বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

রাজধানীতে বেড়েছে চুরি-ছিনতাই, পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার

প্রতিবছর রমজান মাস আসলেই রাজধানীতে ছিনতাই ব্যাপকহারে বেড়ে যায়। এরসঙ্গে চুরি-ডাকাতির ঘটনাও ঘটে। তাই চলতি রমজান মাস এবং ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীতে চুরি-ছিনতাই-ডাকাতি ঠেকাতে নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। ইউনিফর্মধারী পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে সক্রিয় রাখা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

কিন্তু পুলিশের এই তৎপরতার মধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে বাণিজ্যিক এলাকা, বিপণিবিতানগুলোতে ছিনতাইকারীদের উপদ্রব আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, রমজান শুরু হওয়ার পর থেকে গত কয়েকদিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে দ্বিগুণ। রমজান ও ঈদ সামনে রেখেই তৎপর হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারীরা। এসব ঘটনায় এলাকাভেদে অনেকগুলো অপরাধীচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে নগরবাসীর মধ্যে এখনই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। ঈদের সময় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ এ ধরনের অপরাধ বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা নগরবাসীর।

প্রথম রজমানেই বনানী চেয়ারম্যানবাড়িতে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিলেন মো. জাকির হোসেন। ঘটনার পর পরই তিনি বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার মোবাইল ও নগদ টাকা উদ্ধার যায়নি।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তিগত বুধবার (২৯ মার্চ) ছিনতাইয়ের শিকার হন।

মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বের হয়ে বাসে করে মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় তার পকেট থেকে মোবাইল নিয়ে যায় ছিনতাইকারী। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করলেও এখন পর্যন্ত ফোনটি উদ্ধার করা যায়নি।

সম্প্রতি লালবাগ মোড় হতে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে নগদ ৫ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোনে হারিয়েছেন মোজাম্মেল মিয়া। তিনি বলেন, তারাবির পর তিনি রাস্তা দিয়ে একা হেঁটে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন।

ছিনতাইয়ের শিকার ব্যক্তিরা বলছেন, যে হারে ছিনতাই বেড়েছে তাতে সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে শপিং মল, মার্কেট ও বাজারে গেলে, গাড়িতে চড়লে এবং রিকশায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে অধিক সতর্ক থাকতে হবে। না হলে যে কোনো সময় পকেট কাটা যেতে পারে কিংবা টানা পার্টির শিকার হতে পারেন।

জানা গেছে, চলমান রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে চুরি, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ ঠেকাতে ইতিমধ্যে মাঠে সক্রিয় রয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা। তারা রাজধানীজুড়ে অতিরিক্ত নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। একইসঙ্গে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি সূত্র বলছে, রমজানের শুরু থেকেই প্রায় প্রতিদিন ডিএমপির বিভিন্ন থানা এলাকায় মোবাইল চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় অন্তত ৫০০ শতাধিক অভিযোগ এসেছে। এসব ঘটনায় কিছু মোবাইল উদ্ধারও করা গেছে।

রমজানে চুরি-ছিনতাই ঠেকাতে পুলিশের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কেএন রায় নিয়তি বলেন, শুধু রমজান নয়, যেকোনো উৎসবে চুরি-ছিনতাই নিয়ে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট অতিরিক্ত সর্তক অবস্থানে রয়েছে। তবে, রাজধানী যেহেতু বড় একটি জায়গা বা লোক সমাগম বেশি হওয়ায় এসব অপরাধ একেবারে দমন করা সম্ভব নয়। কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। সাধারণ মানুষ সর্তক হলে এসব ঘটনা কমে আসবে।

ডিএমপির একটি সূত্র বলছে, রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে জনসাধারণের চলাচল এবং শপিং মলগুলোতে কেনাকাটা নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আওতাধীন এলাকায় বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। রমজান শুরুর আগে শুরু হওয়া এই অভিযান চলমান রয়েছে।

পুলিশ বলছে, রমজান ও ঈদে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, ছোঁ মারা পার্টির তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে, মোড়ে মোড়ে, পাড়া-মহল্লা, বিভিন্ন শপিং মলে তৎপর থাকবে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ। শপিং মলে আসা নারী ক্রেতা এবং বিভিন্ন শপিংমলে কর্মরত নারী বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় দায়িত্বে থাকবেন নারী পুলিশের সদস্যরাও।

ডিএমপির সূত্র বলছে, বিভিন্ন মার্কেটে পকেটমারসহ যাদেরকে সন্দেহ হবে, তাদেরকেই তল্লাশি করা হবে। এ ছাড়া, বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হবে। মোটরসাইকেলে থাকবে টহল টিম। রমজানের প্রথম সপ্তাহ থেকেই নিরপাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যাতে মানুষ নগরীতে যাতায়াত এবং কেনাকাটা শেষে নির্বিঘ্নে বাসায় ফিরতে পারেন সেই ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নগরবাসীর নিরাপত্তায় ডিএমপির আওতাধীন পুলিশের ৫০টি থানা পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন মার্কেটে থাকা কমিউনিটি পুলিশকেও সক্রিয় হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, রমজান মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভিক্ষুকরা রাজধানীতে আসেন। এসব বিষয়েও পুলিশের বিশেষ নজরদারি থাকবে। ফুটপাতে সারা বছর হকাররা যেসব জিনিসপত্র বিক্রি করেন, তাদেরকে ফুটপাতেই থাকতে হবে। ফুটপাতের বাইরে রাস্তার পাশে বা উপরে কোনো হকারকে বসতে দেওয়া হবে না। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জোনের ডিসিদের (ডিএমপির ডেপুটি কমিশনার) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, ‘রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীবাসীর নিরাপত্তায় পুলিশের প্রতিটা ইউনিট তৎপর রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ছাড়া, পকেটমার ও ছিনতাইকারীদের হাত থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আমরা এসব বিষয়ে অনেক সর্তক রয়েছি। মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে এবার রমজানের শুরু থেকেই বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু সংখ্যক সংখ্যক চোর, পকেটমার ও ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নগরবাসীকেও অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে তাহলে এসব ঘটনা অনেকটা কমে আসবে।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে

অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হক ও মাউশির লোগো। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক নেতাদের আন্দোলন ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) পদ থেকে অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি শিক্ষা ক্যাডারের ১৪তম বিসিএসের কর্মকর্তা এবং পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি তার বিতর্কিত কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে মাউশিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে, নতুন মহাপরিচালক হিসেবে অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানের এই দায়িত্ব কেবল সাময়িক, যা পদোন্নতি হিসেবে গণ্য হবে না। পরবর্তীতে নিয়মিত নিয়োগের মাধ্যমে মহাপরিচালক নিয়োগ হলে এই চলতি দায়িত্ব বাতিল হয়ে যাবে।

অধ্যাপক এহতেসাম উল হকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এর আগে তিনি বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন চালানোর অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তথ্য তিনি পুলিশের কাছে সরবরাহ করেছিলেন।

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট তার অপসারণের দাবিতে কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০২১ সালের জুন মাসে বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যোগদানের পর থেকে তিনি নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যান। তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, অধ্যক্ষ থাকাকালীন তিনি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন এবং আন্দোলনে অসহযোগিতা করতেন। এমনকি কলেজের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন, যা তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও ব্যবহার করতেন। তিনি কলেজের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে নিজের বাসায় গ্রিল নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ করিয়েছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিতেন এবং বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) খারাপ করে দেওয়ার ভয় দেখাতেন। এছাড়া, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন না দিয়ে বিদায় করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ডিজি পদ থেকে এহতেসাম উল হককে অপসারণের খবরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, একজন বিতর্কিত ব্যক্তি শিক্ষাখাতের এত বড় দায়িত্বে থাকতে পারেন না। তার অপসারণের মাধ্যমে প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতি সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।

Header Ad
Header Ad

২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি

ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ সালের বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিতর্কিত নির্বাচনে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের কারণে এই কর্মকর্তাদের ওএসডি করা হয়েছে। এর আগে একই কারণে আরও ১২ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছিল।

ওএসডি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পরিচালক (যুগ্মসচিব) কবীর মাহমুদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. মাহমুদুল আলম, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. আবুল ফজল মীর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সদস্য-পরিচালক (যুগ্মসচিব) মঈনউল ইসলাম, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্মসচিব) মো. ওয়াহিদুজ্জামান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) এ কে এম মামুনুর রশিদ এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) সদস্য (যুগ্মসচিব) ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।

