পল্লবীর অটোরিকশা চালক লতিফের খুনিদের ধরার চেষ্টায় পুলিশ

রাজধানীর পল্লবী এলাকার অটোরিকশা চালক আবদুল লতিফ হাওলাদার (৬০)। তিনি পরিবার নিয়ে মিরপুর-১২ নম্বরের ট–ব্লক এলাকার একটি বস্তিতে থাকতেন। শুক্রবার (২৯ জুলাই) ভোরে পল্লবীর কালশীর কুর্মিটোলা বিহারি ক্যাম্পের সামনের সড়ক থেকে পুলিশ তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ বলছে, দিবাগত রাত তিনটা থেকে ভোর পাঁচটার মধ্যে লতিফকে দুর্বৃত্তরা গলা কেটে হত্যা করে দূবৃত্তরা।
পুলিশ ধারণা, নিহত লতিফ অটোরিকশা আকড়ে ধরে রাখতে চেয়েছিলো কিন্তু ছিনতাইকারীরা সেটা মেনে নিতে পারেনি মূলত এজন্য তাকে হত্যা করেছে। নিহতের অটোরিকশাটি এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। হয়তো অটোরিকশা খুজে পেলে এঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা যাবে।
এ ঘটনায় পুলিশ বলছে, লতিফকে হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত রয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো নিয়ে কাজ করছে পুলিশের বেশ কয়েকটি ইউনিট।
পুলিশ বলছে, আমরা ধারণা করছি অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দ্যেশে মূলত লতিফকে খুন করা হয়েছে। তাছাড়া আমরা খোঁজ নিচ্ছি নিহতের সঙ্গে কারো কোনো দ্বন্দ্ব ছিলো কি না। সব বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আহাদ বলেন, লতিফ হাওলাদার অটোরিকশায় চালাতেন। প্রতিদিনের মতো রিকশা নিয়ে রাতে বাসা থেকে বের হন। স্থানীয় লোকজন লাশটি দেখতে পেয়ে সকাল পৌনে আটটায় পল্লবী থানায় সংবাদ দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। তিনি বলেন, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তাকে খুন করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেন, পল্লবী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লতিফ হাওলাদারের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। এটি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে হলে হয়তো আসল ঘটনা বের হয়ে আসবে। তিনি বলেন, আমরা ধারণা করছি লতিফ হাওলাদারের আটোরিকশা নিয়ে মূলত তাকে হত্যা করেছে ছিনতাইকারীরা।
ওসি পারভেজ আরও বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি নিহত লতিফ হাওলাদার অনেকদিন ধরে অটোরিকশা চালাতেন। প্রতিদিনের মতো সে আজও রিকশা নিয়ে রাতে বাসা থেকে বের হন। এবং অটোরিকশা ছিনতাইকারীদের কাজে বাধা দেওয়ায় তিনি খুন হন। তবে, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানানো যাবে।
জানতে চাইলে সিআইডির এক কর্মকতা বলেন, এ ঘটনাটি সিআইডির ক্রাইমসিন বিভাগ তদন্ত করছে। ঘটনা স্থলে গিয়ে সিআইডি কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে। তাছাড়া ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে হত্যার আসল ঘটনা জানা যাবে এবং আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সহজ হবে।
তিনি বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে বেশ কিছু আলামত পেয়ে ধারণা করা হচ্ছে লতিফ হাওলাদারকে হত্যাকারীরা বেশ কিছুদিন তার্গেট করে এবং তাদের সুযোগ মতো আটোরিকশাটি ছিনতাই ও তাকে খুন করে।
কেএম/এএস
