রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নিয়তি রায় এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৪ হাজার ৮৫ পিস ইয়াবা, ২৫ কেজি ১৫০ গ্রাম গাঁজা, ৩ গ্রাম হেরোইন ও ৮ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে।
বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা অরোরার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে মুম্বাইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ২০১২ সালের একটি মামলায় তাকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হাজিরা দিতে বলা হলেও তিনি তা এড়িয়ে যান, ফলে জামিনযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময় এর এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ের কোলাবা এলাকায় একটি পাঁচতারা হোটেলে এনআরআই শিল্পপতি ইকবাল শর্মার ওপর হামলার অভিযোগে সাইফ আলি খান, বিলাল আমরোহি এবং মালাইকার ভগ্নীপতি শাহিল লাদাখের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এই ঘটনায় মালাইকা অরোরা ছিলেন একজন প্রত্যক্ষদর্শী এবং তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা। ছবি: সংগৃহীত
এবার, ১৩ বছর পর এই মামলার শুনানি চলছে এবং গত ২৯ মার্চ আদালতে নিজের বয়ান দেন মালাইকার বোন অমৃতা অরোরা। তিনি জানান, রেস্তোরাঁয় নৈশভোজ করার সময় এক ব্যক্তি চিৎকার করে "চুপ করো" বলে ওঠেন, যা তাদের সবাইকে চমকে দেয়। এরপর সাইফ আলি খান ওই ব্যক্তির সঙ্গে শান্তভাবে কথা বলতে চেষ্টা করেন, কিন্তু পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে যায়। পরে, সাইফ যখন ওয়াশরুমে যান, তখন হঠাৎ তাদের সবার মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়, যার পরিণতিতে সাইফের গায়ে হাত তোলা হয়।
এই ঘটনায় সাইফ আলি খান দাবি করেছিলেন, ইকবাল শর্মা তাদের টেবিলে এসে নারীদের উত্ত্যক্ত ও গালিগালাজ করেছিলেন, যা থেকেই শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক।
২০১৪ সালে সাইফ, শাকিল লাদাখ ও বিলাল আমরোহির বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়। ২০১৭ সালে ইচ্ছাকৃত আঘাতের অভিযোগে সাইফ আলি খানের বিরুদ্ধে মামলা হয়, তবে ২০১৯ সালে তা খারিজ হয়ে যায়।
২০২৩ সালে সাইফ আলি খানকে বেকসুর খালাস করে আদালত, তবে মামলার বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রায় দেওয়ার পূর্বে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ কারণেই আদালত মালাইকা অরোরাকে তলব করেছিল, কিন্তু তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (বামে) এবং তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ, তার স্ত্রী মিসেস কানিজ ফাতেমা, তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান ভূঁইয়া, তার মেয়ে রাসনাত তারিন রহমান এবং ছেলে মুকিতুর রহমানের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞার আবেদনটিতে বলা হয়েছে, ম্যাক্স গ্রুপ ও তমা গ্রুপের পরিচালকদের বিরুদ্ধে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, ভুয়া এলসি খুলে টাকা পাচার এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগগুলোর বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে এবং এটি রাষ্ট্রের স্বার্থে এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অভিযোগ অনুসন্ধানকালে জানা গেছে, অভিযুক্তরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন এবং তাদের মধ্যে অনেকের বাংলাদেশ ছাড়াও অন্য দেশের নাগরিকত্ব থাকতে পারে। বিশেষ করে গোলাম মোহাম্মদ একবার বিদেশে যাওয়ার সময় এয়ারপোর্ট থেকে বিদেশি পাসপোর্টসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এসব পরিস্থিতির কারণে, যদি তারা বিদেশে পালিয়ে যান, তবে অনুসন্ধান প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত বা দীর্ঘায়িত হতে পারে।
গ্রেপ্তারকৃত মুফতি এবাদুল ইসলাম ফরিদী। ছবি: সংগৃহীত
ফেসবুকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগে মুফতি এবাদুল ইসলাম ফরিদী নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে বরিশাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সবশেষ মঙ্গলবার সকালে সাভারের আশুলিয়া থানার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়।
আশুলিয়া থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার একটি ফেসবুক পেইজে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও বিএনপির যৌথ করণীয় বিষয়ে লেখা প্রকাশিত হয়। এবাদুল ইসলাম তার ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে ওই লেখার কমেন্টস বক্সে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও অপমানজনক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই দিন বিকেলে আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আতাউর রাহিম ফেসবুকে বিষয়টি দেখতে পান। তিনি সোমবার রাতে আশুলিয়া থানায় বাদী হয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
মামলার বাদী আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সিনিয়র সহ–সভাপতি আতাউর রাহিম এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ৫ এপ্রিল ওই ইমাম তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্টের কমেন্ট বক্সে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন।
তিনি জানান, ওই কমেন্ট নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। খালেদা জিয়ার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। এ কারণে তিনি এই ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, মামলা করার পর সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে বরিশালের উজিরপুর থেকে এবাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।