মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মিলে মিলে অভিযান, কমানো হলো ২০ শতাংশ ভ্যাট

কমবে কি সয়াবিন তেলের দাম?

প্রতিদিন বাজারে শত শত ট্রাকে ভোজ্যতেল সরবরাহ করা হচ্ছে বলে মিলমালিকরা দাবি করছে। তবে ডিলার এবং ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাস পার হয়ে গেলেও পাওয়া যাচ্ছে না তেল। বাধ্য হয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুক্রবার থেকে রশিদ ছাড়া কোনো তেল বিক্রি করা যাবে না। শুধু তাই নয়, মিলমালিকরা পর্যাপ্ত তেলের যে তথ্য দিয়েছে, তা যাচাই করতে মিলে মিলে অভিযান শুরু করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রূপগঞ্জের তীর ও রূপচাঁদা মিলে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কোনো কারসাজি ধরা পড়লে কেউ রেহাই যাবে না। শুধু তা-ই নয়, ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে বৃহস্পতিবার ভোজ্যতেলের উপর ২০ শতাংশ ভ্যাট তুলে নেওয়া হয়েছে। তারপরও শঙ্কায় ভোক্তারা। বলছেন, ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর উৎপাদন তথা মিলমালিকদের জন্য ১৫ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে মিল মালিকরা তেলের দাম বাড়াতে চাইলেও সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। বরং সরকার গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে- খোলা তেল ১৪৩ টাকা লিটার ও প্যাকেটজাত তেল ১৫৮ টাকা। তারপর থেকেই দেশে বাড়তে শুরু করেছে তেলের দাম। এমন অবস্থায় সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, রমজান মাসের আগে আর বাড়ানো হবে না তেলের দাম।

সরকার অনুমোদন করার আগেই বিভিন্ন মিল মালিকরা ২ লিটার ৩৩৫ টাকা এবং ৫ লিটার ৮০০ টাকা তেল ছেড়ে দিয়েছে বাজারে। তারপরও গত সপ্তাহে থেকে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না সয়াবিন তেল। বাধ্য হয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করেছে। প্রতিদিন ধরা পড়ছে মজুদকারিরা।

এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) দেশের সব মিলমালিক ও ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী নেতাদের নিয়ে ৭ মার্চ মত বিনিময় সভার আয়োজন করে। সভায় মিলমালিকের পক্ষ থেকে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে গেছে তেলের দাম। তাই দেশেও বাড়ানো দরকার। একই সঙ্গে তারা বলেন, দেশে তেলের কোনো সংকট নেই। প্রতি দিন শত শত ট্রাক তেল সরবরাহ করা হচ্ছে।

মিলমালিকদের বক্তব্যের বিরোধিতা করে তেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোনো কোনো মিল মালিক এক মাস আগে এসও নিয়েও তেল দিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে কোনো কোনো ব্যবসায়ী হয়ত তেল লুকিয়ে রাখছে। তাই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। মিলমালিকরা ঠিকমতো তেল দিলে বাজারে কোনো সংকট হবে না।

এ ব্যাপারে এফবিসিসিআইর সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘রোজা পর্যন্ত দেশে তেলের কোনো ঘাটতি নেই। তারপরও সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ববাজারে আজ বাড়লে দেশে আজকেই কেন দাম বাড়বে? দুই মাস পর বাড়বে। গুটি কয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য পুরো ব্যবসায়ী সমাজের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এফবিসিসিআই এসব ব্যবসায়ীদের দায় নেবে না। ব্যবসা করতে এসেছি। চোর-বাটপারি করতে না। খোলা তেলের মূল্য না থাকায় অনেকে ইচ্ছামতো দাম নিচ্ছে। তাই খোলা তেল বন্ধ করতে হবে। সরকারি নির্ধারিত দামে তেল বিক্রি এবং মিলমালিকদের সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে।’

এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে নড়েচড়ে বসেছে। এর আওতাধীন জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার মিলমালিকসহ ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চায় আসল কাহিনি কী?

