কেরাণীগঞ্জে ইভটিজিং-এর প্রতিবাদ করে খুন করার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ইভটিজিং-এর প্রতিবাদ করার জেরে এক যুবক খুনের ঘটনায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। গ্রেপ্তারকৃত আসামি হল রাকিব।
সিআইডি জানায়, গত ১২ জুলাই ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জের বন্দডাকপাড়ার জয় মিয়ার গলির ভিতর জনৈক শামছুল হক ওরফে জেনারেটর শামছুল এর বাড়ির গেটের সামনে পূর্ব শত্রুতার জের ধর মো. সাগরকে হত্যা করা হয়।
সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সে এবং ভিক্টিম সাগর একই এলাকার পাশাপাশি গলির বাসিন্দা। প্রায় ৩ মাস আগে সাগর বিয়ে করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি- রাকিব তার অন্যান্য বখাটে বন্ধুদের নিয়ে গলির মুখে দিন-রাত নিয়মিত আড্ডা দিতো। আড্ডার এক পর্যায়ে বিভিন্ন মেয়েদের ইভটিজিংয়ের পাশাপাশি ভিক্টিম সাগরের স্ত্রীকেও ইভটিজিং করতে থাকে।
সিআইডি জানায়, এ বিষয়টি সাগর জানার পর আসামি-রাকিবকে তার অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে গলির মুখে আড্ডা না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। তারা আড্ডা অব্যহত রাখলে বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ থানা পুলিশকে অবহিত করবে বলে তাদেরকে জানানো হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা সাগরকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। এক সময় সাগর তার অন্যান্য বন্ধুদের নিয়ে পূর্ব বন্দডাকপাড়া মেজবাহ উদ্দিন এর বাড়ির ফাঁকা জায়গায় ঈদ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে জিনিসপত্র গোছানোর সময় আসামি-রাকিব তার অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করে সাগরের বন্ধুদের মারধর শুরু করে। সাগর তার বন্ধুদের সাথে প্রাণ বাঁচানোর জন্য দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পূর্ব বন্দডাকপাড়ার জয় মিয়ার গলির ভিতর শামছুল হক ওরফে জেনারেটর শামছুল এর বাড়ির গেটের সামনে পৌছামাত্র আসামিরা তাকে ধরে ফেলে। আসামি রাকিব সাগরের কোমড়ের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে ও অন্যান্য আসামিরা কিলঘুষি, লাথি মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। সাগরের ডাক-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ঘটনাস্থল হতে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিডফোর্ড এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করলে সেখানে ভর্তি থাকাবস্থায় সন্ধ্যা সে মৃত্যুবরণ করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান সিআইডি।
কেএম
