মিলমালিকরা তেল দিলেই বাজার স্থিতিশীল
মিলমালিকরা চাহিদা মতো সয়াবিন তেল দিচ্ছেন না। তারা ঠিকভাবে তেল দিলে রমজান পর্যন্ত অস্থির বাজারকে স্থির করা যাবে।
বুধবার (৯ মার্চ) ভোজ্যতেলের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে মিলমালিক ও বাজার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন বাবুল এ কথা বলেন।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আজমল হোসেন বাবুল বলেন, প্রয়োজনে লিটারে এক টাকাও লাভ করব না। দোষারোপের রাজনীতি না করে কীভাবে বাজার স্থির করা যায় সেদিকে নজর দেই।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে। রমজানে প্রয়োজনে কোনো লাভ করব না। গোডাউন ভাড়া করে তেল রাখার সুযোগ নেই। তাই কাগুজে অর্ডার নিয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয়।’
সভায় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘টিকে, মেঘনা, বসুন্ধরা সবাই খোলা, প্যাকেট ও বোতলজাত তেল বিক্রি করে বাজারে। তারপরও বাজারে খোলা তেল পাওয়া যাচ্ছে না। আসছে রমজানে কোনো দোষারোপ দেখতে চাই না। মিলমালিকরা ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করবেন। ব্যবসায়ীরা সরকারের নির্দেশিত মূল্যে বাজারে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করবেন। মানুষের প্রতি ব্যবসায়ীদের দায়িত্ব আছে। সেই দায়িত্ব থেকেই মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ীরা বিনা লাভে তেল বিক্রি করবেন। মিলমালিকরা আমাদের মহাজন। কাজেই তাদের বদনাম করতে চাই না। তারা তেল দিলে দাম বাড়বে না। আমদানি বেশি করলে দাম বাড়বে না।’
এফবিসিসিআইর সাবেক সহ-সভাপতি আরও বলেন, ১৫ দিন পর পর তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হলে কেউ ঘরে লুকিয়ে রাখতে পারবে না। মিলের সামনে কিছু গোষ্ঠী চাঁদাবাজি করছে। মিলমালিকরা বিনিয়োগ করায় ভয়ে তাদের কিছু বলতে পারেন না। অভিযোগ করলে থানার ওসিরা আসতে দেরি করেন। বিষয়টি সরকারের পক্ষ থেকে দেখা দরকার।
সভায় মৌলভীবাজার সমিতির সদস্য গোলাম কিবরিয়া বলেন, অসৎ ব্যবসা করার সুযোগ নেই। মিলমালিকরা ঠিকমতো তেল দিলে দাম বাড়বে না। রমজানে প্রয়োজনে কেনা দামে বিক্রি করব তেল।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় বিভিন্ন মিলমালিক প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জেডএ/আরএ/