প্রেমের ফাঁদে ফেলে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ, গ্রেপ্তার ২

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ডেকে আনা হয় বাসায়। পরে আপত্তিকর অবস্থায় তোলা হয় ছবি, ধারণ করা হয় ভিডিও। সাংবাদিক ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে আদায় করা হয় মোটা অংকের টাকা। রাজধানীতে এ রকম একাধিক চক্রের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত ২ জন হলেন- সাইফুল ইসলাম ও বিথী আক্তার। তদন্তের স্বার্থে বাকিদের নাম জানায়নি গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, চক্রটির টার্গেট পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তি।
শুক্রবার (২২ জুলাই) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, সাইফুল ইসলাম ও বিথী আক্তার দুজনে স্বামী-স্ত্রী। বিথী বয়স্ক ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক তৈরি করেন ফোনে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ডেকে আনেন বাসায়। আর সাইফুল দলবল নিয়ে হাজির হন তখনই। টার্গেট ব্যক্তির সঙ্গে ছবি তোলা হয় আপত্তিকর অবস্থায়। জোর করে ধারণ করা হয় ভিডিও। পরে সাইফুল নিজেকে পরিচয় দেন সাংবাদিক আর দলের অন্যদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
এ দম্পতিসহ চক্রটির পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দা পুলিশ তাদের অপকর্ম সর্ম্পকে জানতে পারে। সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে দীর্ঘদিন ধরে এ সব অপকর্ম চালিয়ে আসছিলেন তারা।
পুলিশ বলছে, এ চক্রটি প্রথমে টার্গেট করে বাসায় নিয়ে এসে মেয়েদের সঙ্গে রুমে দেয়। সেখানে আপত্তিকর কাজ করার পর ভিডিও ধারণ করা হয়। পরে সাংবাদিক বা প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে। টাকা আদায় করেন। তাদের হাতে প্রতারণার শিকার অনেকেই মান সম্মানের ভয়ে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ঘটনা স্থল থেকে চলে আসে। মূলত এরা বয়স্ক ব্যক্তিদের টার্গেট করে এসব অপকর্ম করে আসছিলো।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, আমরা এক দম্পতিকে ধরেছি, যারা ২০১৫ সাল থেকেই এ অপকর্মে জড়িত।
তিনি বলেন, আমরা এ চক্রের ৫ জনকে ধরেছি। এদের সঙ্গে হয়তো আরও কেউ জড়িত থাকতে পারেন। তারা হয়তো আরেকট গ্রুপ বানিয়ে ফেলছে। তাদেরকে ধরতে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।
কেএম/এএস
