মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ | ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মিয়ানমার থেকে অস্ত্র সহায়তা পাচ্ছে কেএনএফ!

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের একটি বিপথগামী অংশ মিয়ানমারের ইন্ধনে এখানে সশস্ত্র সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছে। খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, অস্ত্র, মাদক, মানবপাচার ও ডাকাতিসহ নানান অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে এসব রোহিঙ্গা। স্থানীয়দের অভিযোগ, রোহিঙ্গাদের প্রতিটি ক্যাম্পেই এসব সন্ত্রাসীর গোপন মিশন রয়েছে। তাদের মদতে প্রায় এক ডজনের মতো সশস্ত্র গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। এ ছাড়াও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা বান্দরবানের পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফকেও অস্ত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এদের বিরুদ্ধে।

সূত্র মতে, দিন দিন খুন খারাবিতে জড়িয়ে পড়া এসব রোহিঙ্গা এখন বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে। তাদের আশ্রয়স্থল কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্প এখন পরিণত হয়েছে অপরাধের স্বর্গরাজ্যে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার জেরে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে এসব রোহিঙ্গা।

স্থানীয়রা জানান, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার পর মিয়ানমার সরকারের মদতপুষ্ট বিতর্কিত ও কথিত সশস্ত্র সংগঠন আরসার চিহ্নিত সদস্যদের প্রতিরোধের ডাক দিয়ে সম্প্রতি ওই মাদারাসায় একটি সমাবেশ করে প্রত্যাবাসনপ্রত্যাশী সাধারণ রোহিঙ্গারা। সেখানেই বক্তব্য দেন মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ ইদ্রিস। এজন্য তিনি ন্যাক্কারজনক এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে বলে ধারণা তাদের।

রোহিঙ্গাদের আরেকটি সূত্রের দাবি, মুহিবুল্লাহ হত্যার পর থেকে সাধারণ রোহিঙ্গাদের তোপের মুখে কোণঠাসা হয়ে পড়ে কথিত ‘আরসা’র পরিচিত সদস্যরা। তারা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে টেকনাফের হ্নীলার নয়াপাড়া মুছনি ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকায় স্থানীয় কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপের আশ্রয়ে রয়েছে। ফয়েজউল্লা নামে এক ‘আরসা’র সদস্যকে সম্প্রতি বালুখালী ক্যাম্প থেকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয় রোহিঙ্গারা। প্রত্যাবাসনপ্রত্যাশী রোহিঙ্গারা একাট্টা হওয়ায় নিজেদের অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে দেখে ক্যাম্পে বড় ধরনের নাশকতার ছক তৈরি করে দুর্বৃত্ত রোহিঙ্গারা। এরই অংশ হিসেবে মাদরাসায় নারকীয় এই ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছেন তারা।

রোহিঙ্গা নেতা হামিদ হোসেন, মো. ইব্রাহিম ও আবদুস শুক্কুরসহ কয়েকজন সচেতন রোহিঙ্গা দাবি করেছেন- মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড ও ঘুমন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে হত্যা একই সূত্রে গাঁথা। কথিত আরসার সন্ত্রাসীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে দাবি করেছেন তারা।

তারা আরও বলেন, প্রত্যাবাসনের বদলে বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের অপরাধী প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠেছে মিয়ানমার সরকার। এজন্য তারা বিপথগামী রোহিঙ্গাদের দিয়ে ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।

এদিকে, কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য বলছে, ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের অপরাধ দিনে দিনে বাড়ছে। গত চার বছরে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ১২ ধরনের অপরাধে ১ হাজার ৩০০ মামলা হয়েছে। এতে আসামি হয়েছে ২ হাজার ৮৭০ রোহিঙ্গা। অপরাধের মধ্যে রয়েছে- হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক পাচার, মানব পাচার, পুলিশের উপর হামলা ইত্যাদি।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চার বছরে ১০০ খুনের মামলা হয়েছে। এসময়ে ৭৬২টি মাদক, ২৮টি মানবপাচার, ৮৭টি অস্ত্র, ৬৫টি ধর্ষণ ও ১০টি ডাকাতির মামলা হয়েছে। ৩৪টি মামলা হয়েছে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অপরাধে। অন্যান্য অপরাধে হয়েছে ৮৯টি মামলা।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিওকর্মীদের দাবি, অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরেই অন্তত ১৫-২০টি সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী সক্রিয় রয়েছে। এর বাইরে ক্যাম্পকেন্দ্রিক আরও একাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। প্রত্যেক বাহিনীতে ৩০ থেকে ১০০ জন সদস্য রয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে ক্যাম্পগুলো হয়ে ওঠে অপরাধের স্বর্গরাজ্য। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে রোহিঙ্গারা। ক্যাম্পগুলোতে দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি থাকলেও রাতে তা অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়ে।

