আগ্নেয়াস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের ১১ সদস্য গ্রেপ্তার

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের কোতয়ালী জোনাল টিম রাজধানীর কোতয়ালী থানার মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আগ্নেয়াস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল মধ্যরাতে বিশেষ এক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্র, ঢাকাতেই তাদের কাজ। টার্গেট নিয়ে তারা বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি করে থাকে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সুমন চৌকিদার ওরফে সুমন মিয়া (৩৪), মোস্তফা (৩২), আরিফ হোসেন (৩৪), পলাশ (৩২), করিম (২৫), হাসান (১৮), রিপন ওরফে আকাশ (২৪), জয়নাল আবেদিন (৩১), ওমর ফারুক ফয়সাল (২০), রাসেল (২৪), হাফিজুল ইসলাম (৩৩)।
বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবি পুলিশের প্রধান ডিআইজি মো. হারুন অর রশিদ।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ ১টি ৭.৬৫ বোরের বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ২ রাউন্ড ৭.৬৫ বোরের গুলি, ১টি বড় ছোরা, ১টি রামদা, ২টি লোহার তৈরি চাপাতি, পুরাতন পাটের রশি, ১টি পুরাতন গামছা ও ৫ টি সিএনজি ও ১টি পিকআপ জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে ডিআইজি মো. হারুন অর রশিদ বলেন, আসামিরা কোতয়ালী থানার মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে সমবেত হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র (রামদা, চাপাতি) ব্যবহার করে বিভিন্ন জেলায় জুয়েলারি দোকান, মালবাহী ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস, সিএনজি ও টার্গেটকৃত লোকজনদের জিম্মি করে ডাকাতি করে আসছিল।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা সকলেই পেশাদার ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন জেলার মহাসড়কে ডাকাতি করেছে বলে স্বীকার করেছে।
ডিবি প্রধান বলেন, তারা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। ইতোপূর্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা অসংখ্য ডাকাতি সংঘটিত করেছে বলে স্বীকার করেছে। ডাকাত দলের নেতা সুমনের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, দস্যুতাসহ ১৬টি মামলা ও ৫টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
কেএম/এএস
