শ্বাসরোধে জিনের বাদশাকে হত্যা করে তার স্ত্রী আরজু: পিবিআই
গত ২৯ জুলাই সদরঘাট এলাকায় এমভি গ্রিন লাইন-৩ লঞ্চের স্টাফ কেবিন থেকে জাকির হোসেন বাচ্চুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ৩১ জুলাই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত জাকিরের প্রথম স্ত্রী সুরমা আক্তার।
পুলিশ জানায়, প্রথমে মোবাইলে পরিচয় এরপর প্রেম এবং বিয়ে হয়। জিনের বাদশা পরিচয়ে প্রতারণা পেশা হিসেবে নেন জাকির হোসেন বাচ্চু। প্রতারণার উদ্দেশ্যে ফোন দিলে জাকিরের সঙ্গে পরিচয় হয় আরজু আক্তারের। ফোনে আলাপ থেকেই প্রেম, একপর্যায়ে বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের পর আরজু আক্তারকেও জিনের প্রতারণার কাজে যুক্ত করেন জাকির।
আরজু আক্তারের সঙ্গে বসবাস করলেও পরকীয়ায় আসক্ত জাকির প্রতারণায় উপার্জিত সব অর্থ ব্যয় করতেন অনৈতিককাজে। এ নিয়ে মনোমালিন্য থেকে একপর্যায়ে আরজুকে তালাক দেন জাকির। তালাক হলেও তাদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মতো সম্পর্ক ছিল, প্রায়ই একসঙ্গে বসবাস করতেন। তবুও জাকিরের একাধিক পরকীয়া সম্পর্ক ও তালাকের কারণে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করেন আরজু আক্তার। সে অনুযায়ী লঞ্চযোগে ভোলা যাওয়ার পথে কেবিনে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে জাকিরকে হত্যা করে আরজু।
সোমবার (১ আগস্ট) মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্তের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ভোরে সাভারের নবীনগর এলাকায় ঢাকাগামী একটি বাস থেকে আরজু আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ দিনই আদালতে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আরজু আক্তার।
বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম।
কেএম