নাটক নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

নাটক নিয়ে প্রতারণার মামলায় মহিন চৌধুরী ও রাব্বি নমের ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে রমনা থানা পুলিশ। একই মামলায় আরও দুই জন পলাতক রয়েছেন বলে জানান গেছে। সোমবার (১৩ জুন) ঢাকা প্রকাশ-কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী পরিচালক স্মাক আজাদ। এ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে রমনা থানার ডিউটিরত কর্মকর্তা ও সাব ইন্সপেক্টর সালমান রহমান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ওই মামলার আসামিদের তো আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, অন্য যারা আসামি রয়েছে তাদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলমান রয়েছে।
তথ্য মতে জানা যায়, স্ম্যাক আজাদের রচনা ও পরিচালনায় 'রেস্ট ইন পিস' নামের নাটকটি টি ডি দীপকের প্যানেলে এডিট করার পর স্ম্যাক আজাদ প্রযোজক শাওন রুদ্রকে বুঝিয়ে দেওয়ার সময় শাওন রুদ্র তার পরিচিতি পরিচালক মহিন চৌধুরীর কাছে দিতে বলে। টি ডি দীপক ও শরীফ, মহিন চৌধুরীকে নাটকের মাস্টার কপি বুঝিয়ে দিলে এর ২ থেকে ৩ দিন পর মহিন চৌধুরী নাটকটি তার কম্পিউটার মধ্যে থেকে রুদ্রকে না জানিয়ে কপি করে রাখেন। তারপর নাটকটি শাওন রুদ্রকে বুঝিয়ে দেয়।
জানা যায়, এরপর মহিন ও সোহাগ বিশ্বাস নাটকটি বয়াতি বাড়ি ইউটিউব চ্যানেলের রেজওয়ান আহমেদ জিসানের কাছে ৪০ হাজার টাকায় ১৫ হাজার টাকা ক্যাশ এবং ২৫ হাজার টাকা বাকি রেখে বিক্রি করে দেয়। এটি বিক্রি করার সময় ১০০ টাকার একটা স্ট্যাম্পে এ নাটকের ভুল নাম এবং রচয়িতা, পরিচালক, প্রযোজক এবং শিল্পীদের নাম উল্লেখ না করে সোহাগ বিশ্বাস ভঙ্গ করে নিজ হাতে ডিড লিখে নিজে আবার সাক্ষী দেন। তারপর জিসান ইউটিউব চ্যানেল ও ফেইসবুক পেইজে নাটকটির প্রমো আপলোড দেয়। এই বিষয়টা নাটকের পরিচালক স্ম্যাক আজাদ এর চোখে পরে। স্ম্যাক আজাদ, মহিন ও জিসান এর সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারে এই নাটক বিক্রি হয়ে গেছে। তবে স্মাক আজাদ শাওন রুদ্রকে ফোন দিয়ে জানতে পারে নাটক বিক্রি করে নাই। প্রতারণা করছে।
মহিন ও জিসানকে বলা হয় ফুল নাটকটি আপলোড না দিতে। জিসান কথা না শুনে নাটকটি আপলোড দেয়। তাদের মানা করা হলে জিসান ও মহিন আরো ১৫ হাজার টাকা দাবি করে। স্ম্যাক আজাদ ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার পরও জিসান ও মহিন নাটকটি ডিলেট না করে আরও ২ লক্ষ টাকা দাবি করে। এরপর শাওন রুদ্র ও স্মাক আজাদ ৬ জুন রমনা থানায় মহিন চৌধুরী, রেজওয়ান আহমেদ জিসান, সোহাগ বিশ্বাস ও ফজলে রাব্বি মাহির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
থানা পুলিশের একটি তথ্য মতে জানা যায়, এরপর ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে (১০ জুন) রমনা থানা পুলিশ মহিন চৌধুরী ও রাব্বিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী পরিচালক স্ম্যাক আজাদ ঢাকা প্রকাশ-কে বলেন, নাটকটি বানাতে আমাদের ৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু তারা প্রতারণা করে মাত্র ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। এটা জানার পরও তাদের সাথে কোন প্রকার ঝামেলা না করে মিমাংসার চেষ্টা করি। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি, উল্টো তারা হয়রানি করে। তাই বাধ্য হয়ে রমনা থানায় মামলা করি।
এএম/এএজেড
