মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫ | ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ঈদের আনন্দে যমুনা সেতু পূর্বপাড়ে বিনোদন প্রেমীদের উপচে পড়া ঢল!

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

যান্ত্রিক জীবনে কর্মব্যস্ততার ফাঁকে পরিবার-পরিজন ও প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কোরবানি ঈদুল আজহার আনন্দকে উপভোগ করতে মেতেছে বিনোদন প্রেমীরা। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের অন্যতম যমুনা সেতু পূর্ব পাড়ে যমুনা নদীর তীরবর্তী গরিলাবাড়ী এলাকার পাথরঘাটে গড়ে উঠেছে বিনোদন বা পর্যটন কেন্দ্র।

এছাড়া যমুনা নদীর ওপর নির্মিত যমুনা সেতু ও সদ্য নির্মিত যমুনা রেল সেতু দেখতে ছুটে আসছেন টাঙ্গাইলসহ দেশের নানা প্রান্তের বিনোদন প্রেমী হাজারো মানুষ। এই বিনোদন কেন্দ্রে সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত দেখা মেলায় প্রকৃতির পরিবেশ হয়ে ওঠেছে আরও মনোরম।

শুধু তাই নয়— যমুনা সেতু ছাড়াও রয়েছে আনন্দ পার্ক, যমুনা সেতু রিসোর্ট, যমুনা সেতু জাদুঘর, শিশু পার্ক, যমুনা সেনানিবাস কপি হাউজ ও বিপণী-বিতান মার্কেট, সুইমিংপুল, হরিণ দেখার দৃশ্য, যমুনা সেতু পূর্ব গোল চত্বর ও আশপাশে রয়েছে নানা ওষুধি গাছের বাগান। দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে নৌকা বা ছোট ট্রলারযোগে যমুনা নদী পথে যমুনা সেতু ও যমুনা রেল সেতু দেখার ব্যবস্থা। পাথরঘাটে অসংখ্য নৌকা ও ট্রলার সারিবদ্ধভাবে মাঝিরা সাজিয়ে রেখেছেন। এখানে খেলনা দোকান ছাড়াও ফুসকাসহ ফাস্ট ফুড জাতীয় নানা রকম দোকানপাট গড়ে উঠেছে।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

ঈদের প্রথম, দ্বিতীয় দিন যমুনা সেতু পূর্বপাড়ের পাথরঘাট এলাকায় বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেখা যায়, যমুনার পাড়ে পরিবার-পরিজন কেউ কেউ নিয়ে সূর্যাস্ত দেখছেন। আবার কেউ তাদের পছন্দের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে এসেছেন। এখানে নৌকা বা ট্রলার দিয়ে ঘুরতে জনপ্রতি ৫০ টাকা দিয়ে যমুনা সেতু ও যমুনা রেল সেতু দেখছেন খুব কাছ থেকে। এছাড়াও কেউ আবার মোটরসাইকেলযোগে যমুনা থেকে উপরে ঘুরছেন ও রেল সেতু দেখছেন। অনেকেই শিশুদের জন্য বিভিন্ন খেলনা কিনছেন। সব মিলিয়ে বিকালে এই সেতু পূর্ব এলাকায় মানুষের উপচে পড়া ঢল নেমে যায়।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে যমুনা সেতু পূর্বপাড়ে ঘুরতে আসা ইশারাত আক্তার, সুমাইয়া ইসলাম বলেন— সারা বছর চাকরি ও সংসার জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। ঈদের দিন আমাদের কাছে বিশেষ একটি আনন্দের দিন। তাই ঈদের আনন্দ পরিবার ও সন্তানদের সঙ্গে উপভোগ করতে যমুনা সেতু পূর্বপাড়ে আসছি। এখানে হাজার হাজার মানুষের সমাগম দেখা যাচ্ছে। খুব ভাল লাগছে এখানে ঘুরতে এসে। প্রতি উৎসবেই ঘুরতে আসব এখানে। তাছাড়া এই বিনোদন কেন্দ্র কম খরচে বিভিন্ন স্পটও ঘুরে দেখা যাচ্ছে। পরিবেশটাও অনেক ভালো।

