বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রাজধানীতে বেড়েছে চুরি-ছিনতাই, পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার

প্রতিবছর রমজান মাস আসলেই রাজধানীতে ছিনতাই ব্যাপকহারে বেড়ে যায়। এরসঙ্গে চুরি-ডাকাতির ঘটনাও ঘটে। তাই চলতি রমজান মাস এবং ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীতে চুরি-ছিনতাই-ডাকাতি ঠেকাতে নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। ইউনিফর্মধারী পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে সক্রিয় রাখা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

কিন্তু পুলিশের এই তৎপরতার মধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে বাণিজ্যিক এলাকা, বিপণিবিতানগুলোতে ছিনতাইকারীদের উপদ্রব আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, রমজান শুরু হওয়ার পর থেকে গত কয়েকদিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে দ্বিগুণ। রমজান ও ঈদ সামনে রেখেই তৎপর হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারীরা। এসব ঘটনায় এলাকাভেদে অনেকগুলো অপরাধীচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে নগরবাসীর মধ্যে এখনই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। ঈদের সময় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ এ ধরনের অপরাধ বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা নগরবাসীর।

প্রথম রজমানেই বনানী চেয়ারম্যানবাড়িতে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিলেন মো. জাকির হোসেন। ঘটনার পর পরই তিনি বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার মোবাইল ও নগদ টাকা উদ্ধার যায়নি।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তিগত বুধবার (২৯ মার্চ) ছিনতাইয়ের শিকার হন।

মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বের হয়ে বাসে করে মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় তার পকেট থেকে মোবাইল নিয়ে যায় ছিনতাইকারী। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করলেও এখন পর্যন্ত ফোনটি উদ্ধার করা যায়নি।

সম্প্রতি লালবাগ মোড় হতে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে নগদ ৫ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোনে হারিয়েছেন মোজাম্মেল মিয়া। তিনি বলেন, তারাবির পর তিনি রাস্তা দিয়ে একা হেঁটে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন।

ছিনতাইয়ের শিকার ব্যক্তিরা বলছেন, যে হারে ছিনতাই বেড়েছে তাতে সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে শপিং মল, মার্কেট ও বাজারে গেলে, গাড়িতে চড়লে এবং রিকশায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে অধিক সতর্ক থাকতে হবে। না হলে যে কোনো সময় পকেট কাটা যেতে পারে কিংবা টানা পার্টির শিকার হতে পারেন।

জানা গেছে, চলমান রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে চুরি, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ ঠেকাতে ইতিমধ্যে মাঠে সক্রিয় রয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা। তারা রাজধানীজুড়ে অতিরিক্ত নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। একইসঙ্গে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি সূত্র বলছে, রমজানের শুরু থেকেই প্রায় প্রতিদিন ডিএমপির বিভিন্ন থানা এলাকায় মোবাইল চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় অন্তত ৫০০ শতাধিক অভিযোগ এসেছে। এসব ঘটনায় কিছু মোবাইল উদ্ধারও করা গেছে।

রমজানে চুরি-ছিনতাই ঠেকাতে পুলিশের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কেএন রায় নিয়তি বলেন, শুধু রমজান নয়, যেকোনো উৎসবে চুরি-ছিনতাই নিয়ে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট অতিরিক্ত সর্তক অবস্থানে রয়েছে। তবে, রাজধানী যেহেতু বড় একটি জায়গা বা লোক সমাগম বেশি হওয়ায় এসব অপরাধ একেবারে দমন করা সম্ভব নয়। কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। সাধারণ মানুষ সর্তক হলে এসব ঘটনা কমে আসবে।

ডিএমপির একটি সূত্র বলছে, রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে জনসাধারণের চলাচল এবং শপিং মলগুলোতে কেনাকাটা নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আওতাধীন এলাকায় বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। রমজান শুরুর আগে শুরু হওয়া এই অভিযান চলমান রয়েছে।

পুলিশ বলছে, রমজান ও ঈদে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, ছোঁ মারা পার্টির তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে, মোড়ে মোড়ে, পাড়া-মহল্লা, বিভিন্ন শপিং মলে তৎপর থাকবে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ। শপিং মলে আসা নারী ক্রেতা এবং বিভিন্ন শপিংমলে কর্মরত নারী বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় দায়িত্বে থাকবেন নারী পুলিশের সদস্যরাও।

ডিএমপির সূত্র বলছে, বিভিন্ন মার্কেটে পকেটমারসহ যাদেরকে সন্দেহ হবে, তাদেরকেই তল্লাশি করা হবে। এ ছাড়া, বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হবে। মোটরসাইকেলে থাকবে টহল টিম। রমজানের প্রথম সপ্তাহ থেকেই নিরপাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যাতে মানুষ নগরীতে যাতায়াত এবং কেনাকাটা শেষে নির্বিঘ্নে বাসায় ফিরতে পারেন সেই ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নগরবাসীর নিরাপত্তায় ডিএমপির আওতাধীন পুলিশের ৫০টি থানা পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন মার্কেটে থাকা কমিউনিটি পুলিশকেও সক্রিয় হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, রমজান মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভিক্ষুকরা রাজধানীতে আসেন। এসব বিষয়েও পুলিশের বিশেষ নজরদারি থাকবে। ফুটপাতে সারা বছর হকাররা যেসব জিনিসপত্র বিক্রি করেন, তাদেরকে ফুটপাতেই থাকতে হবে। ফুটপাতের বাইরে রাস্তার পাশে বা উপরে কোনো হকারকে বসতে দেওয়া হবে না। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জোনের ডিসিদের (ডিএমপির ডেপুটি কমিশনার) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, ‘রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীবাসীর নিরাপত্তায় পুলিশের প্রতিটা ইউনিট তৎপর রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ছাড়া, পকেটমার ও ছিনতাইকারীদের হাত থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আমরা এসব বিষয়ে অনেক সর্তক রয়েছি। মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে এবার রমজানের শুরু থেকেই বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু সংখ্যক সংখ্যক চোর, পকেটমার ও ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নগরবাসীকেও অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে তাহলে এসব ঘটনা অনেকটা কমে আসবে।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া