৬ মামলায় পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় স্কুলছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের ঘটনার মূল আসামি মো. শামিম হোসেন মৃধাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাব বলছে, গ্রেপ্তার শামিম একজন সিরিয়াল ধর্ষক। ঢাকার বাবু বাজার ও গাবতলী এলাকায় সিএনজি এবং প্রাইভেটকার চালান তিনি। বিভিন্ন এলাকায় তিনি নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, বরিশাল ও খুলনা এলাকায় আত্মগোপনে চলে যেতেন। আত্মগোপনে থেকেও একাধিক ধর্ষণ করেছেন তিনি।
শুক্রবার দুপুরে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব জানায়, গত ১১ জুন পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলার এক স্কুলছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করেন। ওই ঘটনায় ১২ জুন ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ভাণ্ডারিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তার শামিমকে জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব কর্মকর্তা খন্দকার মঈন জানান, ওই স্কুলছাত্রীকে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান এবং ঘটনার পরপরই ঢাকায় আত্মগোপন করেন।
র্যাব মুখপাত্র বলেন, গ্রেপ্তার শামিম একজন সিরিয়াল রেপিস্ট। ২০১৫ সালের ২৬ জানুয়ারি ভাণ্ডারিয়া উপজেলার এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গভীর রাতে ঘরের দরজা ভেঙে বের করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ২০১৭ সালে ১ নভেম্বর একই উপজেলার এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে রামদা দিয়ে হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ ছাড়াও ২০২১ সালে ১০ অক্টোবর আরেক মাদ্রাসার ছাত্রীকে যৌনপীড়ন করে।
তিনি বলেন, এসব ঘটনায় ভাণ্ডারিয়া থানায় বিভিন্ন সময়ে মামলাও হয় তার নামে। আরও বেশকয়েকটি ধর্ষণের মতো অপরাধ করেছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু ভুক্তভোগীরা লোকলজ্জা ও সামাজিক মর্যাদাহানির ভয়ে মামলা করা থেকে বিরত থাকে।
খন্দকার মঈন বলেন, গ্রেপ্তার শামিম ঢাকা বাবু বাজার ও গাবতলী এলাকায় সিএনজি এবং প্রাইভেটকার চালক হিসেবে কাজ করেন। ১৬ বছর বয়সে তিনি এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, মাদক সেবন ও মাদক কেনাবেচার মাধ্যমে অপরাধ জগতে প্রবেশ করেন।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার শামিমের নামে বিভিন্ন থানায় ধর্ষণ, হত্যা চেষ্টা ও মাদকসহ অন্যান্য অপরাধে ১০টির বেশি মামলা রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এর আগেও ধর্ষণ ও অন্যান মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে ৪-৫ বার কারাভোগ করেছে।
কেএম/এসএন
