শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

স্কুল শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাবে সঞ্চয় ২৩৩৯ কোটি টাকা

স্কুল ব্যাংকিং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। সারাদেশে বিভিন্ন ব্যাংকে এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ৩২ লাখ ১৮ হাজার হিসাব খোলা হয়েছে। বলা যেতে পারে, শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাব খোলার ক্ষেত্রে রীতিমত বিপ্লব ঘটেছে। গত তিন মাসের ব্যবধানে হিসাব বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ। মার্চ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হিসাব ছিল ৩১ লাখের বেশি। জুন পর্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ৫১ শতাংশ হিসাব খোলা  হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের হিসাবে সঞ্চয় করেছে ২ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

ওই প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, সর্বোচ্চ হিসাব খোলা হয়েছে ঢাকা বিভাগে, ৮ লাখ ১১ হাজার; যা মোট ব্যাংক হিসাবের ২৫ দশমিক ২০ শতাংশ এবং মোট সঞ্চয়ের প্রায় ৪৪ শতাংশ। ডাচ বাংলা ব্যাংকে সর্বোচ্চ হিসাব খোলা হয়েছে প্রায় ৬ লাখ। এসব ব্যাংক হিসাবে সঞ্চয় জমা হয়েছে ৬১০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাব খোলার উদ্যোগ নেন। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই শিশুদের মধ্যে সঞ্চয়ের মনোভাব গড়ে তুলতে ২০১০ সালের ২ নভেম্বর স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ কার্যক্রম চালু হওয়ার পর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত এক যুগে ৩২ লাখ ১৮ হাজার ১৯৩টি ব্যাংক হিসাব খুলে স্কুল শিক্ষার্থীরা। একই সময়ে তারা ব্যাংকে জমা করেছে ২ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকার বেশি। ৬০টি ব্যাংকের মধ্যে সারা দেশে ৫৫টি ব্যাংকে এসব হিসাব খোলা হয়েছে। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও এক বছরে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেড়েছে স্কুল ব্যাংকিং। গত বছরের মার্চ থেকে ব্যাংক হিসাব খোলার হার বেড়েছে ৮ শতাংশের বেশি। আর চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুনে বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাব খোলার ক্ষেত্রে এগিয়ে বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মেয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাংক হিসাব খুলেছে প্রায় ৫৩ শতাংশ। এর বিপরীতে ছেলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হিসাব খুলেছে ৪৭ শতাংশ।

ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ হিসাব খোলা হয়েছে ৮ লাখ ১১ হাজার, যা মোট হিসাবের ২৫ দশমিক ২০ শতাংশ। এসব ব্যাংক হিসাবে মোট সঞ্চয় জমা হয়েছে ১ হাজার ২৪ কোটি টাকা বা প্রায় ৪৪ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে প্রায় ৭ লাখ বা ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ। এসব হিসাব নম্বরে সঞ্চয় জমা হয়েছে ৫৩৪ কোটি টাকা বা ২২ দশমিক ৮১ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে প্রায় ৪ লাখ ৪২ হাজার হিসাব নম্বরে সঞ্চয় জমা হয়েছে ১৯৫ কোটি টাকা।

বাংলাদশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাব সবচেয়ে এগিয়ে বেসরকারি ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে খোলা হয়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ হিসাব নম্বর। এগুলোতে সঞ্চয়ও বেড়েছে ৭৮ দশমিক ৬১ শতাংশ। এর বিপরীতে নয়টি বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে সাতটিতে ১ শতাংশ হিসাবও খোলা হয়নি।

স্কুল ব্যাংকিংয়ে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে শীর্ষ পাঁচটি ব্যাংকের স্থান হচ্ছে ৫৫ দশমিক ২৫ শতাংশ।এরমধ্যে শীর্ষে রয়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংক। এই ব্যাংকে হিসাব খোলার সংখ্যা হচ্ছে ৫ লাখ ৯৪ হাজার। এরপরের অবস্থানে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক। এই ব্যাংকে শিক্ষার্থীদের হিসাব খোলা হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার, অগ্রণী ব্যাংকে ২ লাখ ৭৪ হাজার, ব্যাংক এশিয়ার ২ লাখ ১৭ হাজার এবং রুপালী ব্যাংকে হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার।

