চাকরিচ্যুত বিকাশকর্মীর সহায়তায় প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৪
বিকাশ নম্বর আপডেটর কথা বলে একটি চক্র কৌশলে প্রতারণা মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই চক্রের মূল অভিযুক্তসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বুধবার (২৪ আগস্ট) জামালপুর থেকে বিকাশের চাকরিচ্যুত সাবেক ডিস্ট্রিবিউটর সেলস অফিসার (ডিএসও) শাহরিয়ার নাফিজ ওরফে মিল্টন (২৫) ও রিপন মিয়াকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের তথ্যরে ভিত্তিতে ফরিদপুরের মালিগ্রাম এলাকা থেকে এ চক্রের মূলহোতা মাহবুব কাজী (২১) এবং মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে মো. ইউছুফ মিয়া (১৮) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি মোবাইল ফোন ও ৫৭টি বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মো. রেজাউল মাসুদ।
সিআইডি আরও জানায়, বিকাশের সাবেক কর্মী মিল্টনের সহযোগিতায় মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানটির ডিএসওদের ফোন ক্লোন করত চক্রটি। পরে ক্লোনের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার বিকাশ এজেন্টদের ফোন দিয়ে নিজদের বিকাশ হেড অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিতো। পরে তাদের বিকাশ এজেন্ট নম্বরের আপডেটের কথা বলে ওটিপি নিয়ে প্রতারণা মাধ্যমে এজেন্ট একাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিয়ে নিতো চক্রটি।
রেজাউল মাসুদ বলেন, একজন বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে অভিযোগ আসে যে, তার দোকানের এলাকার ডিএসওর নম্বর থেকে তার কাছে ফোন করে বলেছে যে, বিকাশ হেড অফিস থেকে তাকে কল করা হবে সে যেন তাদের চাওয়া তথ্য দিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর এক ব্যক্তি তাকে ফোন দিয়ে বলেন, তিনি বিকাশের হেড অফিস থেকে বলছেন। ওই ব্যক্তি ভিকটিমের বিকাশ এজেন্ট একাউন্টটি আপডেটের কথা বলে কৌশলে ভিকটিমের কাছ থেকে ওটিপি কোড সংগ্রহ করে। ভিকটিমের বিকাশ এজেন্ট নম্বর থেকে ১ লাখ ৭০০ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি।
তিনি বলেন, সাইবার পুলিশ সেন্টারে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই চক্রের মূলহোতাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধী রয়েছে বরে জানান সিআইডির এই কর্মকর্তা।
কেএম/এএস