায় ক্রয় ক্ষমতা কমেছে দেশে।’

সিপিডি বলছে, ‘গত এক বছরে দেশে প্রায় ৮৪ শতাংশ জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। যেখানে বিশ্ব বাজারে এর দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ। জ্বালানির এই বাড়তি দাম মেটাতে দেশকে চাপে পড়তে হবে।


ফাহমিদা বলেন, ‘ খাদ্য ও খাদ্য বহিভূত মিলে মনে হচ্ছে মূল্যস্ফীতি তেমন বাড়ছে না। কিন্তু আসলে সব জিনিসের দাম তো বাড়ছে। তাহলে মোটের উপর মূল্যস্ফীতি আরও বেশি । তাইতো মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। মিনিকেট, পাইজাম ও ইরি-বোরোর আবাদ বাড়ছে। দেশে উৎপাদন ভালো হলেও চালের দাম কমছে না। দেখা যায় ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারিতে মিনিকেট চালের দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি ছিলো। সেই চাল গত জানুয়ারিতে বেড়ে ৭০ টাকা কেজি হয়েছে। ৪৮ টাকা পাইজাম হয়েছে ৫৭ টাকা কেজি। আর ৩৯ টাকার ইরি-বোরো হয়েছে ৪৫ টাকা। এভাবে প্রায় চালের দাম অনেকে বেড়েছে। অথচ ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে বেড়েছে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ। খাদ্যের মধ্যে প্যাকেট আটার কেজিতে ৩৫টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি। খোলা আটার দামও একইভাবে বেড়েছে।’


ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ার তালিকায় দেশে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে- ভোজ্যতেল। ২০২০ সালের মার্চ মাসে যে তেলের লিটার ১৪০ টাকা ছিলো, বছরের ব্যবধানে এই মার্চে প্রতি লিটার তেলের দাম হয়েছে ১৭০ টাকার বেশি। যা বিশ্বে ১২০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪০ টাকা। মাংসের দামও বছরের দাম ৫৮০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৭০ টাকা কেজি। যেখানে আন্তর্জাতিক বাজারে ৪০০ থেকে হয়েছে ৫০০ টাকা কেজি।


তিনি আরও বলেন, খাদ্যের মধ্যে চিনির দাম ৬৭ টাকা থেকে হয়েছে ৭৭ টাকা কেজি। যা বিশ্বে ৩০ থেকে বেড়ে ৪০ টাকা কেজি হয়েছে। এমনি কি দেশে অনেক উৎপাদন হয়ে বছরের ব্যবধানে ডিমের দামও বেড়েছে অনেক। দেশে এক ডজন ডিমের দাম ১১১ টাকা হয়েছে। যা মালেয়েশিয়ায় ৮৬ টাকা ডজন। অথচ ওই দেশের মাসিক আয় আমাদের চেয়ে ৪২০ ডলার বেশি। কারণ আমাদের দেশে মাসিক আয় ১৪৯ ধরা হলেও তাদের আয় ৬৬৯ ডলার। আর যুক্তরাষ্ট্রে মাসিক গড় আয় ৩ হাজার ৯৫৫ ডলার হলেও ১০৩ টাকা ডজন ডিম কিনতে হয় ভোক্তাদের। তাদের আয় অনেক বেশি হলেও কম দামে এসব পণ্য কিনতে পারছে তারা।’

শুধু তাই নয়, মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে সম্প্রতি পেঁয়াজের দামও অনেক বেড়েছে। ফাহমিদা বলেন, ‘বছরের ব্যবধানে ৩৫ টাকার পেঁয়াজ ৫৫ থেকে বেড়ে এই মার্চে ৭০ টাকা কেজি হয়েছে। অথচ আমাদের মাসে গড় আয় ১৪৯ ডলার। যেখানে বেলগ্রেড ও সার্বিয়াতে মাসে আয় ৩৩৫ ডলার। কিন্তু তাদের ৪০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। গুড়া দুধসহ অন্যান্য খাদ্য পণ্যেরও একই চিত্র।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘সব মিলে বলা যায়, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে পণ্যের দাম বেশি। বাজারে কারসাজি রয়েছে। সুশাসনের অভাবও রয়েছে। এরফলে সুযোগ সন্ধানীরা বেশি সুযোগ নিচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণ করে বাজার তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ করা একান্ত দরকার। সরবরাহ যাতে যথেষ্ট থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে, দক্ষতা ও সুচারুভাবে ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে বাজার ব্যবস্থা।

সিপিডির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন কারণে বৈদেশিক লেনদেনের (ব্যালান্স অপ পেমেন্ট) ভারসাম্যে খুবই ফারাক দেখা দিয়েছে। গত জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এই ৭ মাসে মাইনাস বা ঋনাত্বক হয়েছে ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি ) ডলার। যেখানে গত বছরের একই সময়ে ৬ বিলিয়ন ডলার প্লাসে ছিলো। এরফলে রিজার্ভেও প্রভাব পড়েছে। কারণ ঘাটতি বলা যায় ৮ বিলিয়ন ডলার। রেমিটেন্স দিয়েও এই ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব না। কারণ ইনফরম্যাল চ্যানেলে রেমিটেন্স আসছে দেশে। আবার ইনভয়েস ও ওভার ভয়েসের মাধ্যমেও টাকা চলে যাচ্ছে বাইরে। কাজেই খুবই সর্তকতার সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি দেখা দরকার সরকারকে। এটা একটা অভিঘাত, অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে।’

 

জেডএ/এসএ/

Header Ad
Header Ad

বিমানে উঠতে গিয়ে হোঁচট খেলেন ট্রাম্প, সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরসের ঝড়

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প বিমানে উঠতে গিয়ে হোঁচট খাওয়ায় নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। রোববার (৮ জুন) নিউ জার্সি থেকে ক্যাম্প ডেভিডের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে গিয়ে উড়োজাহাজের সিঁড়িতে উঠার সময় ঘটে এই অপ্রত্যাশিত ঘটনা।

ঘটনাটি কেবল ট্রাম্প পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল না। তার ঠিক পরেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকেও একইভাবে ভারসাম্য হারাতে দেখা যায়। পুরো দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি হয় এবং দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, যেখানে তা হাস্যরসের জন্ম দেয়।

অনেকেই ঘটনাটির সঙ্গে তুলনা করছেন ডেমোক্র্যাট নেতা এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হোঁচট খাওয়ার ঘটনার। বাইডেন এর আগেও একাধিকবার জনসম্মুখে ভারসাম্য হারিয়েছেন, যা নিয়ে ট্রাম্পসহ বিরোধীরা কটাক্ষ করে থাকেন।

তবে এবার ট্রাম্প নিজেই একই পরিস্থিতির শিকার হওয়ায় অনেকেই বলছেন, "বুমেরাংয়ের মতো ফিরে এল সমালোচনা।" নেটিজেনরা নানা ধরনের মিম ও বিদ্রুপমূলক মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়েছেন।

ঘটনাটি নিছক শারীরিক ভারসাম্য হারানোর হলেও, এর রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া এবং সামাজিক প্রতিচ্ছবি যেন আরও বড় হয়ে উঠছে মার্কিন রাজনীতির মঞ্চে।

Header Ad
Header Ad

মিথ্যা প্রচার ও ধোঁকাবাজি বন্ধে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একে অপরের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার এবং ধোঁকাবাজির চক্র বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় সব দলকে পরস্পরের প্রতি সম্মান দেখিয়ে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

সোমবার (৯ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই আহ্বান জানান।

মির্জা ফখরুল লেখেন, "সব দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল এবং বিশেষ করে তাদের সহযোগী সংগঠন ও ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতি আমার আহ্বান— তারা যেন অবিলম্বে একে অপরের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো বন্ধ করে।"

সম্প্রতি ছাত্রদলকে ঘিরে একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "ছাত্রদলকে লক্ষ্য করে সাম্প্রতিক ঘটনাটি শুধু অগ্রহণযোগ্যই নয়, বরং আরও উদ্বেগজনক হলো— কত দ্রুত কিছু সংবাদমাধ্যম তথ্য যাচাই না করেই বিভ্রান্তিকর প্রচার চালিয়েছে। এটি প্রকৃত সাংবাদিকতা নয়, বরং এটি রাজনৈতিক অঙ্গনকে আরও জটিল করে তোলার নামান্তর।"

তিনি বলেন, "বাংলাদেশ বর্তমানে একটি জটিল রাজনৈতিক চৌরাস্তার মধ্যে অবস্থান করছে। এ ধরনের পরিবর্তনশীল সময় প্রত্যেক রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে পরিপক্কতা, সংযম ও সততা দাবি করে।"

 

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, "আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে আমাদের এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে— আমরা কি সত্য, জবাবদিহিতা ও দায়িত্বশীল নেতৃত্বের পথে হাঁটব, নাকি মিথ্যা, অপপ্রচার এবং দ্বন্দ্ব-সংঘাতের ধারায় থাকব। রাজনীতি কোনোভাবেই মিথ্যার আশ্রয় হতে পারে না এবং হওয়া উচিতও নয়।"

রাজনীতিতে ইতিবাচক সংস্কৃতির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব সত্যকে প্রাধান্য দেওয়া, সহনশীলতা বজায় রাখা এবং একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা। এভাবেই আমরা একটি ন্যায়ভিত্তিক, গণতান্ত্রিক ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে পারি।"

Header Ad
Header Ad

স্থানীয় নির্বাচন হলে সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আর নেই: আসিফ মাহমুদ

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যে সংশয় দেখা দিয়েছিল, তা অনেকটাই কেটে গেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার ও যুব ক্রীড়া বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তার ভাষায়, এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের যে সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তাতে করে আর নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই।

সোমবার (৯ জুন) ঈদের দিন সকালে কুমিল্লার মুরাদনগর এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছিল যে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে। কিন্তু এখন সে সম্ভাবনা নেই। কারণ প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন আয়োজনের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা দিয়ে দিয়েছেন।”

স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জনগণ যেসব সেবা প্রত্যক্ষভাবে পায়, তার অধিকাংশই আসে স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে। জনপ্রতিনিধি না থাকায় বহু এলাকায় সে সেবা কার্যত বন্ধ হয়ে আছে। এটা আমাদের জন্য দুশ্চিন্তার বিষয়। সরকার শুরু থেকেই স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে আন্তরিক ছিল। এখন সেগুলো বাস্তবায়নের দিকে আমরা এগোচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “স্থানীয় সরকারে একাধিক স্তর রয়েছে। কী পরিমাণ নির্বাচন আমরা আয়োজন করতে পারবো, তা নির্ভর করবে সময় ও প্রস্তুতির ওপর। তবে সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।”

এ সময় গণমাধ্যমের ভূমিকায় হতাশাও প্রকাশ করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাদেশ ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজব এবং তা মূলধারার কিছু সংবাদমাধ্যমেও প্রতিফলিত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো নতুন কিছু নয়। কিন্তু যখন মূলধারার সংবাদমাধ্যমে এসব গুজব উঠে আসে, তখন জাতিগতভাবে আমরা একধাপ পিছিয়ে পড়ি।”

তিনি বলেন, “গুজবের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করা হলে পরে আমাদের আবার ফ্যাক্ট-চেক করে দেখতে হয়—আসলে কতটুকু সত্যি। এটা দুঃখজনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ। কিছু মানুষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এসব ছড়ায়, কেউ আবার ব্যক্তিগত আক্রমণ করে। আমার পরিবারের বিরুদ্ধেও এ ধরনের গুজব ছড়ানো হয়েছে।”

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “মুক্ত গণমাধ্যম গণতন্ত্রের অংশ, তবে দায়িত্বশীলতা আরও জরুরি। আমরা চাই সবাই গঠনমূলক ভূমিকা রাখুক। সরকার গুজবের বিরুদ্ধে এবং সঠিক তথ্য প্রকাশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

এ সময় কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কজ পড়ুয়া, মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিমানে উঠতে গিয়ে হোঁচট খেলেন ট্রাম্প, সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরসের ঝড়
মিথ্যা প্রচার ও ধোঁকাবাজি বন্ধে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
স্থানীয় নির্বাচন হলে সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আর নেই: আসিফ মাহমুদ
এপ্রিলে নির্বাচন করার বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব
শ্বশুরবাড়িতে কোরবানির ছাগল পাঠাতে পারেননি বাবা, অভিমানে আত্মহত্যা
কানাডায় নৌকাডুবিতে প্রাণ গেল বাংলাদেশি পাইলট ও ব্যবসায়ীর
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না থাকায় আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাবেক সংবাদ উপস্থাপক সাফিনা আহমেদের রহস্যজনক মৃত্যু, তদন্তে পুলিশ
মালয়েশিয়ায় বাস দুর্ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নিহত ১৫
বঙ্গবন্ধু-হাসিনাসহ আ.লীগ নেতাদের নাম সরিয়ে ২২৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পুনর্নামকরণ
গাজার উদ্দেশে রওনা হওয়া ত্রাণবাহী জাহাজ দখলে নিল ইসরায়েল, আটক ১৩ জন
হাসপাতাল ঢুকে বৈষম্যবিরোধী নেতাসহ ১০ জনকে মারধর, আটক ৩
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় একদিনেই নিহত ১০৮ ফিলিস্তিনি
এবার দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবির
চার দিনের সফরে আজ যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়ে নেশন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল
সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ
চামড়ার দাম নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা
ঈদের আনন্দে যমুনা সেতু পূর্বপাড়ে বিনোদন প্রেমীদের উপচে পড়া ঢল!