উখিয়ার রাজাপালং ইউপির কুতুপালং এলাকার সদস্য প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন বলেন, রোহিঙ্গারা সহজে সীমান্ত পার হয়ে মিয়ানমারে যাওয়া-আসা করতে পারছে। এ কারণে ইয়াবা ও স্বর্ণ চোরাচালান বেড়েছে। আর এসব ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে ক্যাম্পকেন্দ্রিক গড়ে উঠেছে অনেক সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী। এতে করে খুনাখুনি ও অপরাধের মাত্রা দিনে দিনে বাড়ছে।

অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সদ্য কারামুক্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক কয়েকজন মাদককারবারি জানান, ক্যাম্পে প্রতিদিন শত কোটি টাকার বেশি ইয়াবার লেনদেন হয়। হাতবদল হয় অন্তত ২৫-৩০ লাখ ইয়াবা। মূলত ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পের ভেতরে-বাইরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠেছে।

ক্যাম্পে ব্যাপকভাবে পরিচিত সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে রয়েছে- মাস্টার মুন্না গ্রুপ, মৌলভী ইউসুফ গ্রুপ, রকি বাহিনী, শুক্কুর বাহিনী, আব্দুল হাকিম বাহিনী, সাদ্দাম গ্রুপ, জাকির বাহিনী, নবী হোসেন বাহিনী, পুতিয়া গ্রুপ, সালমান শাহ গ্রুপ, গিয়াস বাহিনী, শাহ আজম গ্রুপ অন্যতম।

অভিযোগ রয়েছে, ক্যাম্পভিত্তিক বেশিরভাগ সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিদের যোগাযোগ রয়েছে। ক্যাম্প অশান্ত করতে সন্ত্রাসী গ্রুপকে কোটি কোটি টাকার ইয়াবা ফ্রিতে দিচ্ছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী। মূলত বিশ্বে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী হিসেবে তুলে ধরা, আন্তর্জাতিক আদালতে চলমান রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্ব করতে চায় মিয়ানমার।

১৯৭৮ সালের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে আসে বাংলাদেশে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানের পর দেশে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রবেশ করে। সবমিলিয়ে দেশে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৩ লাখের বেশি। সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে। বাকিরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, সীমান্ত এলাকা বাদ দিয়ে শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে অপরাধবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছে। কক্সবাজারের ইতিহাসে ইয়াবার সবচেয়ে বড় চালান জেলা পুলিশ জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে। দায়িত্বে না পড়লেও আইনশৃঙ্খলার পাশাপাশি মাদক নিয়ন্ত্রণে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে বান্দরবানের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফকেও অস্ত্রসহ নানা ধরনের সহায়তার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে এই সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর একের পর এক হামলা করছে। তাদের হামলায় হতাহতের ঘটনাও বাড়ছে। অভিযোগ উঠেছে, কেএনএফের সন্ত্রাসীরা মিয়ানমার থেকে প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা পাচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরে অর্থাৎ পাহাড়ের ভেতরে অঘটন ঘটিয়ে তারা মিয়ানমারে পালিয়ে যাচ্ছে। আবার সুযোগ মতে তারা ভেতরে প্রবেশ করছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে এই সন্ত্রাসীরা পাশের দেশ মিয়ানমার থেকে নানা সহায়তা পাচ্ছে। সাম্প্রতিক ঘটনায় আমরা নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছি। দ্রুত অভিযানও শুরু হবে।

এসএন

Header Ad
Header Ad

সালমান এফ রহমানের লন্ডনের সম্পদ জব্দ, দুটি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ

বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের নামে লন্ডনে থাকা স্থাবর সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও তার দুটি বিদেশি ব্যাংক হিসাব ও কোম্পানির শেয়ারও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এই আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের অর্থ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের পর সেগুলো আত্মসাৎ এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগও করা হয়েছে।

আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, অনুসন্ধানকালে সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠদের নামে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে।

 

Header Ad
Header Ad

পাগল বেশে নারীদের উত্ত্যক্ত করা সেই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর খালিদ গ্রেপ্তার

নারীর পোশাক নিয়ে অশালীন মন্তব্যের ভিডিও বানিয়ে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হৃদয়। ছবি: সংগৃহীত

নারীদের প্রতি অশালীন অঙ্গভঙ্গি ও মন্তব্যের মাধ্যমে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে কনটেন্ট ক্রিয়েটর মো. খালিদ মাহমুদ হৃদয় খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাভারের আমিনবাজার এলাকা থেকে বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে সাভার থানা পুলিশ।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায়, খালিদ মাহমুদ হৃদয় খান পাগলের বেশ ধরে মেয়েদের হিজাব ছাড়া বের হওয়ার জন্য অশালীন মন্তব্য করতেন এবং সেইসব ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিতেন। শুধু মুসলিম নারীরাই নয়, তার ভিডিওতে দুজন অন্য ধর্মের কিশোরীকেও আপত্তিকর মন্তব্যের শিকার হতে দেখা গেছে।

পুলিশ আরও জানায়, তার এই ধরনের কাজের মাধ্যমে সমাজে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, যা আইনের পরিপন্থী। তাই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

একাকিত্বের কষ্টে ভুগছেন পরীমণি, জানালেন আবেগঘন অনুভূতির কথা

চিত্রনায়িকা পরীমণি। ছবি: সংগৃহীত

ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণি বরাবরই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনায় থাকেন। বিয়ে, পরকীয়া ও বিচ্ছেদের মতো নানা ঘটনায় তিনি শিরোনামে এসেছেন। তবে সবকিছুর পরেও অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মনে আলাদা জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি পরীমণি তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক আবেগঘন পোস্ট করেছেন, যেখানে তিনি নিজের একাকিত্বের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “আহারে জীবন। আমরা সবসময় চেষ্টা করি সোশ্যাল মিডিয়ায় জীবনকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে। কিন্তু সত্যিই কি সবসময় তা সম্ভব হয়? হয় না। আমি নিজেই কত অসহায় বোধ করি যখন একা একা খাবার সামনে বসতে হয়।”

 

চিত্রনায়িকা পরীমণি। ছবি: সংগৃহীত

তিনি আরও যোগ করেন, “শুধু এই সময়টাতেই নিজেকে খুব একা মনে হয়। এতিম মনে হয়। নানা ভাই বেঁচে থাকতে কখনো বুঝতেই পারিনি যে, আমি এভাবে একা হয়ে যাবো। রাত হোক বা দিন, সময় হোক বা অসময়—যখনই খেতে বসতাম, নানা ভাই সামনে বসে থাকতেন।”

তার এই একাকিত্বের অনুভূতির কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, “বাচ্চারা ঘুমালে নিজের জন্য একটু সময় পাওয়ার কথা ভাবি। হাতে জমে থাকা অনেক কাজ সেরে ফেলার চেষ্টা করি। সবই করি। কিন্তু একা বসে খাবার খাওয়া আর পারি না।”

 

চিত্রনায়িকা পরীমণি। ছবি: সংগৃহীত

পোস্টের শেষাংশে তিনি বলেন, “রোজার সময় সেহরি বা ইফতারে এখন আর কোনো আয়োজন থাকে না আমার। তবে আমি সবকিছু সহ্য করে নতুন করে বেঁচে থাকার মানুষ। আমি জানি, আমার বাচ্চারা বড় হলে আবার নতুন করে সুখী মানুষ হয়ে যাবো। তখন আর একা বসে খেতে হবে না।”

পরীমণির এই আবেগঘন পোস্ট তার ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকেই তার প্রতি সমবেদনা ও সহানুভূতি জানিয়েছেন এবং তাকে শক্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সালমান এফ রহমানের লন্ডনের সম্পদ জব্দ, দুটি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ
পাগল বেশে নারীদের উত্ত্যক্ত করা সেই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর খালিদ গ্রেপ্তার
একাকিত্বের কষ্টে ভুগছেন পরীমণি, জানালেন আবেগঘন অনুভূতির কথা
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা: কে কত বেতন পাবেন
ভারতকে ব্যবহার করে শেখ হাসিনার প্রচারণা চালানো বিপজ্জনক: গার্ডিয়ানকে ড. ইউনূস
বাড়ি ফেরার পথে টাঙ্গাইলে গাড়ি চাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা মানে ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মাদের সহযোগিতা করা: টুকু
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহার রিয়াদের
আগামী ৮ বছর বিশ্বকে শাসন করতে প্রস্তুত ভারত: কোহলি
এনআইডিতে ডাকনাম-একাধিক স্ত্রীর নাম যুক্তের নীতিগত সিদ্ধান্ত
হাতের ইশারায় পলকের সালাম, বললেন মুখ খুললেই বাড়ে মামলা
দলীয় নেতাকে খুনের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির তিন নেতা বহিষ্কার
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী
কাফির বাড়িতে আগুনের ঘটনায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ কর্মী গ্রেপ্তার
এবার ঈদের আগে বাজারে আসছে না নতুন নোট
ছাত্র আন্দোলনে গুলি করা আওয়ামী লীগ নেতার ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
যে প্রক্রিয়ায় কোটি টাকা কেজিতে রপ্তানি হচ্ছে মাছ! (ভিডিও)
ওমরাহ পালন করে দলের ঐক্য দৃঢ় করল জাতীয় ফুটবল দল
হাসিনা ও পরিবারের ১২৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬৩৫ কোটি টাকার খোঁজ
জুলাই আন্দোলনে জড়িয়ে পড়া নিয়ে জাতিসংঘ থেকে বার্তা পায়নি সেনাবাহিনী: আইএসপিআর