ইসলামী ব্যাংকে উত্তেজনা, ঢুকতে পারছেন না এস আলমের নিয়োগকৃতরা
ইসলামী ব্যাংক কার্যালয়ে উত্তেজনা। ছবি: সংগৃহীত
শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের প্রথম দিনেই ব্যাংকগুলো খুলেছে। লেনদেনও শুরু হয়েছে। তবে গ্রাহকদের উপস্থিতি খুবই কম। লেনদেনের পরিমাণও কম। দূরদূরান্তের কর্মকর্তারা ছাড়া সবাই অফিসে এসেছেন। গ্রাহক কম থাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নতুন সরকারে কারা থাকছেন, তা নিয়ে আলোচনা করছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।
ইসলামী ব্যাংকসহ চট্টগ্রাম ভিত্তিক এস আলম গ্রুপের ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ আলোচনার পাশাপাশি অনেকে নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু করছেন। বিশেষ করে ইসলামী ব্যাংকের অধিকাংশ শাখায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এস আলম ও জামায়াত সমর্থিত দুই গ্রুপ তর্ক-বিতর্ক করছে।
রাজধানীর দিলকুশায় ইসলামী ব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এস আলমের নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে ব্যাংকটির সুবিধাবঞ্চিত কর্মকর্তারা এস আলমের নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তাদের ঢুকতে বাধা দেন।
এদিন সকাল থেকে ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ করেন সুবিধাবঞ্চিত কর্মকর্তারা। এ সময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
ব্যাংকটির এক কর্মকর্তা বলেন, অবৈধভাবে নিয়োগের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের বসানো হয়েছিল। তাদের কারণে বৈধ নিয়োগ পাওয়াদের পদোন্নতি দেওয়া হতো না। অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়ারা ভুয়া লোন অনুমোদনসহ লুটপাট করে ব্যাংকটিকে দেউলিয়া করে দিয়েছে। তাদের অনিয়মের প্রতিবাদ করলেই চাকরি হারাতে হয়েছে।
এ সময় ইসলামী ব্যাংকের সিবিএ নেতা আনিসুর রহমান বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা শান্ত হন। দখলকৃত ইসলামী ব্যাংক খুব দ্রুত আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। এ ব্যাংকে ২০১৭ সালের পরে যত এক্সিকিউটিভ এসেছেন তারা আর এই ব্যাংকে ঢুকতে পারবেন না। এমডি সমর্থন দিয়েছেন। এরই মধ্যে আমাদের কাছে তিনি প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুল মওলার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে কল কেটে দেন।