পরকীয়ার জেরে রূপপুর প্রকল্পের গাড়িচালককে খুন
পরকীয়া সম্পর্কের জেরে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের গাড়িচালক সম্রাট হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে। র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার সম্রাট হত্যা মামলার প্রধান আসামি সম্রাটের বন্ধু আব্দুল মমিন (৩২) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে এমন তথ্য জানিয়েছে। র্যাব মামলার তদন্তের বরাত দিয়ে জানায়, মূলত স্ত্রীর গায়ে হাত দেওয়ায় রাগের মাথায় বন্ধুকে খুন করেন মমিন।
তবে কীভাবে, কোন পরিকল্পনায়, কাদের সাহায্যে সম্রাটকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি র্যাব।
রবিবার (২৬ মার্চ) রাতে রাজধানীর বাংলামোটর এলাকা থেকে মমিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সোমবার (২৭ মার্চ) র্যাব সদর দপ্তরের মিডিয়া পরিচালক আ ন ম ইমরান খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃত মমিন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বাঁশেরবাদা মধ্যপাড়া (দোকানপাড়া) গ্রামের বাহাদুর খাঁর ছেলে। নিহত সম্রাট একই উপজেলার মধ্য অরনকোলা রিফুজি কলোনী এলাকার আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে।
এ নিয়ে এই মামলায় এখন পর্যন্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে মমিনের স্ত্রী সীমা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
র্যাব-১২ জানায়, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় শনিবার রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সম্রাটের বন্ধু মমিনকে এক নম্বর ও তার স্ত্রী সীমাকে দুই নম্বর আসামিসহ আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আসামি মমিন আত্মগোপনে চলে যান। তাকে গ্রেপ্তারে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১২ এর একটি দল র্যাব-৩ এর সহযোগিতায় রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় মমিনকে গ্রেপ্তার করে।
কেএম/এসজি