মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫ | ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন করতে হবে: আমীর খসরু

ছবি: সংগৃহীত

ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া উচিত এবং এটিই বিএনপির অবস্থান।

রোববার (৮ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের বাসভবনে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করে আমীর খসরু বলেন, “ডিসেম্বরে নির্বাচন—এটি শুধু বিএনপির দাবি নয়। প্রায় ৯০ শতাংশ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন চায়। এর পেছনে যৌক্তিক কারণও রয়েছে। সংস্কার কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিচার কার্যক্রমও অগ্রগতিতে। এ অবস্থায় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করা উচিত।”

বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিচার তো করে আদালত। সরকারের দায়িত্ব হলো অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা। এ কাজটি ইতোমধ্যে অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে। যারা বাকি রয়েছে, তাদের ছয় মাসের মধ্যে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব। তাহলে নির্বাচন পেছানোর যৌক্তিকতা কোথায়? যদি কোনো ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর স্বার্থে নির্বাচন পেছানো হয়, তাহলে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিয়েই প্রশ্ন তোলে।”

তিনি আরও বলেন, “ডিসেম্বরের পরেই রমজান মাস। এটি সংযম ও ধর্মীয় অনুভূতির মাস। সে সময় নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন। তারপর শুরু হবে পাবলিক পরীক্ষা এবং আসবে ঘূর্ণিঝড় ও আবহাওয়াজনিত দুর্যোগ। সবকিছু বিবেচনায় ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া উচিত।”

রাজনীতিতে শৃঙ্খলা ও সহনশীলতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “আমরা পরিচ্ছন্ন রাজনীতি চাই। উচ্ছৃঙ্খলতা বা সংঘাত নয়, মতভেদ থাকলেও একে অপরের মতের প্রতি সম্মান জানাতে হবে। আমাদের দেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন করতেই হবে। বিশ্বে যত সংস্কারই হোক না কেন, যদি রাজনৈতিক সংস্কৃতি না বদলায়, তা কোনো কাজে আসবে না।”

নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, “গত ১৫ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীরা যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, তা দেশের ইতিহাসে বিরল। এই আত্মত্যাগই বিএনপির সবচেয়ে বড় শক্তি। আমরা আত্মবিশ্বাসী—আগামী দিনের বিএনপি আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হবে।”

তিনি বলেন, “সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিকে নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য এবং সময়োপযোগী নির্বাচনই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রধান শর্ত। আর সে নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে হবে—এটাই জনগণের চাওয়া।”

Header Ad
Header Ad

অবশেষে কারামুক্ত হচ্ছেন ইমরান খান! ১১ জুন হাই কোর্টে শুনানি

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খান অবশেষে কারাগার থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন—এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলটির শীর্ষ নেতারা।

পিটিআই’র আইনজীবী ও প্রবীণ নেতা গোহার আলি খান জানান, আগামী ১১ জুন ইসলামাবাদ হাই কোর্টে তোষাখানা দুর্নীতি মামলার শুনানি রয়েছে। ওই দিনই তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়ে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এমনকি একই দিনেই জেলমুক্তি ঘটতে পারে বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই অধিনায়কের।

২০২৩ সালের আগস্টে তোষাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে গ্রেপ্তার হন ইমরান খান। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের দেওয়া উপহার অবৈধভাবে নিজের কাছে রেখে তা বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন তিনি। এ ছাড়া, ‘আল-কাদির ট্রাস্ট’ কেলেঙ্কারিতে ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড দুর্নীতির অভিযোগেও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। প্রথমে তাঁকে পাঞ্জাবের অটক জেলে রাখা হলেও পরে স্থানান্তর করা হয় রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে। পরিবারের দাবি, সেখানে একাধিকবার তাঁর প্রাণনাশের শঙ্কা তৈরি হয়।

সম্প্রতি ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরে’ ঘটনায় পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির চাপে রয়েছেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত। সেই পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী পিটিআই কর্মীদের বিক্ষোভ জোরদার হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাজনৈতিক চাপ মোকাবেলার কৌশল হিসেবে ইমরান খানের জামিনে মুক্তির পথ তৈরি হচ্ছে।

কারাবন্দি অবস্থায়ও দলীয় নেতৃত্ব ছাড়েননি ইমরান। নিজেকে পিটিআইয়ের ‘পেট্রন ইন চিফ’ ঘোষণা করে জেল থেকেই দলের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। এখন দেখার বিষয়, ১১ জুনের শুনানি তাঁর জন্য কতটা আশার আলো নিয়ে আসে।

Header Ad
Header Ad

ভারতের গুজরাট হাইকোর্টে বোমা হামলার হুমকি

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের গুজরাট হাইকোর্টে বোমা হামলার হুমকির ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (৯ জুন) দুপুরে আদালতের সরকারি ইমেইলে একটি বার্তা পৌঁছায়, যেখানে বলা হয়, “আদালতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হবে, বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে।”

এ হুমকির পরই দ্রুত নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় আদালতের কার্যক্রম, ফাঁকা করে দেওয়া হয় পুরো কোর্ট ভবন। নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয় বিচারপতি, আইনজীবী ও সাধারণ মানুষকে।

গুজরাট পুলিশ ও বোম্ব স্কোয়াড দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি শুরু করে। পুরো হাইকোর্ট চত্বর ও আশপাশের এলাকাজুড়ে কঠোর নজরদারি চালানো হয়। তবে দীর্ঘ অনুসন্ধানের পরও কোনো বিস্ফোরক দ্রব্যের সন্ধান মেলেনি। পুলিশ জানিয়েছে, ইমেইল বার্তাটিতে ব্যবহৃত পরিচয় ভুয়া বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইমেইলটি কতটা বিশ্বাসযোগ্য, তা যাচাইয়ে তদন্ত চালাচ্ছে সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করে আপাতত আদালতের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। হাইকোর্ট ভবনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলমান রয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টে এর আগেও এমন ভুয়া হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টেও অনুরূপ ইমেইল পাঠানো হয়েছিল, যা তদন্ত শেষে ভুয়া প্রমাণিত হয়।

তবে গুজরাট প্রশাসন কোনো ঝুঁকি নিতে নারাজ। এই হুমকির উৎস শনাক্তে গোয়েন্দা সংস্থা ও সাইবার ইউনিট যৌথভাবে কাজ করছে। তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

Header Ad
Header Ad

সাঁতার শেখাতে গিয়ে পানিতে ডুবে বাবা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে মেয়েকে সাঁতার শেখাতে গিয়ে পুকুরে ডুবে একই সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন এক বাবা ও তাঁর মেয়ে। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামে এ হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ওই গ্রামের বাসিন্দা ও ইটভাটা ব্যবসায়ী বাবুল আহমদ (৬০) এবং তাঁর মেয়ে হালিমা মোহাম্মদ (১৮), যিনি ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

জানা যায়, ঈদুল আজহার ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন হালিমা। বাবা-মেয়ের মধ্যে ছিল গভীর স্নেহের সম্পর্ক। পুকুরে নেমে মেয়েকে সাঁতার শেখাচ্ছিলেন বাবা। ব্যবহার করছিলেন একটি প্লাস্টিকের টিউব। একপর্যায়ে হালিমার হাত ফসকে গেলে তিনি পানিতে ডুবে যেতে থাকেন। মেয়েকে বাঁচাতে পুকুরে ঝাঁপ দেন বাবুল আহমদ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি—বাঁচানো তো দূরের কথা, প্রাণ গেল দুজনেরই।

স্থানীয়রা জানায়, টের পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে দুজনকে উদ্ধার করে। পরে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে দুজনই মারা যান। ঘটনার পর হামিদপুর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাবুল আহমদের বাসা ঢাকায়। স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে তিনি সেখানে বসবাস করতেন। চার সন্তানই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। গ্রামের বাড়ির কাছে মানিকসিংহ এলাকায় তাঁর বাব ব্রিকস নামে একটি ইটভাটা রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে পরিবারের সবাই কয়েক দিন আগে গ্রামে বেড়াতে আসেন। দ্বিতীয় মেয়ে হালিমার আগামী ২৬ জুন থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

সোমবার বিকেলে বাবার সঙ্গে পুকুরে নামেন হালিমা। টিউব ভরসা করে সাঁতার শেখার একপর্যায়ে দুর্ঘটনা ঘটে। মেয়েকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেও প্রাণ হারান বাবুল। সন্ধ্যার পর বাবুল আহমদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একসঙ্গে বাবা-মেয়ের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আলাদা দুটি কক্ষে রাখা হয়েছে তাঁদের নিথর দেহ। স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে বাড়ির আঙিনা। প্রতিবেশীরা তাঁদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কারও চোখেই নেই শান্তি।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোক ও বিষাদের ছায়া। বাবার কোলে মেয়ের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ যেন বলে দেয়—ভালোবাসার শেষ পরিণতি কতটা করুণ হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অবশেষে কারামুক্ত হচ্ছেন ইমরান খান! ১১ জুন হাই কোর্টে শুনানি
ভারতের গুজরাট হাইকোর্টে বোমা হামলার হুমকি
সাঁতার শেখাতে গিয়ে পানিতে ডুবে বাবা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু
এশিয়ায় কোভিড বাড়ছে, নতুন ধরনে উদ্বেগ, সতর্ক থাকার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তারেক রহমান
আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার যোগদান
নড়াইলে দেড় ডজন মামলার আসামি ‘মনির ডাকাত’সহ গ্রেফতার ৫
রাজনীতিতে পেশিশক্তির কোনো স্থান নেই: আখতার হোসেন
ভারতীয়দের বিষয়ে বিমানবন্দরে বাড়তি সতর্কতা
জিয়া পরিবার ছাড়া জনসম্পৃক্ত হয়ে কেউ কাজ করেনি: এ্যানী
যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
মেট্রোরেল ভ্রমণকারীদের জন্য নতুন স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনা জারি
চামড়া শিল্পে নৈরাজ্য সিন্ডিকেট ভাঙতে কাজ করছে সরকার: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভারতসহ বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে বেনাপোল চেকপোস্টে সতর্কতা জারি
রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠাই বিএনপির লক্ষ্য: সালাহউদ্দিন আহমেদ
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে অন্তত ১০ মিনিট খেলতে চান জামাল ভূঁইয়া
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা রাজধানীর রাজপথে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের দাপট
কক্সবাজার সৈকতে পিতাপুত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু, রাজশাহী থেকে এসেছিলেন ভ্রমণে
দুই প্রতিবন্ধী মেয়েকে বিষ খাইয়ে বাকপ্রতিবন্ধী বাবার বিষপান
বিমানে উঠতে গিয়ে হোঁচট খেলেন ট্রাম্প, সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরসের ঝড়