সেখানেও মিলমালিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশে পর্যাপ্ত তেল সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় হাজার ট্রাক তেল সরবরাহ করছে। তাদের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে তেল ব্যবসায়ীরা বলেন, এসও করার মাস পার হলেও মিল থেকে দেওয়া হচ্ছে না তেল। এমনকি কোনো কোনো মিলে ট্রাক প্রতি ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। প্রতি ট্রাকে ১১ টন তেল থাকে। এই টাকা দিলেই মিল থেকে পাওয়া যাচ্ছে তেল। এই বাড়তি টাকা ভোক্তাদের পকেট থেকে কাটা হচ্ছে। তাতে এই কয় দিনে ভোক্তাদের কাছ থেকে প্রায় হাজার কোটি টাকা চলে গেছে।

মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন বাবুল বলেছৈন, ‘মিল মালিকরা চাহিদা মতো সয়াবিন তেল দিচ্ছে না। তারা ঠিকভাবে দিলে রমজান পর্যন্ত অস্থির বাজারকে স্থির করা হবে।’ একই বাজারের গোলাম কিবরিয়াও বলেছেন, ‘মিল মালিকরা ঠিকমতো তেল দিলে দাম বাড়বে না। রমজানে প্রয়োজনে কেনা দামে বিক্রি করব তেল, বাজার স্থিতিশীল হবে।’

জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ‘বছরে ২০ লাখ টন সয়াবিন তেল লাগে। মাসে লাগে এক লাখ ২০ হাজার টন। তবে রমজানে আড়াই লাখ টন লাগে। মিল মালিকরা বলছে তেল আছে, ব্যবসায়ীরা বলছে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে কোনো লাভ হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শুক্রবার (১১ মার্চ) থেকে ভোজ্যতেল কেনাবেচায় পাকা রশিদ ছাড়া কোনো ব্যবসা করা যাবে না। তা করলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘মিলে মিলে অভিযান হবে। ৬ ফেব্রুয়ারির নির্ধারিত দামের বেশি কেউ তেল বিক্রি করতে পারবে না। খোলা তেল ১৪৩ টাকা আর প্যাকেট তেল লিটারপ্রতি ১৫৮ টাকা। এর বেশি কেউ আদায় করলে রেহাই পাবে না। ধরা পড়লে কেউ ছাড় পাবে না। আর মিলমালিক যে তথ্য দিয়েছে তা যাচাই করতে মিলে মিলে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এরই অংশ বিশেষ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) থেকেই রূপগঞ্জের তীর ও রূপচাঁদা মিলে অভিযান শুরু হয়েছে। অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে এই দুই মিলের সব কিছু দেখা হয়েছে। পর্যালোচনা করে কোনো বিভ্রান্তি ধরা পড়লে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সূত্র জানায়।

এদিকে ভোক্তাদের স্বার্থে পাকা রশিদ ছাড়া তেল কেনাবেচা ব্যাপারে চানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের মিলু ট্রেডার্সের মালিক মিলু ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘প্যাকেটজাত তেলে কোনো সমস্যা নেই। খোলা তেলে এই হয়ে থাকে। তাই শুক্রবার থেকে পাকা রশিদ দেওয়া হবে। কোনো সমস্যা নেই।’

তবে একই বাজারের খুচরা বিক্রেতা মেসার্স ইউসুফ জেনারেল স্টোরের মালিক ইউসুফ জানান, ‘সরকার তো এর আগেও অনেক কিছু বলেছে, তারপরও বাজার নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আমরা কেনার চেয়ে সামান্য লাভ করে তেলসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করি। এবারও সরকার বলছে, রশিদ ছাড়া পণ্য কেনাবেচা করা যাবে না। প্রথমে পাইকারি ব্যবসায়ীরা মানলেও কয়দিন যাবার পরই আর তারা দিবে না।’

আগে থেকেই রশিদের প্রচলন আছে। তা আবার নতুন করে কার্যকরের ব্যাপারে চানতে চাইলে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘নিয়ম আছে তা মানতে হবে। মানলে কেউ বেশি দাম নিতে পারবে না। তাই বাজার নিয়ন্ত্রণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ‘কেউ অনিয়ম করলে তাকে শাস্তির আওতায় আসবে হবে। রশিদ প্রথা মানলে ভোক্তারা নায্যমূল্যে পণ্য পাবেন। তাই ব্যবসায়ীদের তা মানতে হবে।’

জেডএ/এসএ/

Header Ad

সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন ঠেকাতে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান অস্থিরতা নিরসনের লক্ষ্যে আগামী এক সপ্তাহব্যাপী ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত অন্যান্য সকল ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে এই ঘোষণা দেন আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা গত কয়েক দিন যাবত দেখছি আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এমনকি একইসময়ে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক আন্দোলন শুরু হয়েছে। ছাত্র পরিচয়ে লুঙ্গি পরা ব্যক্তিরাও এসে শিক্ষার্থীদের পিটাচ্ছে, যাদেরকে যে কেউ দেখলেই বুঝতে সক্ষম তারা কারা। আমরা দেখেছি রিকশাচালকদের আন্দোলনেও ছাত্রলীগ উসকানি দিয়েছে এবং সহিংস পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করেছে। তাই আজকে আমরা সকল ছাত্রসংগঠন একমত হয়েছি যে, আগামী এক সপ্তাহ আমরা ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালন করবো।

তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনে ঠেকাতে এবং প্রাতিষ্ঠানিক মেলবন্ধন অক্ষুণ্ন রাখতেই আমরা সপ্তাহব্যাপী এই কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন প্রশ্নে ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিটি রাজনৈতিক দল এবং ছাত্রসংগঠন এখন থেকে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবে। অর্থাৎ কোনো ফরমেটেই আওয়ামী লীগকে আর পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া হবে না।

হাসনাত বলেন, গত ১৬ বছরের দুঃশাসনে আওয়ামী লীগ টাকা পাচার করে দেশের ব্যাংকগুলোকে খালি করেছে। আপনারা জানেন একজন এমপিরও বিদেশে ৩ শতাধিক বাড়ি রয়েছে। আমরা আজকের বৈঠকে সকলেই ঐকমত্য হয়েছি যে, দ্রুততম সময়ে সেসব এমপি-মন্ত্রীদের সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। আমরা দেখছি বিদেশে বসেও তারা দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাদের সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা না হলে, এভাবে তারা ষড়যন্ত্র করতেই থাকবে এবং একের পর এক দেশে নানা বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে। তাই আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার ব্যবস্থা নিতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, ঢাবি ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি এসএম ফরহাদ, স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের সভাপতি জামালুদ্দিন মোহাম্মদ খালিদ, ইসলামী শাসনতন্ত্রের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাসির আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসাইন নূর ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সেক্রেটারি নাজমুল হাসান, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড আর সেক্রেটারি সৈকত আরিফ প্রমুখ।

আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ ও মুখপাত্র উমামা ফাতেমা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad

গাজায় একদিনে ২৪ জন নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে রোববার ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন ২৪ জন। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৭১ জন।

রোববারের হামলার পর গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৪ হাজার ২৩৫ জনে এবং আহত হয়েছেন মোট ১ লাখ ৪ হাজার ৬৩৮ জন। সোমবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

“তবে নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কারণ ভবনের ধ্বংস্তূপের তলায় অনেকে চাপা পড়েছেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবলের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।”

২০২৩ সালে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।

জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করার আগ পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।

Header Ad

৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে বহনকারী গাড়ি বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজায় প্রবেশ করে।

সাক্ষাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরও রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এবং বেগম জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও তার মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত ড. এনামুল হক চৌধুরী।

২০১৮ সালে কারাবরণ এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত ৬ আগস্ট স্থায়ী মুক্তির পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের এটি প্রথম সাক্ষাৎ। এর আগে ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বেগম জিয়ার সঙ্গে ঢাকাস্থ তৎকালীন রাজকীয় সৌদি রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ এইচ এম আল মুতাইরি সাক্ষাৎ করেন। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ওই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এদিকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক। ফিরোজায় অনুষ্ঠিত ওই সাক্ষাতে খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সারাহ কুক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
গাজায় একদিনে ২৪ জন নিহত
৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি
আইপিএলে দল পেলেন না মুস্তাফিজুর রহমান
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার গ্রেফতার
চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়
নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ
ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার
সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত
সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড জয় ভারতের
বদলগাছীতে বাসের ধাক্কায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত, আহত ২
মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন