ব্যবসায়ী হত্যা চেষ্টা মামলার পলাতক ৪ আসামি গ্রেপ্তার

রাজধানীর পল্লবীতে ঠিকাদার ব্যবসায়ী মিলন হত্যা চেষ্টা মামলার পলাতক ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পল্লবী থানা পুলিশ। পল্লবীর থানার চৌকস পুলিশ অফিসার এসআই উজ্জ্বল সরকারের নেতৃত্বে কক্সবাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেছে। জানা যায়, ১৪ জুন পৌনে ১২ টার সময় নিজ বাড়ীতে মিলন খান দূর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিলন খানের ১২ নম্বর সেকশনের সিরামিক রোডের বাসার গ্যারেজের ভিতর প্রবেশ করে অতর্কিতভাবে রাম দা, চাইনিজ বুড়াল, খুর, চাপাতি, ছুরি, লোহার পাইপ এবং লোহার রড দিয়ে এলোপাথারী আঘাত করে গুরুতর জখম করে ও তার বাম পা ভেঙ্গে দিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে সংবাদ পেয়ে পল্লবী থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং স্থানীয় লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আসামিদের সনাক্ত করে বিশ্বস্ত গুপ্তচর ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চৌকস পুলিশ অফিসার এসআই উজ্জ্বল সরকার তার সঙ্গীয় অফিসার এএসআই আমিনুর ও ফোর্স নিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত মো. জনি (৩০), মো. জাহিদ (৩০), মো. শাওন (২৫) এবং মো. পাপ্পু (২৭) কে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। আসামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় ব্যবহৃত চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড, লোহার পাইপ, ধারালো স্টীলের ফ্লাটবার পুলিশ উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ঘটনার দিন রাত আনুমানিক আড়াইটার সময় বাদী মো. মিরাজ খাঁন পল্লবী থানাধীন সেকশন-১২ নাম্বারের একটি হোটেলে খাওয়া দাওয়া করতে যায়।তখন একই হোটেলে উক্ত আসামিরাও ছিল। একপর্যায়ে বাদীর সাথে আসামীদের একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। উক্ত বিবাদের জের ধরে বাদীকে মারধর করার উদ্দেশ্যেই আসামিরা বাদীর বাসায় গিয়েছিল। কিন্তু বাদী সেই সময় বাসায় ছিলনা বলে তারা বাদীর বড় ভাই মিলন খানকে ঘটনাস্থলে পেয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে গুরতর জখম করে ও তার বাম পা ভেঙ্গে দেয়।
শনিবার (১৮ জুন) সকালে মিরপুর বিভাগের এডিসি আরিফুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন- গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অজ্ঞাতনামা অন্য আসামীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ এবং তাদের সনাক্ত করতে ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এএজেড
