শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫ | ২০ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো ডিসেম্বরে

ছবি: সংগৃহীত

সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে একক মাসে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে দৈনিক গড়ে ৮ কোটি ৫১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগের বছরের একই সময়ে এ পরিমাণ ছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার।

২০২০ সালের জুলাই মাসে রেকর্ড ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, যা এতদিন দেশের সর্বোচ্চ ছিল।

চলতি অর্থবছরের রেমিট্যান্স প্রবাহ

জুন ২০২৪: ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার।
জুলাই: ১৯১ কোটি ডলার (সর্বনিম্ন)।
আগস্ট: ২২২ কোটি ১৩ লাখ ডলার।
সেপ্টেম্বর: ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ডলার।
অক্টোবর: ২৪০ কোটি ডলার।
নভেম্বর: ২২০ কোটি ডলার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট ২,৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে, ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২,৪৭৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও শক্তিশালী হবে বলে অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন।

Header Ad
Header Ad

আইসিইউতে অভিনেতা মুশফিক ফারহান

অভিনেতা মুশফিক আর ফারহান। ছবি: সংগৃহীত

গুরুতর অসুস্থ হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অভিনেতা মুশফিক আর ফারহান। অবস্থার অবনতি হলে গতকাল শুক্রবার রাতে তাকে আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, নাটকের শুটিংসেটে ফারহান হঠাৎ জ্বর ও শরীর ব্যাথার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শুক্রবার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর তাঁকে দ্রুত আইসিইউতে নেওয়া হয়।

সূত্রটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, বিকালে মুশফিক আর ফারহানের শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত আপডেট জানাবেন চিকিৎসকরা।

আজ এই অভিনেতার একটি নাটকের শুটিং ছিল। সাফা কবিরের সঙ্গে সেই শুটিং বাতিল করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

চীন ছাড়াও যেসব দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মহামারি এইচএমপিভি

নতুন ভাইরাস এইচএমপিভি। ছবিঃ সংগৃহীত

নতুন ভাইরাস এইচএমপিভি নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাঁচ বছর আগে যে ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছিল বিশ্বকে, আবারও সে রকম কিছু হবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগতে শুরু করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। বিভিন্ন মাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, ইতিমধ্যে এই ভাইরাসের দৌরাত্ম্য বেড়েছে চীন ও জাপানে।

দ্যা ইকনমিক টাইমস জানিয়েছে, এরই মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। ভাইরাসটি করোনার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, করোনার সময়ে হাসপাতালে যেভাবে ভিড় তৈরি হয়েছিল, একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাবেও।
একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে জাপানের। দেশটির সংবাদমাধ্যম বলছে, চলতি মৌসুমে দেশটিতে ঠান্ডাজনিত সংক্রমণ ছাড়িয়েছে ৭ লাখেরও বেশি।

নতুন এই ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ার পর এ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে বেইজিং। সেখানে মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, শীতকালে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা বাড়ে। এটাও তেমনই একটি সাধারণ সমস্যা।

চিনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং দাবি করেছেন, উত্তর গোলার্ধে শীতের সময়ে শ্বাসকষ্ট জনিত সংক্রমণ বাড়ছে। এটাও তেমনই একটি সংক্রমণ। তাছাড়া এতে ব্যাপক সংক্রমণের কোনও খবর নেই। তিনি বলেন, আমি চিন সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করতে পারি যে এখানে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও বিপদ নেই। পর্যটকরা নিশ্চিন্তে চিনে আসতে পারেন। তবে শীতে বেড়ানোর জন্য সাবধানতা অবলম্বনের কথাও বলেছেন তিনি।

চীনে প্রতিনিয়ত এইচএমপিভির সংক্রমণ বাড়লেও এখন পর্যন্ত কোনো সতর্কতা জারি করেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা দেশটির সরকার। তবে যেভাবে ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে, তাতে যে কোনো সময়ে দেশটির সরকার জরুরি অবস্থা জারি করতে পারে বলে দাবি বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের।

অনেকেরই শঙ্কা, ২০২৫ সালে আবারও করোনার মতো নতুন কোনো মহামারির উদ্ভব হতে পারে। যদিও কোন রোগটি মহামারি আকার ধারণ করবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা এখনই দেওয়া সম্ভব না। তবে এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।

এদিকে যুক্তরাজ্যের সাউথ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র গবেষক ড. মাইকেল হেড বলেছেন, ‘একটি মহামারির আশঙ্কা করা হচ্ছে, ‘তবে এখনো কোন রোগটি মহামারি আকার ধারণ করবে, সেটি নিশ্চিত না বলে আগাম মহামারির নাম দেওয়া হয়েছে ডিজিস-এক্স।’

Header Ad
Header Ad

সরকারি চাকরিতে ভ্যারিফিকেশন খেলা কেন? প্রশ্ন সারজিসের

সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত

৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য প্রথম দফায় যাঁদের গেজেটভুক্ত করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে ১৬৮ জনের নাম বাদ দিয়ে নতুন করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ নিয়ে নানা আলোচনা- সমালোচনা চলছে।

এবার বিসিএসের পুনরায় ভ্যারিফিকেশনে বাদ পড়াদের পক্ষে দাঁড়ালেন সারজিস আলম। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি লেখেন, ৪৩তম বিসিএসের পুনরায় ভ্যারিফিকেশন হয়েছে। ১৬৮ জনকে এ ধাপে বাদ দেওয়া হয়েছে। ১ম ও ২য় ভ্যারিফিকেশন মিলে মোট বাদ পড়েছে ২৬৭জন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখানো হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার নেগেটিভ রিপোর্ট। অর্থাৎ পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড। কিন্তু এখানে অনেকগুলো প্রশ্ন আছে, আওয়ামী লীগের সময়ে আওয়ামী লীগ পরিবার ব্যতীত অন্য পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা যে কারও জন্য এই প্রথম শ্রেণির সরকারি ভালো চাকরি পাওয়া কঠিন বিষয় ছিল। একই ধরনের একটি চিত্র যদি এখন দেখা যায় তাহলে পার্থক্যটা কোথায়?

যে চাকরিপ্রার্থী সে যদি নিজ যোগ্যতায় প্রিলিমিনারি, রিটেন, ভাইভা পাস করে সুপারিশপ্রাপ্ত হয় এবং তার যদি আগে কোনো অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকে তাহলে তার বাবা, চাচা, মামা, নানার রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে তাকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হবে কেন?

আমি কি করবো সেটা কি আমার চাচা নির্ধারণ করতে পারে? কিংবা আমার চাচা কি করবে সেটা কি আমি নির্ধারণ করতে পারি?

একটা সময় পরে সবাইকে ব্যক্তিগত জীবন গোছাতে হয়। ইভেন আমার বাবার রাজনৈতিক মতাদর্শের সঙ্গে আমার চিন্তাভাবনার মিল নাও থাকতে পারে। তাহলে পরিবারের কোনো একজন সদস্যের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণে অন্য একজন সদস্যকে বঞ্চিত করার অধিকার রাষ্ট্র পায় কি না?

সবচেয়ে বাজে ব্যাপার এবার হয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থার অনেকে গিয়ে এবার ইউনিয়ন আর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সেক্রেটারির কাছে বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীদের পরিবারের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা জানতে চেয়েছে !

তার মানে সারাজীবন অধ্যবসায় করা বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েট এক মেধাবী তরুণ প্রায় তিন বছর দিনরাত এক করে পড়াশোনা করার পর প্রিলি রিটেইন ভাইভা পাস করে ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পর কোনো এক ওয়ার্ড সভাপতি সেক্রেটারির মতামতের কাছে জিম্মি হয়ে যাবে? সে তার কর্ম নির্ধারণ করবে?

তাহলে এত আয়োজনের কি দরকার ছিল? এই ভ্যারিফিকেশন তো তাহলে প্রিলির আগে হয়ে যাওয়া উচিত। তাহলে তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো নষ্ট হতো না।

আর কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে সে এই মতামত দেয়? স্থানীয়ভাবে এমনিতেই নেতিবাচক একটা পলিটিক্স দেখা যায়, কে কারে ল্যাং মেরে উঠতে পারে ! যদি একজন চাকরপ্রত্যাশী এমন স্থানীয় পলিটিক্সের স্বীকার হয় তাহলে সে দায় সরকার নিবে কি না?

আমার অমর একুশে হলের জাকারিয়া ভাই এডমিন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিল। কি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তিনি! ডিপার্টমেন্ট ফার্স্ট, এমএস এ সিজিপিএ চার আউট অব চার ! ১ম ভ্যারিফিকেশন উতরে গেলেও রি-ভ্যারিফিকেশনে বাদ দেওয়া হয়! যারা উনাকে চেনেন তাদের সবার আকাশ থেকে পড়ার মতো অবস্থা! আমি ভেবেছিলাম আওয়ামী আমলে উনাকে আটকানো হতে পারে! কারণ উনার দাঁড়ি আছে, নুরানী চেহারা, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। জামায়াত-শিবির ট্যাগ দেওয়া সহজ। কিন্তু উনাকে আটকানো হলো এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে! কিন্তু এখন তো নিয়োগের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড প্রক্রিয়া নতুন করে সেট হওয়ার কথা ছিল!

পরে দেখলাম যারা বাদ পড়েছে তাদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নতুন করে আবেদন করার সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু এই ভ্যারিফিকেশন খেলা কেন? এখানে অনেকেই আছে যারা আগের চাকরি ছেড়ে এসেছে, অনেকের ছিল জীবনের শেষ চাকরির পরীক্ষা, অনেকের সামনের জীবন নির্ভর করছে এই চাকরির ওপর।

সেখানে যদি এমন রিয়েলিটি সেট করা হয় তবে যে প্রজন্ম আগামীর চাকরিপ্রার্থী তারা আপনাদের ওপর আস্থা রাখতে পারবে না, দোদুল্যমান অবস্থায় না থেকে দেশ ছেড়ে চলে যাবে। অলরেডি এটা নিয়ে কথা শুরু হয়েছে। যেটা কখনোই কাম্য নয়।

চাকরি হবে মেধার ভিত্তিতে যে মতাদর্শেরই হোক না কেন, যদি আগে ক্ষমতার অপব্যবহার, অন্যায়, অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকে তাহলে নাগরিক হিসেবে সরকারি চাকরি পাওয়া তার সাংবিধানিক অধিকার। কোনো অহেতুক এক্সকিউজে যেটা ক্ষুণ্ন করা কখনোই ভালো বার্তা বহন করে না।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আইসিইউতে অভিনেতা মুশফিক ফারহান
চীন ছাড়াও যেসব দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মহামারি এইচএমপিভি
সরকারি চাকরিতে ভ্যারিফিকেশন খেলা কেন? প্রশ্ন সারজিসের
অন্তর্বর্তী সরকারকে যেসব প্রস্তাবনা দিতে যাচ্ছে সংবিধান সংস্কার কমিশন
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে দেশব্যাপী জনসংযোগ শুরু ৬ জানুয়ারি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইউসুফ, সেক্রেটারি মাজহারুল
২০২৪ সালে সড়কে ঝরেছে ৮ হাজার ৫৪৩ প্রাণ, আহত ১২৬০৮
‘এটাই লিভারপুলে শেষ মৌসুম’, সালাহর ঘোষণা
এখনও বিয়ে হয়নি, বললেন তাহসান
ইসলামের আলোকেই সংসদ ও দেশ সাজাবো: আজহারী
নতুন বিতর্কে টিউলিপ, বিনামূল্যে আ.লীগের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে বসবাস!
প্রশিক্ষণ নিতে ভারত যাচ্ছেন ৫০ বিচারক
বাংলাদেশ চা বোর্ডে একাধিক পদে চাকরির সুযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল
শেখ হাসিনাকে ফেরত দেয়ার বিষয়ে সর্বশেষ যা জানালো ভারত
ভিনির লাল কার্ড আর বেলিংহামের পেনাল্টি মিস, তবুও জিতল রিয়াল
অবশেষে ‘চাঁদের আলো’ খুঁজে পেয়েছেন তাহসান, পাত্রী কে?
পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈতপ্রবাহ, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
এবার প্রশিক্ষণরত ২২ কনস্টেবলকে অব্যাহতি
বেনাপোল বন্দর থেকে বিপুল পরিমাণ সার্জিক্যাল ও ঔষধ সামগ্রী জব্দ