বগুড়ার শেরপুর থেকে আসা স্কুল শিক্ষক শহিদুর ইসলাম বলেন— এরআগে কখনো যমুনা সেতু দেখতে পরিবার নিয়ে আসা হয়নি। এবার যেহেতু লম্বা ছুটি পেয়েছি তাই ঈদ উপলক্ষে ঘুরতে আসছি। পরিবারের লোকজন এই প্রথম যমুনা সেতু সরাসরি কাছ থেকে দেখতে পেল। এখানে এসে খুব ভাল লাগছে। বাচ্চারাও অনেক আনন্দ উল্লাস করছে। দীর্ঘদিন ধরে এটি যেহেতু বিনোদন বা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত লাভ পেয়েছে, তাই সরকারের উচিত যমুনা সেতু এই এলাকাটি আরও উন্নত ব্যবস্থা করা । এতে আরও লোকজনের সমাগত হবে বলে আশা।

স্থানীয় সমাজকর্মী রেহানা পারভীন সুমি বলেন— যমুনা সেতু নির্মাণ হওয়ার পর থেকে এই সেতু দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন ছুটে আসে। বর্তমানে আরেকটি যুক্ত হয়েছে সেটি হলো সদ্য নির্মিত যমুনা রেল সেতু। টাঙ্গাইলে তেমন কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় যমুনা সেতু এলাকাকে বেছে নেন বিনোদন প্রেমীরা। তবে, বিনোদন কেন্দ্রের মান তেমনটা উন্নত নয়। সরকারিভাবে উদ্যোগ নিলে এখানে দেশের বৃহত্তম বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। এতে করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারবে সরকার ও স্থানীয় নানান ব্যবসায়ীরা।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

যমুনা সেতু পূর্ব নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ কামাল হোসেনের কাছে আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে জানতে চাই তিনি জানান— ঈদ উপলক্ষে দর্শনার্থীদের বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ দর্শনার্থীসহ রাজনীতিবিদসহ দেশের বিশিষ্টদের নিরাপত্তার ব্যাপারেও যমুনা সেতু পূর্ব নৌ পুলিশ সতর্ক রয়েছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় আমাদের পুলিশ টিমের সদস্যরা সার্বক্ষণিক তৎরপর। তাছাড়া ঘুরতে আসা কোনো দর্শনার্থী বা পর্যটক এখন পর্যন্ত কোনো হয়রানিমূলক অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

ভারতের গুজরাট হাইকোর্টে বোমা হামলার হুমকি

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের গুজরাট হাইকোর্টে বোমা হামলার হুমকির ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (৯ জুন) দুপুরে আদালতের সরকারি ইমেইলে একটি বার্তা পৌঁছায়, যেখানে বলা হয়, “আদালতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হবে, বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে।”

এ হুমকির পরই দ্রুত নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় আদালতের কার্যক্রম, ফাঁকা করে দেওয়া হয় পুরো কোর্ট ভবন। নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয় বিচারপতি, আইনজীবী ও সাধারণ মানুষকে।

গুজরাট পুলিশ ও বোম্ব স্কোয়াড দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি শুরু করে। পুরো হাইকোর্ট চত্বর ও আশপাশের এলাকাজুড়ে কঠোর নজরদারি চালানো হয়। তবে দীর্ঘ অনুসন্ধানের পরও কোনো বিস্ফোরক দ্রব্যের সন্ধান মেলেনি। পুলিশ জানিয়েছে, ইমেইল বার্তাটিতে ব্যবহৃত পরিচয় ভুয়া বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইমেইলটি কতটা বিশ্বাসযোগ্য, তা যাচাইয়ে তদন্ত চালাচ্ছে সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করে আপাতত আদালতের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। হাইকোর্ট ভবনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলমান রয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টে এর আগেও এমন ভুয়া হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টেও অনুরূপ ইমেইল পাঠানো হয়েছিল, যা তদন্ত শেষে ভুয়া প্রমাণিত হয়।

