ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
তেলের সংকট দেখিয়ে হাজার কোটি টাকা লোপাট
মিল মালিক বলছে যথেষ্ট তেল মজুদ রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছে, এক মাস ধরে অর্ডার (এসও) কেটে তেল পাচ্ছে না। যা ১৫ দিনের মধ্যে পাওয়ার কথা। এর ফলে বাজারে দেখা দিয়েছে সয়াবিন তেলের সংকট। বাধ্য হয়ে ভোক্তারা কয়দিন ধরে বেশি দামে সয়াবিন তেল কিনতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাজার থেকে এক হাজার কোটি টাকা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এই টাকা কে নিলো তা দেখা হবে।
বুধবার (৯ মার্চ) ভোজ্য তেলের সরবরাহ ও মুল্যস্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে মিল মালিক ও বাজার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বিভিন্ন মিলমালিক প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অতিরিক্ত সচিব বলেন, বছরে ২০ লাখ টন সয়াবিন তেল লাগে। মাসে লাগে এক লাখ ২০ হাজার টন। তবে রমজান মাসে আড়াই লাখ টন লাগে। প্রতি মাসে শুধু সিটি গ্রুপ দিচ্ছে ৫০ টনের বেশি। অন্যান্য কোম্পানিও বলছে এভাবে তেল দেওয়া হচ্ছে। তাহলে বাজারে তেল নেই কেন? এতো তেল গেল কোথায়? সংকট সৃষ্টি করে ভোক্তাদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এটা অবশ্যই দেখা হবে। মিলে ভোক্তা অধিদপ্তর সব কিছু দেখবে। সঙ্গে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও থাকবে। ধরা পড়লে কেউ ছাড় পাবে না। কাজির গরু গোয়ালে কিভাবে থাকে তা দেখা হবে।'
জেডএ/