রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ফারদিন হত্যা: বাবার উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা

সন্তান হত্যার বিচার নিয়ে উদ্বিগ্ন বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের বাবা নূর উদ্দিন রানা। তিনি জানান, পারিবারিকভাবে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সংকটে আছেন।

তিনি বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দিকে চেয়ে আছি। তাদের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। কিন্তু র‌্যাব পুলিশ এক এক সময় এক এক কথা বলছেন। এদিকে আমাদের সন্তান নেই অন্যদিকে মিডিয়ায় আজে বাজে তথ্য আসছে, সব কিছু মিলে আমরা পারিবারিকভাবে অস্বস্তিতে আছি।

ফারদিনের বাবা আরও বলেন, আমার ছেলে হত্যার ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় রেখে বুশরাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। তবে যদি বুশরা অপরাধী না হয়ে থাকে তাহলে সন্দেহের তালিকা থেকে বুশরার নাম বাদ দেওয়া উচিত। এই ঘটনার তদন্তের তেমন অগ্রগতি দেখছি না। পুলিশ-র‌্যাব ভালো-মন্দ কোনোটিই বলছে না। আমাদের দাবি হলো অবিলম্বে এই হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন করা হোক। দেশবাসী জানুক আসল ঘটনা কী বা কারা অপরাধী। আর অপরাধীদের আমরা শাস্তি চাই।

এদিকে বুয়েটছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যাকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। এই হত্যার পর উল্টো ভুক্তভোগী নিজেই বিভিন্ন সমালোচনার শিকার হয়েছেন। র‌্যাব ও পুলিশ ভিন্ন ভিন্ন মতামত দিচ্ছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ও সাধারণ জনগণের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

ফারদিন হত্যা নিয়ে র‌্যাব-পুলিশের ভিন্ন তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুটো সংস্থার তদন্তের মধ্যে তেমন কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশের একটি তদন্ত বলছে, তিনি মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে খুন হন এবং নিজেও মাদক সেবন করতেন। পুলিশের এমন ধারণা মেনে নিতে নারাজ ফারদিনের পরিবার। এরপর র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, ফারদিন মাদকে আসক্ত ছিলেন না। মাদকের সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।

এসব তদন্তের বিষয় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আস্থা হারাতে শুরু করেছে নিহত ফারদিনের পরিবার। এক প্রশ্নের জবাবে ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বলেন, র‌্যাব-পুলিশ দুই ধরনের কথা বলছে। এতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা কার কথা বিশ্বাস করব। তাদের দুই ধরনের তথ্যে হতাশ হয়ে পড়েছি আমরা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার মনে হচ্ছে এই দুই বাহিনীর তদন্তের সমন্বয়হীনতার অভাব রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, র‌্যাব-পুলিশকে চোখ কান খোলার রেখে যেকোনো হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে হবে। দেশের মানুষ হয়তো ফারদিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ভুলে যাবে, তবে এই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত বুশরাকে তারা মনে রাখবে। পুলিশ একটি ছবি দিল আর মিডিয়াতে সেটা প্রচার হলো। বুশরার একটা জীবন আছে। কেউ অপরাধী হয়ে জন্ম নেয় না।

তৌহিদুল হক বলেন, ফারদিন হত্যার তদন্ত নিয়ে এক এক সময় এক এক ধরনের বিশ্লেষণ দেওয়া হচ্ছে। সামান্য তথ্য-প্রমাণ পেলেই সেটা মিডিয়াতে প্রকাশ করা হচ্ছে। এতদিন হয়ে গেল ফারদিন হত্যাকাণ্ডের কেউ গ্রেপ্তার হলো না। শুধু গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে সে খুন হয়েছে এটাই শুনে যাচ্ছি। আসামিকে না ধরে মিডিয়ায় দুই বাহিনীর বিভ্রান্তিকর তথ্য নিয়ে সাধারণ মানুষ আইনের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার।

তিনি আরও বলেন, ফারদিন একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। তিনি যে পরিবারে বড় হয়েছেন পরিবার যদি তার সম্পর্কে বাজে মন্তব্য শোনে তাহলে পরিবারের মন খারাপ হয়। একদিকে তাদের সন্তান নেই অন্যদিকে উল্টাপাল্টা কথা শুনতে হচ্ছে। তারা বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা হারাতে শুরু করেছে। কাজেই র‌্যাব-পুলিশকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য গণমাধ্যমে না দেওয়ার অনুরোধ করছি। এই হত্যার সঙ্গে সরাসরি অভিযুক্ত যারা তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি দাঁড়ানোর কাজ হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। সামান্য তথ্য-প্রমাণ পেয়ে সেগুলো মিডিয়াতে প্রচার বা অপপ্রচার না করে অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে ফারদিন হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনার শিকার হয়েছে। তাদের প্রমাণ করতে হবে তারা যেটা বলছে সেটা সঠিক কি না। আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধার রয়েছে। সেই জায়গা থেকে সতর্কতার সঙ্গে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করাটায় হলো তাদের প্রধান কাজ।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এই হত্যা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আমরা প্রায় শনাক্ত করতে পেরেছি। চনপাড়ার আশেপাশে হত্যাকাণ্ডটি ঘটছে এটা আমরা নিশ্চিত। ফারদিনকে হত্যায় সরাসরি জড়িত রয়েছে রায়হান গ্যাং এর সঙ্গে আরও ১০-১৫ জন। সবাইকে একসঙ্গে আইনের আওতায় আনতে আমরা কাজ করছি।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ফারদিনের সঙ্গে নারীঘটিত ও মাদকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করছি যাতে নিরাপরাধ মানুষ কোনো হয়রানির শিকার না হয়। সেই জন্য ছায়া তদন্তে থেকে কাজ করছে র‌্যাব।

ডিবি পুলিশের প্রধান মো. হারুন অর রশীদ ঢাকাপ্রকাশ-কে মুঠোফোনে বলেন, আমাদের গোয়েন্দা টিম এই হত্যার ঘটনায় মাঠে থেকে কাজ করছে। অপরাধীদের আমরা আইনের আওতায় আনার কাজ করছি। তদন্ত চলমান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বুশরার বিষয়ে আমাদের তদন্ত কাযর্ক্রম অব্যাহত। বুশরাকে গ্রেপ্তার করার কারণ হলো ফারদিনের বাবা তাকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছে।

এদিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানিয়েছে, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে তারাবোর দিকে যেতে দেখা গেছে ফারদিনকে। সাদা গেঞ্জি পরা তিন-চারজন ফারদিনকে লেগুনায় উঠিয়ে নিয়ে তারাবোর দিকে যায়। সেই লেগুনার চালক ও সহকারীকে খুঁজছেন তারা কিন্তু এখনো পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন। ওইদিনই রাজধানীর রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা নূর উদ্দিন। পরে নিখোঁজের দুদিন পর গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। এরপর তার বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

কেএম/এসএন

 

Header Ad
Header Ad

ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হায়দরাবাদে শনিবার (২০ এপ্রিল) এক বিশাল গণবিক্ষোভের আয়োজন করে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড (AIMPLB)।

এই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দেন সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM) দলের প্রধান এবং হায়দরাবাদের প্রভাবশালী মুসলিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি এই আইনকে “সংবিধানের মূল চেতনার বিরুদ্ধে” উল্লেখ করে বাতিলের জোর দাবি জানান।

“এই আইন আমাদের ধর্মীয় ও সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করছে। যতদিন না এটি বাতিল করা হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলন চলবে,”— বলেন ওয়াইসি।

তিনি আরও জানান, ওয়াকফ বোর্ডে অ-মুসলিমদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করায় মুসলিম সমাজে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এবং তা মেনে নেওয়া যায় না।

সম্প্রতি পাস হওয়া ওয়াকফ সংশোধনী আইন অনুসারে, অ-মুসলিমদেরও ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য করা সম্ভব হতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকেই এই বিরোধের সূত্রপাত। এই আইনকে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন মুসলিম নেতারা।

