বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

রাজস্ব ফাঁকি: কাস্টমস কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

 

ভুয়া বন্ড লাইসেন্স তৈরি করে ৯টি এলসির বিপরীতে সরকারের ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে ১০ কাস্টমস কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আসামিরা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাভার শাখায় ৯টি এলসি খুলে চট্টগ্রাম বন্দর এবং নারায়ণগঞ্জ আদমজী ইপিজেড থেকে পণ্য আমদানির মাধ্যমে ওই রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। যেখানে কাস্টমসের কর্মকর্তারা প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুদক উপপরিচালক মঈনুল হাসান রওশনী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এরআগে গতকাল বুধবার (৫ এপ্রিল) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ওই অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

শিগগিরই দুদক উপপরিচালক মঈনুল হাসান রওশনী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।

তিনি বলেন, অনুমোদিত অভিযোগপত্রে আসামিরা হলেন- রাজশাহী কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রতন কুমার মৈত্র, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা এ কে এম মজিবুর রহমান, রেজাউল করিম ও কেরামত আলী ফকির, চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রুখসানা বেগম, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে ঢাকা দক্ষিণের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সেলিম চৌধুরী, মূসক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ফরিদ উদ্দীন, নারায়ণগঞ্জের আদমজী ইপিজেড কাস্টমস হাউসের সাবেক সহকারী রাজম্ব কর্মকর্তা বেনু রঞ্জন পাল, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা খন্দকার গোলাম মোর্তজা ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম এবং মেসার্স এস এম পলি কার্টুন অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক ফরহাদ ইবনে জামান, কুমিল্লা শিপিং এজেন্সির পরিচালক মো. আলাউদ্দীন ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স ইসলাম অ্যাসোসিয়েটসের মালিক মো. খাইরুল ইসলাম।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ভুয়া বন্ড লাইসেন্স তৈরি করে মেসার্স পলি কার্টুন অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক ফরহাদ ইবনে জামান ২০১৩ সালের ১ জুন থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাভার শাখায় ৪টি এলসি দ্বারা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এবং ৫টি এলসি দ্বারা নারায়ণগঞ্জ আদমজী ইপিজেড থেকে পণ্য আমদানি করা হয়। জাল বন্ড লাইসেন্স ব্যবহার করে মোট ৯টি বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে চট্টগ্রাম বন্দর ও আদমজী ইপিজেড থেকে শুল্কমুক্তভাবে পণ্য খালাস করে মোট ১ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার ৬৭৭ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আসামি ফরহাদ ইবনে জামানের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কুমিল্লা শিপিং এজেন্সির পরিচালক আলাউদ্দিন ভুয়া বন্ড লাইসেন্স ব্যবহার করে পণ্য খালাস করে। ৪ এলসির বিপরীতে সরকারের মোট ৫৫ লাখ ৬১ হাজার ৬৩৩ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিতে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছেন। অন্যদিকে আত্মসাত করা ওই রাজস্বের মধ্যে ২০১৩ সালের ১১ আগস্ট ১২ লাখ ৭১ হাজার ৩৮০ টাকা ফাঁকি দিতে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রতন কুমার মৈত্র ও মুজিবর রহমানের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। অনুরূপভাবে একই বছরের ২২ জুন ১০ লাখ ১৯ হাজার ৩৯৩ টাকা, ৬ অক্টোবর ১২ লাখ ৫২ হাজার ৮৮ টাকা ও ৬ অক্টোবর ২০ লাখ ২৬ হাজার ৭৭২ টাকার রাজস্ব ফাঁকিতে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল করিম, কেরামত আলী ফকির, মোহাম্মৎ রুখসানা বেগম ও সেলিম চৌধুরীর সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে দুদক।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে আরও জানা যায়, আসামি ফরহাদ ইবনে জামানের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ইসলাম অ্যাসোসিয়েশনের মালিক মো. খাইরুল ইসলাম ৫টি এলসির দ্বারা আমদানি করা পণ্য ভুয়াভাবে সৃষ্ট বন্ড লাইসেন্স ব্যবহার করে সরকারের ১ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ৪৪ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিতে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন। ৫টি এলসির বিপরীতে আমদানি করা পণ্য ভুয়াভাবে সৃষ্ট বন্ড লাইসেন্সের সঠিকতা যাচাই-বাছাই না করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে স্বীয় স্বার্থ সিদ্ধির জন্য কাস্টমস কর্মকর্তারা সহযোগিতা করেছেন। যেখানে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ফরিদ উদ্দীন, বেনু রঞ্জন পাল, খন্দকার গোলাম মোর্তজা ও জাহাঙ্গীর আলমের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা।

