ফেসবুকে পরিচয়ের জেরে অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪

প্রতীকী ছবি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের জেরে তরুণীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন মো. সোহাগ নামে এক যুবক। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী যুবককে উদ্ধার ও ৪ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী যুবক নার্সিং কলেজের ছাত্র। আর গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- লুৎফুন নাহার তন্বী, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. মাসুদ রানা ও মো. স্বপন। এ সময় অপহরণে ব্যবহৃত সিএনজি ও তিনটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাজিরুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নার্সিং কলেজের ছাত্র সোহাগের সঙ্গে লুৎফুন নাহার তন্বীর পরিচয় হয়। তন্বী নিজেকে মাস্টার্স পাশ এবং অবিবাহিত হিসেবে পরিচয় দেয়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তন্বীর সঙ্গে সোহাগের দীর্ঘদিন ধরে কথাবার্তা চলে। গত সোমবার (১৮ জুলাই) তন্বী সোহাগকে মিরপুর-১ এর ফুট ওভার ব্রিজের নিচে দেখা করতে বলে। বুধবার (২০ জুলাই) সকালের দিকে সোহাগ সেখানে আসার পর তারা সেখানের একটি আবাসিক হোটেলে যায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তন্বী হোটেল কক্ষ থেকে এসএমএসের মাধ্যমে শফিকুল, মাসুদ ও স্বপনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে শফিকুল, মাসুদ ও স্বপন হোটেলে উপস্থিত হয়। শফিকুল নিজেকে সিআইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে কৌশলে তন্বী ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়।
ওসি আরও বলেন, শফিকুল, মাসুদ ও স্বপন ভুক্তভোগীকে সিআইডি অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালের সামনে থেকে একটি সিএনজি ভাড়া করে। সিএনজিতে ভুক্তভোগীর হাত ও মুখ চেপে ধরে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ২ লাখ টাকা দাবি করে আসামিরা। এ সময় আসামিদের পুলিশ বলে সন্দেহ হলে ভুক্তভোগী সোহাগ টেকনিক্যাল মোড়ে পুলিশের গাড়ি দেখে চিৎকার করে। চিৎকার শুনে টহল পুলিশ সিএনজির পিছু ধাওয়া করে পাইকপাড়া ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে থেকে সিএনজি আটক করে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পরবর্তীতে মিরপুর-১ নম্বর গোল চত্ত্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তন্বীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কেএম/এসজি/
