অনলাইনে জুয়া পরিচালনায় জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার
দেশে অনলাইন জুয়ার দৌরাত্ম্য ক্রমশ বেড়েছে। বিশেষ করে কিশোর-তরুণেরা এই জুয়ার দিকে ঝুঁকছে।অনলাইন জুয়ার প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে রাশিয়ায় পাচার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। অনলাইন জুয়ার সাইটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- মো. রেজাউল করিম (৩১), মো. সৈকত রহমান (৩০), মো. সাদিকুল ইসলাম (২৮), নাজমুল আহসান (৩০), মো. তৌহিদ হোসেন (২৫) ও মো. জাকির হোসেন (৩৪)।
অভিযানে তাদের কাছ থেকে ১৭টি বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল ফোন, ২১টি সিমকার্ড, ল্যাপটপ ৪টি, ডেস্কটপ কম্পিউটার ৭টি, ট্যাব ২টি, এবং নগদ প্রায় ৪ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
সিআইডি বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রেজাউল ও সৈকত আন্তর্জাতিক জুয়ারি চক্রের অন্যতম সদস্য। রেজাউল আন্তর্জাতিক জুয়ারি চক্রের বাংলাদেশি এজেন্টের দায়িত্বপালন করছিলেন। অন্যদের মধ্যে সাদিকুল ও জাকির মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট। তাঁরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করতেন। এর সামান্য লভ্যাংশ রেখে পুরো অর্থ হুন্ডি অথবা ক্রিপ্টোকারেন্সির (ডিজিটাল বা ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা) মাধ্যমে রাশিয়ায় পাচার করা হতো। নাজমুল ও তৌহিদ চক্রের সদস্য হিসেবে কাজ করছিলেন।
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) আজাদ রহমান জানান, জুয়ারি চক্রটি রাজধানীসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জুয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। রাশিয়াপ্রবাসী শরীয়তপুরের মতিউর রহমান জুয়ার সাইটগুলোর বাংলাদেশের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর অন্যতম তিন সহযোগী রেজাউল, সৈকত ও যশোরের আশিকুর রহমান তিনটি জুয়ার সাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশে জুয়া নিয়ন্ত্রণ করেন। তবে আশিকুর এখনো গ্রেপ্তার হননি। মতিউর রাশিয়ার মস্কোয় থাকেন।
সিআইডি সূত্র জানায়, রাশিয়া থেকে মূলত অনলাইন জুয়ার ওয়েবসাইটগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অ্যাপস পরিচালনা করার জন্য প্রযুক্তিতে দক্ষ লোক নিয়োগ দেওয়া হয়। গ্রেপ্তার রেজাউলের বাসা থেকে সাতটি কম্পিউটার ও চারটি ল্যাপটপের মাধ্যমে জুয়া পরিচালনা করা হচ্ছিল।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।