তবে গুজরাট প্রশাসন কোনো ঝুঁকি নিতে নারাজ। এই হুমকির উৎস শনাক্তে গোয়েন্দা সংস্থা ও সাইবার ইউনিট যৌথভাবে কাজ করছে। তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

Header Ad
Header Ad

সাঁতার শেখাতে গিয়ে পানিতে ডুবে বাবা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে মেয়েকে সাঁতার শেখাতে গিয়ে পুকুরে ডুবে একই সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন এক বাবা ও তাঁর মেয়ে। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামে এ হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ওই গ্রামের বাসিন্দা ও ইটভাটা ব্যবসায়ী বাবুল আহমদ (৬০) এবং তাঁর মেয়ে হালিমা মোহাম্মদ (১৮), যিনি ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

জানা যায়, ঈদুল আজহার ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন হালিমা। বাবা-মেয়ের মধ্যে ছিল গভীর স্নেহের সম্পর্ক। পুকুরে নেমে মেয়েকে সাঁতার শেখাচ্ছিলেন বাবা। ব্যবহার করছিলেন একটি প্লাস্টিকের টিউব। একপর্যায়ে হালিমার হাত ফসকে গেলে তিনি পানিতে ডুবে যেতে থাকেন। মেয়েকে বাঁচাতে পুকুরে ঝাঁপ দেন বাবুল আহমদ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি—বাঁচানো তো দূরের কথা, প্রাণ গেল দুজনেরই।

স্থানীয়রা জানায়, টের পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে দুজনকে উদ্ধার করে। পরে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে দুজনই মারা যান। ঘটনার পর হামিদপুর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাবুল আহমদের বাসা ঢাকায়। স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে তিনি সেখানে বসবাস করতেন। চার সন্তানই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। গ্রামের বাড়ির কাছে মানিকসিংহ এলাকায় তাঁর বাব ব্রিকস নামে একটি ইটভাটা রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে পরিবারের সবাই কয়েক দিন আগে গ্রামে বেড়াতে আসেন। দ্বিতীয় মেয়ে হালিমার আগামী ২৬ জুন থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

সোমবার বিকেলে বাবার সঙ্গে পুকুরে নামেন হালিমা। টিউব ভরসা করে সাঁতার শেখার একপর্যায়ে দুর্ঘটনা ঘটে। মেয়েকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেও প্রাণ হারান বাবুল। সন্ধ্যার পর বাবুল আহমদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একসঙ্গে বাবা-মেয়ের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আলাদা দুটি কক্ষে রাখা হয়েছে তাঁদের নিথর দেহ। স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে বাড়ির আঙিনা। প্রতিবেশীরা তাঁদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কারও চোখেই নেই শান্তি।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোক ও বিষাদের ছায়া। বাবার কোলে মেয়ের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ যেন বলে দেয়—ভালোবাসার শেষ পরিণতি কতটা করুণ হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

এশিয়ায় কোভিড বাড়ছে, নতুন ধরনে উদ্বেগ, সতর্ক থাকার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের

ছবি: সংগৃহীত

মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ভারত, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। ফলে নতুন, অধিক সংক্রামক ধরন ছড়িয়ে পড়তে পারে—এই আশঙ্কায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভারতে বর্তমানে কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা এখনো তুলনামূলকভাবে কম, তবুও ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত পরীক্ষা করানো এবং জনসমাগমপূর্ণ স্থানে মাস্ক পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশেও সংক্রমণের হালকা ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। রোববার চারজনের নমুনা পরীক্ষায় তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। একদিন পর সোমবার এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচজনে। এরই মধ্যে একজন কোভিডে মৃত্যুবরণ করেছেন।

থাইল্যান্ডে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক। জুন মাসের শুরুতেই শত শত কোভিড রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত অন্তত একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। মাত্র দুই দিনেই সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে, যাদের বেশিরভাগই রাজধানী ব্যাংককের বাসিন্দা। থাইল্যান্ডে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত কোভিডে মারা গেছেন অন্তত ৭০ জন, যার অধিকাংশই নগরবাসী।