এভাবে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাভার শাখা হতে ৯টি এলসি দ্বারা পণা আমদানি করার ভুয়া বন্ড লাইসেন্স দেখিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ও নারায়ণগঞ্জ আদমজি ইপিজেড হতে শুল্কমুক্তভাবে পণ্য খালাস করে মোট ১ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার ৬৭৭ টাকা রাজস্ব ফাঁকির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত করে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

কেএম/এসএন

Header Ad
Header Ad

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে

অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হক ও মাউশির লোগো। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক নেতাদের আন্দোলন ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) পদ থেকে অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি শিক্ষা ক্যাডারের ১৪তম বিসিএসের কর্মকর্তা এবং পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি তার বিতর্কিত কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে মাউশিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে, নতুন মহাপরিচালক হিসেবে অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানের এই দায়িত্ব কেবল সাময়িক, যা পদোন্নতি হিসেবে গণ্য হবে না। পরবর্তীতে নিয়মিত নিয়োগের মাধ্যমে মহাপরিচালক নিয়োগ হলে এই চলতি দায়িত্ব বাতিল হয়ে যাবে।

অধ্যাপক এহতেসাম উল হকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এর আগে তিনি বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন চালানোর অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তথ্য তিনি পুলিশের কাছে সরবরাহ করেছিলেন।

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট তার অপসারণের দাবিতে কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০২১ সালের জুন মাসে বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যোগদানের পর থেকে তিনি নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যান। তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, অধ্যক্ষ থাকাকালীন তিনি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন এবং আন্দোলনে অসহযোগিতা করতেন। এমনকি কলেজের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন, যা তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও ব্যবহার করতেন। তিনি কলেজের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে নিজের বাসায় গ্রিল নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ করিয়েছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিতেন এবং বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) খারাপ করে দেওয়ার ভয় দেখাতেন। এছাড়া, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন না দিয়ে বিদায় করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ডিজি পদ থেকে এহতেসাম উল হককে অপসারণের খবরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, একজন বিতর্কিত ব্যক্তি শিক্ষাখাতের এত বড় দায়িত্বে থাকতে পারেন না। তার অপসারণের মাধ্যমে প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতি সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।

Header Ad
Header Ad

২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি

ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ সালের বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিতর্কিত নির্বাচনে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের কারণে এই কর্মকর্তাদের ওএসডি করা হয়েছে। এর আগে একই কারণে আরও ১২ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছিল।

ওএসডি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পরিচালক (যুগ্মসচিব) কবীর মাহমুদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. মাহমুদুল আলম, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. আবুল ফজল মীর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সদস্য-পরিচালক (যুগ্মসচিব) মঈনউল ইসলাম, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্মসচিব) মো. ওয়াহিদুজ্জামান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) এ কে এম মামুনুর রশিদ এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) সদস্য (যুগ্মসচিব) ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।

এছাড়া তালিকায় রয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কাজী আবু তাহের, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদস্য (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) আনার কলি মাহবুব, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য (যুগ্মসচিব) সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সাবিনা ইয়াসমিন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আতাউল গনি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (সংযুক্ত) আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।

এছাড়া, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এ জেড এম নুরুল হক, বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) এস এম আজিয়র রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সচিব (যুগ্ম-সচিব) মো. মাসুদ আলম সিদ্দিক এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব গোপাল চন্দ্র দাশসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই ওই সময়ের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এবার সেই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে ওএসডি করা হচ্ছে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক বিশ্লেষকরা।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকেই দায়ী করে নতুন বিতর্ক উসকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন রাজনীতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প এবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল।

মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনে একটি নতুন নির্বাচন হওয়া উচিত। বিশ্লেষকদের মতে, এটি জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনারই ইঙ্গিত।

ট্রাম্প আরও বলেন, ইউক্রেনে দীর্ঘদিন ধরে কোনো নির্বাচন হয়নি এবং সেখানে সামরিক আইন চলছে। তার দাবি, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা মাত্র চার শতাংশে নেমে গেছে, আর দেশটি ধ্বংসের পথে। যদিও যুদ্ধকালীন সময়ে নির্ভরযোগ্য জনমত জরিপ পাওয়া কঠিন, তবে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা ট্রাম্পের দাবির মতো এতটা কমেনি।

এছাড়া, ইউক্রেনের নির্বাচন প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, "তারা কি জনগণের মতামত নিয়েছে? তারা আলোচনার টেবিলে বসতে চায়, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেখানে কোনো নির্বাচন হয়নি।"

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে ২০২৪ সালের এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, যুদ্ধকালীন সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য কৌতুকপূর্ণ, কারণ তিনি নিজেই ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ইউক্রেন চাইলে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারতো এবং তাদের উচিত ছিল রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর অর্থ হলো—ইউক্রেনকে হয় রাশিয়ার মিত্র সরকার গঠনের প্রস্তাবে রাজি হতে হতো, নয়তো প্রতিরোধ ছেড়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হতো।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক অবস্থান ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইউক্রেনকে সমর্থন না দিয়ে বরং রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি বিতর্কিত শান্তিচুক্তির দিকে এগোতে পারেন, যা পুতিনের জন্য বড় ধরনের কূটনৈতিক জয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

সূত্র: সিএনএন

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে
২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি
ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল
ডিবির সাবেক প্রধান হারুনের ১০০ বিঘা জমি, ৫ ভবন ও ২ ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেখা গুপ্তা, বিজেপির সিদ্ধান্তে চমক
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতির শহীদ মিনারে না যাওয়ার আহ্বান
নামাজি জীবনসঙ্গী খুঁজছেন আইশা খান
গাইবান্ধায় গাঁজাসহ আটক এএসআইকে কারাগারে প্রেরণ
উপদেষ্টাদের মিটিংয়ে কোন প্রটোকলে গিয়েছিলেন হাসনাত-পাটোয়ারী: ছাত্রদল সেক্রেটারি
সরকারে থেকে ‘নতুন দল’ গঠন করলে মেনে নেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল
হোস্টিং সামিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানকে ৩২১ রানের বড় লক্ষ্য দিলো নিউজিল্যান্ড
বৈষম্যবিরোধী নামধারী শীর্ষ নেতার নির্দেশে কুয়েটে ছাত্রদলের ওপর হামলা: রাকিব
যান্ত্রিক ত্রুটিতে আবারও বন্ধ বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
কুবিতে ছাত্র সংসদের দাবিতে মানববন্ধন ও সন্ত্রাসবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল
২২০ জনকে নিয়োগ দেবে সমরাস্ত্র কারখানা, এসএসসি পাসেও আবেদন
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ২ দিনব্যাপি খামারি প্রশিক্ষণ
সবার সাত দিন কারাগারে থাকা উচিত: আদালতে পলক
বিপ্লবী সরকারের ডাক থেকে সরে এলেন কাফি  
নাঈম ভাই হেনা কোথায়?: ‘তুই অনেক দেরি করে ফেলেছিস বাপ্পা’