বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, বিটিআরসি কর্মকর্তা সনজিব কুমার গ্রেপ্তার
বিটিআরসির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের উপপরিচালক সঞ্জীব কুমার সিংহ।
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) উপপরিচালক সনজিব কুমার সিংহ।ভুক্তভোগী এক নারী ধানমণ্ডি থানায় মামলা করার পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলায় একমাত্র আসামি সনজিব কুমার সিংহ।
গ্রেপ্তার সনজিব ময়মনসিংহের আরকে মিশন রোড এলাকার বাসিন্দা গৌরাঙ্গ চন্দ্র সিংহের ছেলে এবং ঢাকায় ধানমণ্ডি এলাকায় বসবাস করেন। তিনি বিটিআরসির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের উপপরিচালক হিসেবে কর্মরত।
শনিবার রাতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি পারভেজ ইসলাম। তিনি বলেন, এক নারীর মামলায় বিটিআরসি কর্মকর্তা সনজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ভুক্তভোগীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তীতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়৷ আদালত শুনানি শেষে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন।'
সরকারি কর্মকর্তা গ্রেপ্তারের বিষয়টি বিটিআরসিকে জানানো হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি লিখিতভাবে আসামির কর্মস্থল বিটিআরসিকে জানানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন সনজিব। এরপর বিয়ের প্রলোভনে ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ এবং ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে সনজিবের প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারলে ওই নারী তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চান। কিন্তু সনজিব ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ওই নারীকে ধর্ষণ এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। গত ১৫ আগস্ট ওই নারীকে সনজিব তার ধানমণ্ডির বাসায় ডেকে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কাঁচের বোতল দিয়ে আঘাত করেন। এরপর আহত অবস্থায় কৌশলে ওই নারী বাড়ি থেকে চলে আসেন এবং ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে সনজিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।