শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মিয়ানমার থেকে অস্ত্র সহায়তা পাচ্ছে কেএনএফ!

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের একটি বিপথগামী অংশ মিয়ানমারের ইন্ধনে এখানে সশস্ত্র সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছে। খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, অস্ত্র, মাদক, মানবপাচার ও ডাকাতিসহ নানান অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে এসব রোহিঙ্গা। স্থানীয়দের অভিযোগ, রোহিঙ্গাদের প্রতিটি ক্যাম্পেই এসব সন্ত্রাসীর গোপন মিশন রয়েছে। তাদের মদতে প্রায় এক ডজনের মতো সশস্ত্র গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। এ ছাড়াও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা বান্দরবানের পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফকেও অস্ত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এদের বিরুদ্ধে।

সূত্র মতে, দিন দিন খুন খারাবিতে জড়িয়ে পড়া এসব রোহিঙ্গা এখন বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে। তাদের আশ্রয়স্থল কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্প এখন পরিণত হয়েছে অপরাধের স্বর্গরাজ্যে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার জেরে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে এসব রোহিঙ্গা।

স্থানীয়রা জানান, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার পর মিয়ানমার সরকারের মদতপুষ্ট বিতর্কিত ও কথিত সশস্ত্র সংগঠন আরসার চিহ্নিত সদস্যদের প্রতিরোধের ডাক দিয়ে সম্প্রতি ওই মাদারাসায় একটি সমাবেশ করে প্রত্যাবাসনপ্রত্যাশী সাধারণ রোহিঙ্গারা। সেখানেই বক্তব্য দেন মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ ইদ্রিস। এজন্য তিনি ন্যাক্কারজনক এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে বলে ধারণা তাদের।

রোহিঙ্গাদের আরেকটি সূত্রের দাবি, মুহিবুল্লাহ হত্যার পর থেকে সাধারণ রোহিঙ্গাদের তোপের মুখে কোণঠাসা হয়ে পড়ে কথিত ‘আরসা’র পরিচিত সদস্যরা। তারা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে টেকনাফের হ্নীলার নয়াপাড়া মুছনি ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকায় স্থানীয় কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপের আশ্রয়ে রয়েছে। ফয়েজউল্লা নামে এক ‘আরসা’র সদস্যকে সম্প্রতি বালুখালী ক্যাম্প থেকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয় রোহিঙ্গারা। প্রত্যাবাসনপ্রত্যাশী রোহিঙ্গারা একাট্টা হওয়ায় নিজেদের অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে দেখে ক্যাম্পে বড় ধরনের নাশকতার ছক তৈরি করে দুর্বৃত্ত রোহিঙ্গারা। এরই অংশ হিসেবে মাদরাসায় নারকীয় এই ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছেন তারা।

রোহিঙ্গা নেতা হামিদ হোসেন, মো. ইব্রাহিম ও আবদুস শুক্কুরসহ কয়েকজন সচেতন রোহিঙ্গা দাবি করেছেন- মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড ও ঘুমন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে হত্যা একই সূত্রে গাঁথা। কথিত আরসার সন্ত্রাসীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে দাবি করেছেন তারা।

তারা আরও বলেন, প্রত্যাবাসনের বদলে বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের অপরাধী প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠেছে মিয়ানমার সরকার। এজন্য তারা বিপথগামী রোহিঙ্গাদের দিয়ে ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।

এদিকে, কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য বলছে, ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের অপরাধ দিনে দিনে বাড়ছে। গত চার বছরে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ১২ ধরনের অপরাধে ১ হাজার ৩০০ মামলা হয়েছে। এতে আসামি হয়েছে ২ হাজার ৮৭০ রোহিঙ্গা। অপরাধের মধ্যে রয়েছে- হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক পাচার, মানব পাচার, পুলিশের উপর হামলা ইত্যাদি।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চার বছরে ১০০ খুনের মামলা হয়েছে। এসময়ে ৭৬২টি মাদক, ২৮টি মানবপাচার, ৮৭টি অস্ত্র, ৬৫টি ধর্ষণ ও ১০টি ডাকাতির মামলা হয়েছে। ৩৪টি মামলা হয়েছে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অপরাধে। অন্যান্য অপরাধে হয়েছে ৮৯টি মামলা।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিওকর্মীদের দাবি, অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরেই অন্তত ১৫-২০টি সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী সক্রিয় রয়েছে। এর বাইরে ক্যাম্পকেন্দ্রিক আরও একাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। প্রত্যেক বাহিনীতে ৩০ থেকে ১০০ জন সদস্য রয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে ক্যাম্পগুলো হয়ে ওঠে অপরাধের স্বর্গরাজ্য। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে রোহিঙ্গারা। ক্যাম্পগুলোতে দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি থাকলেও রাতে তা অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়ে।

উখিয়ার রাজাপালং ইউপির কুতুপালং এলাকার সদস্য প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন বলেন, রোহিঙ্গারা সহজে সীমান্ত পার হয়ে মিয়ানমারে যাওয়া-আসা করতে পারছে। এ কারণে ইয়াবা ও স্বর্ণ চোরাচালান বেড়েছে। আর এসব ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে ক্যাম্পকেন্দ্রিক গড়ে উঠেছে অনেক সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী। এতে করে খুনাখুনি ও অপরাধের মাত্রা দিনে দিনে বাড়ছে।

অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সদ্য কারামুক্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক কয়েকজন মাদককারবারি জানান, ক্যাম্পে প্রতিদিন শত কোটি টাকার বেশি ইয়াবার লেনদেন হয়। হাতবদল হয় অন্তত ২৫-৩০ লাখ ইয়াবা। মূলত ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পের ভেতরে-বাইরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠেছে।

ক্যাম্পে ব্যাপকভাবে পরিচিত সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে রয়েছে- মাস্টার মুন্না গ্রুপ, মৌলভী ইউসুফ গ্রুপ, রকি বাহিনী, শুক্কুর বাহিনী, আব্দুল হাকিম বাহিনী, সাদ্দাম গ্রুপ, জাকির বাহিনী, নবী হোসেন বাহিনী, পুতিয়া গ্রুপ, সালমান শাহ গ্রুপ, গিয়াস বাহিনী, শাহ আজম গ্রুপ অন্যতম।

অভিযোগ রয়েছে, ক্যাম্পভিত্তিক বেশিরভাগ সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিদের যোগাযোগ রয়েছে। ক্যাম্প অশান্ত করতে সন্ত্রাসী গ্রুপকে কোটি কোটি টাকার ইয়াবা ফ্রিতে দিচ্ছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী। মূলত বিশ্বে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী হিসেবে তুলে ধরা, আন্তর্জাতিক আদালতে চলমান রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্ব করতে চায় মিয়ানমার।

১৯৭৮ সালের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে আসে বাংলাদেশে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানের পর দেশে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রবেশ করে। সবমিলিয়ে দেশে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৩ লাখের বেশি। সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে। বাকিরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, সীমান্ত এলাকা বাদ দিয়ে শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে অপরাধবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছে। কক্সবাজারের ইতিহাসে ইয়াবার সবচেয়ে বড় চালান জেলা পুলিশ জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে। দায়িত্বে না পড়লেও আইনশৃঙ্খলার পাশাপাশি মাদক নিয়ন্ত্রণে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে বান্দরবানের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফকেও অস্ত্রসহ নানা ধরনের সহায়তার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে এই সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর একের পর এক হামলা করছে। তাদের হামলায় হতাহতের ঘটনাও বাড়ছে। অভিযোগ উঠেছে, কেএনএফের সন্ত্রাসীরা মিয়ানমার থেকে প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা পাচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরে অর্থাৎ পাহাড়ের ভেতরে অঘটন ঘটিয়ে তারা মিয়ানমারে পালিয়ে যাচ্ছে। আবার সুযোগ মতে তারা ভেতরে প্রবেশ করছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে এই সন্ত্রাসীরা পাশের দেশ মিয়ানমার থেকে নানা সহায়তা পাচ্ছে। সাম্প্রতিক ঘটনায় আমরা নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছি। দ্রুত অভিযানও শুরু হবে।

এসএন

Header Ad
Header Ad

হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪

ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাক ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুজন নারী রয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মাধবপুর উপজেলার বাখরনখর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুলাহ আল মামুন।

নিহতদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও দুজন নারী। তাদের কারও নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। এদিকে গুরুতর আহত পাঁচজনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ট্রাক ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। পিকআপে ঘরের জিনিসপত্রসহ ১৭ যাত্রী ছিলেন। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজন।

ট্রাক ও পিকআপ হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আব্দুলাহ আল মামুন বলেন, লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। নিহতদের পরিচয় শনাক্তে পুলিশ কাজ চলছে।

Header Ad
Header Ad

সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার

ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সৌদি আরব ও মরক্কো থেকে ৭০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি করবে সরকার। এর মধ্যে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার এবং ৩০ হাজার টন টিএসপি সার রয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৪৬৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে সৌদি আরবের মা’আদেন কোম্পানির সঙ্গে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় ৫ম লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। এ চালানে ব্যয় হবে ৩০৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, যা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) বাস্তবায়ন করবে। প্রতি মেট্রিক টন ডিএপি সারের দাম পড়বে ৬২২ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার।

এছাড়া, মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস কোম্পানির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৫ম লটের ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে। এ চালানে ব্যয় হবে ১৬২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন টিএসপি সারের দাম ধরা হয়েছে ৪৪৫ মার্কিন ডলার।

দুইটি চালান মিলিয়ে মোট ব্যয় দাঁড়াবে ৪৬৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

Header Ad
Header Ad

গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ৫৯০ গ্রাম হিরোইন উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ৩ যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলায় অপর দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আতিকুর রহমান এই দণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার শ্রীমন্তপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে সোহেল রানা (৪১), একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৩৭) ও আসাদুল ইসলাম (৩২)।

দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনেই গ্রেফতারের পর থেকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে ছিলেন। রায়ের আগে দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

এছাড়া খালাস পাওয়া দুই আসামি হলেন, শ্রীমন্তপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৪৫) ও আনারুল ইসলাম (৪০)। তারা দুইজন জামিনে ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম প্রামাণিক জানান, ৫৯০ গ্রাম হিরোইন উদ্ধারের মামলায় আদালতে বিচারিক প্রক্রিয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আসামিদের উপস্থিতিতে বিচারক আজ এ রায় দেন।

মামলার বরাত দিয়ে জেলা জজ আদালতের স্টোনে মো. সাইদুর রহমান জানান, ২০২১ সালে ১৬ই জুলাই গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মাদক বেচাকেনার উদ্দেশে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার শ্রীমন্তপুর গ্রামের ট্রাক চালক সোহেল রানা, আবুল কালাম আজাদ, আসাদুল ইসলাম, শফিকুল ও আনারুল একটি ট্রাকসহ অবস্থান করেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পেট্রোল পাম্পের সামনে থাকা ট্রাকটি তল্লাশি করে তাদের আটক করে গাইবান্ধা র‍্যাব-৩ এর সদস্যরা।

এসময় ট্রাকের ক্যাবিনে থাকা পলিথিনে মোড়ানো দুটি প্যাকেটে থাকা ১৫ লাখ টাকা মূল্যের ৫৯০ গ্রাম হিরোইন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে তদন্ত শেষে ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুইজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
নিজেকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা করলেন ফয়জুল করীম
ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের
টাঙ্গাইলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কেন্দ্র সচিব ও পরীক্ষার্থীসহ আটক ৬
৭১ এর গণহত‍্যার জন‍্য ক্ষমা ও সম্পদ ফেরত দেয়া নিয়ে আলোচনায় সম্মত পাকিস্তান
এবার স্ত্রী রিয়া মনিকে তালাকের ঘোষণা দিলেন হিরো আলম
সাবেক এমপি বাহারের জমি-বাড়ি জব্দ, ২৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো ধরণের বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত
বিজ্ঞানীদের সফলতা: ইমপ্লান্ট নয়, নতুন করে গজাবে ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত!
নওগাঁয় বাসায় ঢুকে তরুণকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বাংলাদেশের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব
অবশেষে আসছে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন-৫’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
ফোনের চার্জ দ্রুত শেষ? জেনে নিন ১০টি কার্যকর সমাধান
সংস্কারের নাম উচ্চারণের আগেই খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০ দিয়েছেন: বিএনপি
১ মে থেকে ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা, ১০ দফা দাবি পোল্ট্রি খামারিদের