ইন্দোনেশিয়ায়ও সংক্রমণ বাড়ছে। সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সব হাসপাতালে বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাদি সাদিকিন জানান, “যদিও সংক্রমণ বাড়ছে, তবে নতুন ধরনগুলো তুলনামূলকভাবে কম প্রাণঘাতী।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রনের উপধরন এলএফ.৭ এবং এনবি.১.৮.১ বর্তমানে এশিয়াজুড়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী হতে পারে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো এই ধরনগুলোকে ‘ভয়ের ধরন’ হিসেবে ঘোষণা করেনি, তবে সাম্প্রতিক সংক্রমণের পেছনে এগুলোরই ভূমিকা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এনবি.১.৮.১ একটি পুনর্গঠিত ভাইরাস যা এর আগেও থাইল্যান্ড, চীন, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাসবিদ লারা হেরেরো জানিয়েছেন, এই ধরনটি মানবদেহের কোষে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় এসিই-২ রিসেপ্টরের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি শক্তভাবে আবদ্ধ হতে পারে। ফলে এটি আগের চেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম।

নতুন ধরনে আক্রান্তদের মধ্যে ক্লান্তি, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ও হজমে অস্বস্তির উপসর্গ বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বর্তমানের টিকাগুলো এই ধরনে আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম।

ভারতের সার্স-কোভ-২ জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম জানায়, নতুন সংক্রমণের অর্ধেকের বেশি এখনো পুরনো জেএন.১ ধরন থেকেই হচ্ছে। অধিকাংশ আক্রান্তের উপসর্গ হালকা এবং সাধারণ ওষুধ যেমন কাশির সিরাপ বা ব্যথানাশকে তা নিয়ন্ত্রণে আসছে।

তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, বয়স্ক বা অন্য রোগে আক্রান্ত ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। শ্বাসকষ্ট, তীব্র দুর্বলতা কিংবা অক্সিজেন মাত্রা ৯৫ শতাংশের নিচে নামলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এশিয়াজুড়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতি জনস্বাস্থ্যের জন্য নতুন এক চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আত্মতুষ্টিতে না থেকে এখনই সজাগ ও সতর্ক হওয়ার সময়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, নিয়মিত টিকা গ্রহণ ও উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণই হতে পারে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতের গুজরাট হাইকোর্টে বোমা হামলার হুমকি
সাঁতার শেখাতে গিয়ে পানিতে ডুবে বাবা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু
এশিয়ায় কোভিড বাড়ছে, নতুন ধরনে উদ্বেগ, সতর্ক থাকার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তারেক রহমান
আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার যোগদান
নড়াইলে দেড় ডজন মামলার আসামি ‘মনির ডাকাত’সহ গ্রেফতার ৫
রাজনীতিতে পেশিশক্তির কোনো স্থান নেই: আখতার হোসেন
ভারতীয়দের বিষয়ে বিমানবন্দরে বাড়তি সতর্কতা
জিয়া পরিবার ছাড়া জনসম্পৃক্ত হয়ে কেউ কাজ করেনি: এ্যানী
যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
মেট্রোরেল ভ্রমণকারীদের জন্য নতুন স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনা জারি
চামড়া শিল্পে নৈরাজ্য সিন্ডিকেট ভাঙতে কাজ করছে সরকার: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভারতসহ বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে বেনাপোল চেকপোস্টে সতর্কতা জারি
রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠাই বিএনপির লক্ষ্য: সালাহউদ্দিন আহমেদ
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে অন্তত ১০ মিনিট খেলতে চান জামাল ভূঁইয়া
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা রাজধানীর রাজপথে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের দাপট
কক্সবাজার সৈকতে পিতাপুত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু, রাজশাহী থেকে এসেছিলেন ভ্রমণে
দুই প্রতিবন্ধী মেয়েকে বিষ খাইয়ে বাকপ্রতিবন্ধী বাবার বিষপান
বিমানে উঠতে গিয়ে হোঁচট খেলেন ট্রাম্প, সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরসের ঝড়
মিথ্যা প্রচার ও ধোঁকাবাজি বন্ধে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান