রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

৬ মাসেই রেকর্ড ২,২৫২ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা সোনালী ব্যাংকের

ফাইল ছবি

চলতি বছরের প্রথম অর্ধবার্ষিকীতে রেকর্ড ২ হাজার ২৫২ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে সোনালী ব্যাংক পিএলসি। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে পরিচালন মুনাফায় এবারও টানা রেকর্ড গড়েছে ব্যাংকটি।

২০২৪ সালের জুন শেষে ব্যাংকটির পরিচালনা মুনাফা গত বছরের প্রথম অর্ধবার্ষিকীর চেয়ে ৫৭৩ কোটি টাকা বেশি। গত বছরের এই সময়ে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ছিলো ১ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা।

টানা রেকর্ড পরিচালন মুনাফা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি অন্যান্য সকল সূচকেও বড় অগ্রগতি লাভ করেছে সোনালী ব্যাংক। ২০২৩ সালের তুলনায় এবছর জুন সমাপনী শেষে ঋণ ও অগ্রিমের পরিমাণ বেড়েছে ৮ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা।

চলতি বছরের জুন শেষে ঋণ ও অগ্রিমের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৮ হাজার ৯২৭ কোটি টাকা, গত বছরের একই সময়ে ছিলো ৯০ হাজার ৬৫ কোটি টাকা। এই সময়ে আমানত ও ঋণ অনুপাতের হার ৬০.৫৩ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬২.৩১ শতাংশ হয়েছে, অর্থাৎ বৃদ্ধির হার প্রায় ২ শতাংশ।

রেকর্ড পরিচালনার মুনাফা লাভের পাশাপাশি সদ্য সমাপ্ত অর্ধবার্ষিকীতে আমানত সংগ্রহেও বড় অগ্রগতি লাভ করেছে সোনালী ব্যাংক। চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ব্যাংকটির আমানত ২০২৩ সালের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা।

২০২৩ সালের জুন সমাপনী শেষে ব্যাংকের আমানতের স্থিতি ছিলো ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা, যা চলতি বছরে অর্ধবার্ষিকী শেষে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকায়।

এবছর জুন পর্যন্ত শ্রেণিকৃত ঋণ আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৬ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের জুন শেষে শ্রেণিকৃত ঋণ হতে আদায়ের পরিমাণ ছিল ২৭৭ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৯৩ কোটি টাকা। একই সময়ে ব্যাংকের শ্রেণিকৃত ঋণের হার ১৩.৮১ শতাংশ হতে হ্রাস পেয়ে হয়েছে ১৩.২৪ শতাংশ।

এছাড়া ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালের প্রথম অর্ধবার্ষিকী শেষে প্রকৃত সুদ আয় হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। ২০২৩ সালের জুন শেষে প্রকৃত সুদ আয়ের পরিমাণ ছিলো ৩৩৮ কোটি টাকা, ২০২৪ সালের ‍জুন শেষে প্রকৃত সুদ আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৫৫ কোটি টাকায়। অর্থাৎ প্রকৃত সুদ আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৪১৭ কোটি টাকা।

২০২৩ সালের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখা, গ্রাহকসেবার মান বৃদ্ধি, সেবার আরো আধুনিকায়নসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে টানা রেকর্ড মুনাফা অর্জন ও অন্যান্য সূচকে বড় অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা।

টানা সাফল্যের বিষয়ে জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংক পিএলসির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. আফজাল করিম জানান, ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, গ্রাহকসেবার মান বৃদ্ধি, ব্যাংকের ডিজিটাল ও স্মার্ট সেবার পরিধি বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি ব্যাংকের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সকল সূচকে আগামী দিনগুলিতে যেন ক্রম উন্নতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে সে লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। রোববার (২০ এপ্রিল) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পসহ মোট ১৬টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১৬ হাজার ৭১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪ হাজার ৪২৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

এ সময় উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দর প্রকল্পে সঠিকভাবে অগ্রগতি না থাকায় এটি “সমুদ্র বন্দরও হবে না, খালের বন্দরও হবে না” - এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প ও গৃহায়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, নৌ ও শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

Header Ad
Header Ad

বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন অনুষ্ঠিত বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, গত ১৫ বছরে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। এজন্য নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রার্থীদের, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের এবং যারা অনিয়মে যুক্ত ছিল, তাদের তদন্ত করে বিচার করতে হবে।

রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে ফ্যাসিস্ট কাঠামোয় নিয়ে গেছে এবং মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে, যার দায় নির্বাচন কমিশনেরও রয়েছে।

বৈঠকে এনসিপির পক্ষ থেকে আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—মনোনয়নপত্র জমা দিতে সশরীরে আসার বিধান প্রবর্তন, প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই-বাছাই করে সত্যতা নিরূপণ, নির্বাচনে সহিংসতা রোধে আচরণবিধি সংস্কার, ঋণখেলাপিদের প্রার্থিতা বাতিল, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র মনিটরিং করা।

এছাড়া একই নামে একাধিক দলের নিবন্ধন, অফিসবিহীন দলকে বৈধতা দেওয়া এবং এসব বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। এনসিপি মনে করে, এসব বাস্তবায়ন না হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন ও তাজনুভা জাবীন।

Header Ad
Header Ad

এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল

ছবি: সংগৃহীত

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনেই দেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানা গেছে, ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসীরা ১৭১ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। ডলারপ্রতি ১২২ টাকা ধরে যার পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার ৯৬৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

রেমিট্যান্সের বড় একটি অংশ এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে—৯৮ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬৩ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো দিয়ে ৯ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

এর আগেও চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশে এক মাসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে—৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও যথাক্রমে ২১৯ কোটি ও ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা, ডলারের ভালো বিনিময় হার এবং রমজান ও ঈদ উপলক্ষ্যে প্রবাসীদের বাড়তি পাঠানোর প্রবণতা—এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, এপ্রিল শেষে এই প্রবাহ ৩৫০ কোটি ডলারের বেশি হতে পারে, যা নতুন একটি রেকর্ড হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যুবলীগ কর্মী মিঠু গ্রেফতার
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক