ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন করতে হবে: আমীর খসরু

ছবি: সংগৃহীত
ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া উচিত এবং এটিই বিএনপির অবস্থান।
রোববার (৮ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের বাসভবনে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করে আমীর খসরু বলেন, “ডিসেম্বরে নির্বাচন—এটি শুধু বিএনপির দাবি নয়। প্রায় ৯০ শতাংশ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন চায়। এর পেছনে যৌক্তিক কারণও রয়েছে। সংস্কার কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিচার কার্যক্রমও অগ্রগতিতে। এ অবস্থায় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করা উচিত।”
বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিচার তো করে আদালত। সরকারের দায়িত্ব হলো অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা। এ কাজটি ইতোমধ্যে অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে। যারা বাকি রয়েছে, তাদের ছয় মাসের মধ্যে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব। তাহলে নির্বাচন পেছানোর যৌক্তিকতা কোথায়? যদি কোনো ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর স্বার্থে নির্বাচন পেছানো হয়, তাহলে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিয়েই প্রশ্ন তোলে।”
তিনি আরও বলেন, “ডিসেম্বরের পরেই রমজান মাস। এটি সংযম ও ধর্মীয় অনুভূতির মাস। সে সময় নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন। তারপর শুরু হবে পাবলিক পরীক্ষা এবং আসবে ঘূর্ণিঝড় ও আবহাওয়াজনিত দুর্যোগ। সবকিছু বিবেচনায় ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া উচিত।”
রাজনীতিতে শৃঙ্খলা ও সহনশীলতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “আমরা পরিচ্ছন্ন রাজনীতি চাই। উচ্ছৃঙ্খলতা বা সংঘাত নয়, মতভেদ থাকলেও একে অপরের মতের প্রতি সম্মান জানাতে হবে। আমাদের দেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন করতেই হবে। বিশ্বে যত সংস্কারই হোক না কেন, যদি রাজনৈতিক সংস্কৃতি না বদলায়, তা কোনো কাজে আসবে না।”
নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, “গত ১৫ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীরা যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, তা দেশের ইতিহাসে বিরল। এই আত্মত্যাগই বিএনপির সবচেয়ে বড় শক্তি। আমরা আত্মবিশ্বাসী—আগামী দিনের বিএনপি আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হবে।”
তিনি বলেন, “সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিকে নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য এবং সময়োপযোগী নির্বাচনই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রধান শর্ত। আর সে নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে হবে—এটাই জনগণের চাওয়া।”