এই ইস্যুতে ইতোমধ্যেই ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে। আদালতে সরকার জানিয়েছে, মে মাসে মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত অ-মুসলিমদের ওয়াকফ বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।

 

ছবি: সংগৃহীত

ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।

বিরোধীদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও বিলটি ভারতের পার্লামেন্টের দুই কক্ষে পাস হয়েছে। আন্দোলন এখন হায়দরাবাদ ছাড়িয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।

টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানায়, মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের আহ্বানে এবং ওয়াইসির নেতৃত্বে এই আন্দোলন ক্রমেই সারা ভারতব্যাপী শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনের রূপ নিচ্ছে।

ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে, তা শুধু রাজনৈতিক নয়, ধর্মীয় এবং সাংবিধানিক অধিকার নিয়েও গভীর প্রশ্ন তুলেছে। এখন দেখার বিষয়, আদালতের রায়ে এবং গণআন্দোলনের চাপে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়।

সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড

Header Ad
Header Ad

ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। রোববার (২০ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১২টার দিকে গরম পানির গলির একটি বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধরা হলেন- কুলসুম আক্তার (২৫), রিয়াজ হোসেন (২১), কামরুন্নেসা রোজিনা (৪৫)। তাদের সবার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরা উপজেলায়। বর্তমানে ফকিরাপুল এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী ইব্রাহিম খলিল বলেন, আজ দুপুরের দিকে রান্না করার সময় বিস্ফোরণে আহত হন তারা। পরে আমরা প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসি। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, আজ দুপুরের দিকে ফকিরাপুল থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারীসহ তিনজনকে বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে। দগ্ধের পরিমাণ পরে জানাবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।

Header Ad
Header Ad

আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা

ছবি: সংগৃহীত

মুসলিম বিশ্বের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ ভেঙে সেখানে ইহুদি মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ বসতিস্থাপনকারীরা। হিব্রু ভাষার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এ নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করছে তারা। বিষয়টি সামনে আসতেই ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র ও প্রবাসী মন্ত্রণালয় এ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক্স প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে ফিলিস্তিনি মন্ত্রণালয় জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার আহ্বান জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এ পরিকল্পনাকে তারা ইসলামিক এবং খ্রিস্টান পবিত্র স্থানগুলোর বিরুদ্ধে এক ধরনের ‘পদ্ধতিগত উসকানি’ হিসেবে দেখছে।

জেরুজালেমের ‘স্ট্যাটাস কু’ অনুযায়ী, আল-আকসা প্রাঙ্গণে অমুসলিমদের প্রার্থনা নিষিদ্ধ হলেও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে ইহুদিদের প্রবেশ এবং ধর্মীয় কার্যক্রম বেড়েছে। এখন তারা সেখানে থার্ড টেম্পল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে, যা অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা ছড়াতে পারে।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে অন্তত ৬৪ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের অধিকাংশই গাজা সিটি ও উত্তর গাজার বাসিন্দা। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) বর্তমানে রাফা শহরের কাছে ঘাঁটি গেড়ে সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছে।

হামাস জানিয়ে দিয়েছে, তারা আর কোনও অন্তর্বর্তী যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয়। সংগঠনের সিনিয়র নেতা খলিল আল-হায়া শুক্রবার এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, তারা একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তির ভিত্তিতেই আলোচনা করতে চায়, যার আওতায় গাজা যুদ্ধের অবসান, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং গাজার পুনর্গঠন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি সরকার নিজেদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে আংশিক চুক্তিগুলো ব্যবহার করছে এবং সব জিম্মিকে বলি দিতে প্রস্তুত।

ইতোমধ্যে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত দেড় বছরে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১ হাজার এবং আহতের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজারে পৌঁছেছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে, কারণ অনেকেই এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।

এই অব্যাহত মানবিক সংকটে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ বাড়ছে, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনও সম্ভাবনা এখনো দেখা যাচ্ছে না।

সূত্র: রয়টার্স, আলজাজিরা

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও