গুলিস্তানে বাসচাপায় হালিমার মৃত্যু: চালকের ছিল না লাইসেন্স

রাজধানীর গুলিস্তানে দুই বাসের মধ্যে চাপা পড়ে হালিমা বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার আনন্দ পরিবহনের বাসের চালক মো. বাদল মিয়ার বাস চালানোর লাইসেন্স ছিল না।
মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলি র্যাব-৩ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
এর আগে সোমবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানাধীন পাচরুখী এলাকা থেকে চালক বাদলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তার বাসচালক ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে দাবি করলেও জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। তার ড্রাইভিংয়ের উপর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণও নেই।
তিনি আরও বলেন, নিহত হালিমা বেগম (৫০) রাজধানীর গুলিস্তান সংলগ্ন সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। সেখানে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী আনন্দ পরিবহনের একটি বাসকে ঢাকা-নরসিংদী রুটে চলাচলকারী মেঘালয় পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়াভাবে ওভারটেক করতে চায়। এ সময় আনন্দ পরিবহনের বাসের চালক বেপরোয়াভাবে গাড়িটি নিয়ে বের হতে চাইলে দুই বাসের মধ্যে চাপা পড়েন ভিকটিম হালিমা। ঘটনাস্থল থেকে পথচারীরা ভিকটিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে দুপুরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাব বলছে, নিহত হালিমা ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আইন্টার লাল মিয়ার স্ত্রী। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত বাসটির চালক ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যান। এরপর ঘাতক বাসটির চালককে গ্রেপ্তার করতে আমরা সক্ষম হই।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার বাদল ঘটনার সব কিছু শিকার করেছেন।
আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
কেএম/আরএ/