এছাড়া তালিকায় রয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কাজী আবু তাহের, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদস্য (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) আনার কলি মাহবুব, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য (যুগ্মসচিব) সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সাবিনা ইয়াসমিন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আতাউল গনি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (সংযুক্ত) আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।

এছাড়া, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এ জেড এম নুরুল হক, বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) এস এম আজিয়র রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সচিব (যুগ্ম-সচিব) মো. মাসুদ আলম সিদ্দিক এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব গোপাল চন্দ্র দাশসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই ওই সময়ের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এবার সেই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে ওএসডি করা হচ্ছে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক বিশ্লেষকরা।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকেই দায়ী করে নতুন বিতর্ক উসকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন রাজনীতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প এবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল।

মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনে একটি নতুন নির্বাচন হওয়া উচিত। বিশ্লেষকদের মতে, এটি জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনারই ইঙ্গিত।

ট্রাম্প আরও বলেন, ইউক্রেনে দীর্ঘদিন ধরে কোনো নির্বাচন হয়নি এবং সেখানে সামরিক আইন চলছে। তার দাবি, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা মাত্র চার শতাংশে নেমে গেছে, আর দেশটি ধ্বংসের পথে। যদিও যুদ্ধকালীন সময়ে নির্ভরযোগ্য জনমত জরিপ পাওয়া কঠিন, তবে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা ট্রাম্পের দাবির মতো এতটা কমেনি।

এছাড়া, ইউক্রেনের নির্বাচন প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, "তারা কি জনগণের মতামত নিয়েছে? তারা আলোচনার টেবিলে বসতে চায়, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেখানে কোনো নির্বাচন হয়নি।"

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে ২০২৪ সালের এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, যুদ্ধকালীন সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য কৌতুকপূর্ণ, কারণ তিনি নিজেই ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ইউক্রেন চাইলে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারতো এবং তাদের উচিত ছিল রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর অর্থ হলো—ইউক্রেনকে হয় রাশিয়ার মিত্র সরকার গঠনের প্রস্তাবে রাজি হতে হতো, নয়তো প্রতিরোধ ছেড়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হতো।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক অবস্থান ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইউক্রেনকে সমর্থন না দিয়ে বরং রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি বিতর্কিত শান্তিচুক্তির দিকে এগোতে পারেন, যা পুতিনের জন্য বড় ধরনের কূটনৈতিক জয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

সূত্র: সিএনএন

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে
২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি
ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল
ডিবির সাবেক প্রধান হারুনের ১০০ বিঘা জমি, ৫ ভবন ও ২ ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেখা গুপ্তা, বিজেপির সিদ্ধান্তে চমক
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতির শহীদ মিনারে না যাওয়ার আহ্বান
নামাজি জীবনসঙ্গী খুঁজছেন আইশা খান
গাইবান্ধায় গাঁজাসহ আটক এএসআইকে কারাগারে প্রেরণ
উপদেষ্টাদের মিটিংয়ে কোন প্রটোকলে গিয়েছিলেন হাসনাত-পাটোয়ারী: ছাত্রদল সেক্রেটারি
সরকারে থেকে ‘নতুন দল’ গঠন করলে মেনে নেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল
হোস্টিং সামিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানকে ৩২১ রানের বড় লক্ষ্য দিলো নিউজিল্যান্ড
বৈষম্যবিরোধী নামধারী শীর্ষ নেতার নির্দেশে কুয়েটে ছাত্রদলের ওপর হামলা: রাকিব
যান্ত্রিক ত্রুটিতে আবারও বন্ধ বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
কুবিতে ছাত্র সংসদের দাবিতে মানববন্ধন ও সন্ত্রাসবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল
২২০ জনকে নিয়োগ দেবে সমরাস্ত্র কারখানা, এসএসসি পাসেও আবেদন
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ২ দিনব্যাপি খামারি প্রশিক্ষণ
সবার সাত দিন কারাগারে থাকা উচিত: আদালতে পলক
বিপ্লবী সরকারের ডাক থেকে সরে এলেন কাফি  
নাঈম ভাই হেনা কোথায়?: ‘তুই অনেক দেরি করে ফেলেছিস বাপ্পা’