৬ মাসেই রেকর্ড ২,২৫২ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা সোনালী ব্যাংকের
ফাইল ছবি
চলতি বছরের প্রথম অর্ধবার্ষিকীতে রেকর্ড ২ হাজার ২৫২ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে সোনালী ব্যাংক পিএলসি। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে পরিচালন মুনাফায় এবারও টানা রেকর্ড গড়েছে ব্যাংকটি।
২০২৪ সালের জুন শেষে ব্যাংকটির পরিচালনা মুনাফা গত বছরের প্রথম অর্ধবার্ষিকীর চেয়ে ৫৭৩ কোটি টাকা বেশি। গত বছরের এই সময়ে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ছিলো ১ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা।
টানা রেকর্ড পরিচালন মুনাফা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি অন্যান্য সকল সূচকেও বড় অগ্রগতি লাভ করেছে সোনালী ব্যাংক। ২০২৩ সালের তুলনায় এবছর জুন সমাপনী শেষে ঋণ ও অগ্রিমের পরিমাণ বেড়েছে ৮ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা।
চলতি বছরের জুন শেষে ঋণ ও অগ্রিমের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৮ হাজার ৯২৭ কোটি টাকা, গত বছরের একই সময়ে ছিলো ৯০ হাজার ৬৫ কোটি টাকা। এই সময়ে আমানত ও ঋণ অনুপাতের হার ৬০.৫৩ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬২.৩১ শতাংশ হয়েছে, অর্থাৎ বৃদ্ধির হার প্রায় ২ শতাংশ।
রেকর্ড পরিচালনার মুনাফা লাভের পাশাপাশি সদ্য সমাপ্ত অর্ধবার্ষিকীতে আমানত সংগ্রহেও বড় অগ্রগতি লাভ করেছে সোনালী ব্যাংক। চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ব্যাংকটির আমানত ২০২৩ সালের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা।
২০২৩ সালের জুন সমাপনী শেষে ব্যাংকের আমানতের স্থিতি ছিলো ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা, যা চলতি বছরে অর্ধবার্ষিকী শেষে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকায়।
এবছর জুন পর্যন্ত শ্রেণিকৃত ঋণ আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৬ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের জুন শেষে শ্রেণিকৃত ঋণ হতে আদায়ের পরিমাণ ছিল ২৭৭ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৯৩ কোটি টাকা। একই সময়ে ব্যাংকের শ্রেণিকৃত ঋণের হার ১৩.৮১ শতাংশ হতে হ্রাস পেয়ে হয়েছে ১৩.২৪ শতাংশ।
এছাড়া ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালের প্রথম অর্ধবার্ষিকী শেষে প্রকৃত সুদ আয় হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। ২০২৩ সালের জুন শেষে প্রকৃত সুদ আয়ের পরিমাণ ছিলো ৩৩৮ কোটি টাকা, ২০২৪ সালের জুন শেষে প্রকৃত সুদ আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৫৫ কোটি টাকায়। অর্থাৎ প্রকৃত সুদ আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৪১৭ কোটি টাকা।
২০২৩ সালের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখা, গ্রাহকসেবার মান বৃদ্ধি, সেবার আরো আধুনিকায়নসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে টানা রেকর্ড মুনাফা অর্জন ও অন্যান্য সূচকে বড় অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা।
টানা সাফল্যের বিষয়ে জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংক পিএলসির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. আফজাল করিম জানান, ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, গ্রাহকসেবার মান বৃদ্ধি, ব্যাংকের ডিজিটাল ও স্মার্ট সেবার পরিধি বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি ব্যাংকের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সকল সূচকে আগামী দিনগুলিতে যেন ক্রম উন্নতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে সে লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।