গৃহপরিচারিকা-দারোয়ান রাখলে পুলিশকে দিন: ডিবি
গৃহপরিচারিকা ও দারোয়ান বাসায় রাখলে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে তাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে ডিবি পুলিশ।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় ডিএমপির ডিবি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি প্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
একটি মামলার রহস্য উদঘাটনের পর পুলিশ বলছে- গৃহ পরিচারিকা বা দারোয়ানের দায়িত্ব হলো বাসা-বাড়ির নিরাপত্তা দেওয়া, নিরাপদে রাখা, এটা স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু সেই গৃহ পরিচারিকা বা দারোয়ানই বাসার মূল্যবান মালামাল নিয়ে লাপাত্তা হয়। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে মিরপুর পল্লবী থানা এলাকায়। ওই ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনাল টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তাররা হলো- তাহমিনা খাতুন ওরফে শিরিন ও মো. রফিকুল ইসলাম। গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, দুটি ঘড়ি, একটি ল্যাপটপ এবং নগদ ২৪ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
তাদের গ্রেপ্তারের পরে পুলিশ জানায়, কোনো গৃহপরিচারিকা বা দারোয়ান বাসায় রাখলে তার এনআইডি, মোবাইল নম্বর, নিকট আত্মীয়ের মোবাইল নম্বর রাখাসহ প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেন গোয়েন্দা এ পুলিশ কর্মকর্তা।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গত সোমবার পল্লবী থানার মিরপুর ডিওএইচএস-এ একটি বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনাল টিম ছায়া তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গোয়েন্দা প্রধান বলেন, গ্রেপ্তার তাহমিনা খাতুন ও রফিকুল ইসলাম সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। তারা উভয়ে ওই বাসায় দারোয়ানের কাজ করতেন। ওই বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন পারুল নামে এক নারী। তারা তিনজন মিলে প্রায় এক মাস আগে ওই বাসায় চুরির পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৮ নভেম্বর বাড়ির গৃহকর্ত্রী কর্মস্থলে গেলে তারা তিনজন মিলে ওই বাসায় চুরি করে পালিয়ে যায়। পলাতক গৃহপরিচারিকা পারুল বেগমকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।
কেএম/এসএন