স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় ৬ থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের মা-বাবা অথবা বৈধ অভিভাবকের সঙ্গে যৌথ নামে হিসাব খুলতে পারে। কোনো সার্ভিস চার্জ ছাড়াই ১০০ টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাব খোলার এই সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, মহামারির অভিঘাতে অনেক পরিবারের উপার্জন কমে যাওয়ায় স্কুল ব্যাংকিংয়ে এর বড় প্রভাব পড়েছে। যে কারণে শহরের স্কুলে ব্যাংকিং কমলেও গ্রামে বেড়েছে।

উল্লেখ্য, স্কুলের শিক্ষার্থীদের আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা ও প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করতে স্কুল ব্যাংকিং সেবা চালু হওয়ার পর থেকেই স্কুলপড়ুয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করতে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আকর্ষণীয় মুনাফার নানা স্কিম চালু করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা আরও জানান, স্কুলব্যাংকিং আরও জনপ্রিয় করতে বাংলাদেশ ব্যাংক তফসিলি ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে; যাতে আরও প্রচারের মাধ্যমে স্কুল শিক্ষার্থীদের ব্যাংকিং কার্যক্রমে যুক্ত করা যায়। স্কুল ব্যাংকিং বাড়লে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করা সম্ভব। কারণ শিক্ষার্থীরা এই ব্যাংকে জমা করা অর্থ পরে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারবে।

এনএইচবি/জেডএ/এসএন

Header Ad
Header Ad

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস। ছবি: সংগৃহীত

দুই ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাচার হয়েছে ঘাঁটির সংবেদনশীল এলাকার ছবি, ভিডিও, নথিসহ বিভিন্ন ভবনের নকশা।

এমন অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) বিরুদ্ধে। ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) দাবি, নারী গোয়েন্দাকে ব্যবহার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ পর্যন্ত দুই জনকে আটক করেছে দেশটির এনআইএ।

জানা যায়, ১১ হাজারেরও বেশি একর জায়গা নিয়ে ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত নৌঘাঁটি- ‛আইএনএস কদম্ব’। বর্তমানে এটিই দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটি। তবে, সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে পূর্ব গোলার্ধ্বের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটিতে পরিণত হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে আইএনএস কদম্বকে। সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে কৌশলগত ব্যাপক অবদান রয়েছে। তবে, চতুর্দিক নিরাপত্তায় মোড়া এই ঘাঁটির সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এমন অভিযোগ উঠেছে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বিরুদ্ধে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি- ঐ নৌঘাঁটিতে কর্মরত দুই সিভিলিয়ান ঠিকাদার কর্মীদের হানিট্র্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয় নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা। যার সাথে ২০২৩ সাল থেকে পরিচয় ছিল ঐ দুই কর্মীর। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামে ভিন্ন নামের তাদের সাথে শখ্যতা গড়ে তোলেন ঐ নারী।

গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ঐ দুই ঠিকাদার কর্মীর মাধ্যমে আইএনএস কদম্বের খুবই সংরক্ষিত স্থানের ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা, সিমুলেটর বিল্ডিং এরিয়ার ছবি সুকৌশলে হাতিয়ে নেন ঐ পাকিস্তানি গোয়েন্দা। এমনকি কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা রেডি টু এনগেজ মুডে থাকে এসব তথ্য রয়েছে আইএসআই’র কাছে।

তবে, আটক দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে দেয়া হত। টানা ৮মাস টাকা দিয়ে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি, তাদের মাধ্যমে পাচার হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত

মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানীর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ভুক্তভোগী কয়েকজন বাসযাত্রী মির্জাপুর থানায় গিয়ে চলন্ত বাসে ডাকাতির বিষয়ে ডিউটি অফিসার মো. আতিকুজ্জামানকে অবহিত করেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় কয়েক মিনিট পর তারা থানা ত্যাগ করেন।

এছাড়া ডিউটি অফিসার তাদের নাম ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর সহ কোন তথ্যই রাখেননি তিনি। যার কারণে মামলা গ্রহণ করতে বিলম্ব হয়। এরপর ঘটনার তিনদিন পরে এক ভুক্তভোগী বাস যাত্রীর মামলা নিতে হয়েছে।

এদিকে, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান গত শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি রাতেই এএসআই আতিকুজ্জামানকে মির্জাপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করেন। শনিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এএসআই আতিকুজ্জামানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ বিষয়ে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান জানান, শনিবার আতিকুজ্জামানের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার
আমার মা চাইতেন না আমি বিয়ে করে সংসারী হই : পপি