সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

৩ বছরে ২৪ হত্যার রহস্যভেদ

ময়নাতদন্তে আত্মহত্যা, পিবিআই তদন্তে হত্যা!

২০১৮ সালের ২৮ জুন। হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয় সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা নূর ইসলামের। ময়নাতদন্ত শেষে দেয়া প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। আদালতের নির্দেশে ২০২১ সালে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্তের এক পর্যায়ে তারা জানতে পারে এটি আত্মহত্যা নয়, হত্যাকাণ্ড। সম্প্রতি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামি ফারুককে গ্রেপ্তার করে রিমাণ্ডে নেয়া হলে হত্যার দ্বায় স্বীকার করে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রেমিকাকে দিয়ে ডেকে এনে হত্যা করা হয় ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার রামপুরা ইউনিয়নের সদস্য মোনায়েমকে। খুনের পর তার মরাদেহ ঝুলিয়ে দেওয়া একটি গাছে। এ ঘটনায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও বলা হয় আত্মহত্যা। পুলিশ সেটি আমলে নিয়ে আত্মহত্যা উল্লেখ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদনও দাখিল করে। পরে বাদির নারাজীতে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। তদন্তের এক পর্যায়ে দেখা যায় তাকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায়ও সম্প্রতি ৫ জনকে গ্রেপ্তার করলে ৩ জন হত্যার দ্বায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

শুধু এ দুটি ঘটনাই নয়। গত ৩ বছরে এ ধরনের ২৪টি হত্যা মামলার তদন্ত উদঘাটন করেছে পিবিআই। সেখানে দেখা গেছে সব ঘটনাতেই আত্মহত্যা বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে একটি ঘটনা ঢাকাতে। বাকিগুলো বগুড়া জেলার শেরপুর, ময়মনসিংহের নান্দাইলে দুটি, ডিএমপির চকবাজার, গাজীপুরের কালিয়াকৈর, শ্রীপুর মডেল, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া, টাঙ্গাইলের ভূয়াপুর, রংপুর ও গোপালগঞ্জ সদর থানায় দায়ের হওয়া মামলা বলে জানা গেছে। রাজনৈতিক প্রভাব, অর্থের লেনদেন, তদন্ত কর্মকর্তার গাফলতি ও পক্ষপাতের অভিযোগ রয়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রেই।

ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকেরা বলছেন, জেলাশহরগুলোতে এ ধরনের সমস্যা বেশি হচ্ছে। কারণ জেলায় ময়নাতদন্তের পর ভিষেরা সংরক্ষন করে তা দীর্ঘদিন রেখে দেওয়া হয়। এরাপর আরো কয়েকটি জমা হলে তা ফরেনসিকে পাঠানো হয়। এতে অনেক সময় নিভূল প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব হয় না। পাশাপাশি আধুনিক যন্ত্রপাতিরও যথেষ্ট অভাব রয়েছে।

২০১৮ সালের ২৮ জুন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি ধুকুরিয়া বেড়া পশ্চিপাড়ার একটি পতিত জমি থেকে একই জেলার এনায়েতপুর থানার জালালপুর গ্রামের নূর ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত নূর জালালপুর গ্রামের বাসিন্দা হলেও তিনি বেলকুচি থানার মধুপুরে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতেন। তাঁতের কাজ করতেন টাঙ্গাইলের কালিহাতি এলাকায়। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক এটি আত্মহত্যা বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল আলীম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে ওমর ফারুক, তার বাবা আব্দুর রহমান ও মা নাজমা বেগমকে আসামী করে অভিযোগপত্র দেন।

পরবর্তীতে মামলার বাদি আদালতে নারাজি দিলে আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার দায়িত্ব নেওয়া পর পুলিশ ১৭ জন স্বাক্ষির সঙ্গে কথা বলেন এবং হত্যা করা হতে পারে বলে ধারনা পান। এরপর পুলিশ ফারুকের সন্ধানে নামে। এক পর্যায়ে ফারুক গত বছরের পহেলা এপ্রিল আদালতে আত্নসমার্পন করলে তাদের দুইদিনের রিমান্ডে আনে পিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ফারুক খুনের পর নূর মোহাম্মদকে একটি বরুইগাছে ঝুলিয়ে রাখার কথা স্বীকার করে।

ফারুক পুলিশকে জানায়, সংসারে অশান্তি থাকার কারনে একদিন মন খারাপ করে একটি ফাঁকা মাঠে বসে ছিলেন তিনি। এসময় সেখানে নূর ইসলামের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর ঘটনা জানার পর ফারুককে তাঁতকলে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাঙ্গাইলে নিয়ে আসে। সেখানে কাজ করার এক পর্যায়ে ফারুকের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে নূর ইসলাম। এক পর্যায়ে অতিষ্ট হয়ে ফারুক বাড়ি চলে আসতে চাইলে আত্মহত্যার হুমকি দেয় নূর ইসলাম। এরপর তারা একসঙ্গে গত বছরের ২৭ জুন ফারুকের বাড়িতে যায়। সেখানেও গভীর রাতে ফরুকের উপর যৌন নির্যাতন চালানোর চেষ্টা করলে নূর ইসলামের গলা চেপে ধরে ফারুক। একপর্যায়ে তার শ্বাসবন্ধ হয়ে গেছে বুঝতে পেরে বাড়ির উঠানে বরই গাছের সাথে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। এরপর বিষয়টি রাতেই ফারুকের বাবা-মা টের পেয়ে ফারুককে মারধর করে। এক পর্যায়ে ফারুক সব খুলে বললে তারা লাশ নামিয়ে মাঠের একটি পরিত্যাক্ত জায়গায় ফেলে দেয়। এ ঘটনায় লাশ ঘুমে সহায়তার অভিযোগে ফারুকের বাবা-মাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

এরআগে, ২০১৬ সালে রাজশাহীর বোয়ালমারিতে হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনাল থেকে সুমাইয়া নাসরিন ও তার বন্ধু মিজানুর রহমানের মৃতদেহ পাওয়া যায়। মিজানুরের লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল। আর সুমাইয়ার লাশ বিছানায় বালিশ চাপা দেয়া অবস্থায় পড়ে ছিল। এ ঘটনায়ও ময়না তদন্তে আত্মহত্যা বলা হয়। তারপর থানা পুলিশ-‘কোন সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকায়’ ময়না তদন্তের ওপর ‘ভিত্তি করেই’ আত্মহত্যার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। কিন্তু থানা পুলিশের প্রতিবেদনে আদালত সন্তুষ্ট না হওয়ায় মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দেয়।

পিবিআইয়ের তদন্ত টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন, বেশ কিছুদিন পর রাজশাহী জেলার পিবিআই তদন্ত করে দেখল ওটা ছিল হত্যাকাণ্ড। ত্রিভুজ প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে ওই দুই খুন। সাবেক প্রেমিক ও তার সহযোগী/বন্ধুরা মিলে পরিকল্পিত ভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তাদের হোটেলে থাকার খবর পেয়ে সুমাইয়ার সাবেক প্রেমিক ও তার বন্ধুসহ কয়েকজন ওই হোটেলে যান। তারা গোপনে হোটেল নাইসের পাশের একটি ভবনের ছাদ দিয়ে একটু নিচে নেমে হোটেলের জানালা খুলে তাদের কক্ষে ঢুকে। ওই সময় মিজান হোটেলের বাইরে ছিল। আর সুমাইয়া হোটেল রুমে অবস্থান করছিল। তখন অভিযুক্তরা সুমাইয়াকে দিয়ে মিজানকে ফোন করে। মিজান সুমাইয়ার ফোন পেয়ে তাড়াতাড়ি হোটেলে গিয়ে রুমে ঢুকলে অভিযুক্তরা সুমাইয়ার বন্ধু মিজানকে জাপটে ধরে। এরপর হোটেল রুমে সুমাইয়ার সামনে মিজানকে প্রচণ্ড মারপিট করে। একপর্যায়ে রুমের ভিতরে সুমাইয়ার ওড়না নিয়ে মিজানের গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে।

মিজানের লাশ ফেলে রেখে হোটেল কক্ষে অভিযুক্ত রাহাত ও আল-আমিন সুমাইয়াকে ধর্ষণ করে। এরপর তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। দুজনকে হত্যার পর মিজানের লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। আর সুমাইয়ার লাশ হোটেলে বিছানায় বালিশ চাপা দেয়া অবস্থায় পড়ে ছিল। এ সবই বেরিয়ে এসেছে পিবিআইয়ের তদন্তে। পিবিআই আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, সুমাইয়ার বন্ধু আল-আমিন, বোরহানুল কবির, আহসান হাবিব ও রাহাত মাহমুদ। তারা সবাই ওই সময় ছাত্র ছিল।

ময়নাতদন্তের ভুল এড়াতে চিকিৎসকদের আরো সতর্ক ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন পিবিআইয়ের প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার। তিনি বলেন, সাধারণত ময়নাতদন্ত হত্যা বা খুনের মামলার জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তার উপর নির্ভর করে অনেক ক্ষেত্রে তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হয়। এ কারনে একাজে যুক্ত চিকিৎসকদের আরো সতর্ক হওয়া জরুরি। একই সাঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তারও গাফলতি রয়েছে। 

এনএইচ/

Header Ad
Header Ad

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার অভিযোগপত্র পর্যালোচনা এবং মেঘনা আলমের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল মডেল মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আটক করে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর আদালতে তাকে আটক রাখার আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন মিলে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রটি বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের ব্যবহার করে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহিত করত। এরপর এসব সম্পর্কের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ভিকটিমদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হতো।

 

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি দেওয়ান সমির 'কাওয়ালি গ্রুপ' নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং 'সানজানা ইন্টারন্যাশনাল' নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক। এর আগে তার 'মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড' নামের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল।

চক্রটি 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর' নিয়োগের নামে সুন্দরী ও আকর্ষণীয় মেয়েদের ব্যবহার করে সহজে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে যাতায়াতের সুযোগ তৈরি করত। উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের চাঁদা আদায় এবং দেওয়ান সমিরের ব্যক্তিগত ব্যবসাকে লাভজনক করা।

Header Ad
Header Ad

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, আন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং এই গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর' গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার।

সোমবার (২৮ এপ্রিল ২০২৫) সরকারের পক্ষ থেকে গেজেট আকারে এ সংক্রান্ত ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই অধিদপ্তর গঠনের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনেই এই নতুন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি, অধিদপ্তর গঠনের প্রক্রিয়ায় গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টি উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অধিদপ্তর শুধু ইতিহাস সংরক্ষণের কাজই করবে না, বরং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গবেষণা, প্রকাশনা এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে, নিহত এবং আহতদের পরিবারদের যথাযথ পুনর্বাসন ও সহায়তার ব্যবস্থাও করা হবে।

Header Ad
Header Ad

নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি

ছবি: সংগৃহীত

নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।


তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পর একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মূল আসামির পাশাপাশি নিরীহ মানুষকেও মামলায় আসামি করছে। এটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ধরনের হয়রানি সহ্য করা হবে না। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে মামলার তদন্ত করবে এবং নিরীহ কাউকে হয়রানির শিকার হতে দেওয়া হবে না।”

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) থেকে তিন দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ শুরু হচ্ছে। এবার পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, “এবার আমরা অনাড়ম্বরভাবে নয়, বরং বাস্তবসম্মত ও কার্যকরভাবে পুলিশ সপ্তাহ পালন করতে চাই। শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও দায়িত্ববোধ বাড়ানো হবে।”

তিনি আরও জানান, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কার্যকর পরিকল্পনা ও মতামত সংগ্রহ করে সেগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া এবারের পুলিশ সপ্তাহে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা সরাসরি পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে তাদের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ প্রদান করবেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি