শাহজালাল বিমানবন্দরে বাড়ানো হয়েছে বিশেষ নজরদারি
চোরাকারবারিদের ধরাসহ নানা অপরাধ দমনে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের বিশেষ ইউনিট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এই নজরদারি বাড়িয়েছে।
বিমানবন্দরে মূলত দায়িত্ব পালন করে পুলিশের বিশেষ ইউনিট এপিবিএন। এই এপিবিএনের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি বিমানবন্দর দিয়ে প্রতারক, হত্যা মামলার আসামি, স্বর্ণ চোরাকারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশ ও দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। যার কারণে এসব অপরাধীদের ধরতে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
বেশ কয়েকদিন আগে এ সমস্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এপিবিএন। এসব অভিযানে অনেক অপরাধী ধরা পড়ে এবং বেশ কিছু অপরাধী পালিয়েও যায়। সব মিলিয়ে বিমানবন্দরের সুরক্ষা দিতে এবং দেশের অপরাধ দমন করতে এপিবিএনের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
বিমানবন্দরে যাত্রী ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে বহু ধরনের প্রতারণা করে আসা জাবেদ গ্যাংয়ের মূল হোতা জাবেদকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে, তিনি একজন ভয়ঙ্কর প্রতারক। তিনি মানুষের অনেক টাকা আত্মসাত করেছেন এবং বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধ করে আসছিলেন। এমনকি তিনি স্বর্ণ ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য অপরাধীদেরও আশ্রয় দিয়ে থাকে। গোয়েন্দা তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জাবেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে গেল ১৪ এপ্রিল বিমানবন্দর থেকে ৫টি সোনার বার ও ৫০টি স্বর্ণের চেইনসহ ক্যাব চালককে আটক করে এপিবিএন। অপরাধী এই ক্যাব চালকের নাম সালেহকুজ্জামান যিনি হজরত বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) গাড়ি চালক।
জানতে চাইলে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিমানবন্দর সুরক্ষিত রাখতে আমরা বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করছি। এসব অভিযানে চিহ্নিত অপরাধীরা আমাদের হাতে আটক হচ্ছে। এয়ারপোর্ট পুলিশ গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে এবং তা বিশ্লেষণ করে সব অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হচ্ছে।
জিয়াউল হক আরও বলেন, সম্প্রতি বেশ কিছু অপরাধীকে আমরা আইনের আওতায় এনেছি যেগুলো দেশজুড়ে বেশ আলোচিত হয়েছে। আমরা চোরাকারবারিদের ধরতে, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ধরতে যথেষ্ট তৎপর আছি।
এয়ারপোর্টে চলাচলরত যাত্রীরা যাতে সুন্দরভাবে চলাচল করতে পারে সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে জিয়াউল হক বলেন, যাত্রীদের কথা চিন্তা করে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাড়িয়েছি।
এপিবিএনের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, অনেক সময় দেখা গেছে শাহজালাল থেকে কোটি কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার করা হচ্ছে। কিন্তু এর সঙ্গে যুক্ত অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে। তবে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সংযুক্ত অপরাধীদেরও গ্রেপ্তার করতে আমরা তৎপর রয়েছি। তা ছাড়া বিমানবন্দর এলাকায় মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
আরইউ/এসএন