ডাকাতির প্রস্তুতির সময় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১১
ডাকাতির প্রস্তুতির সময় সাভারের বালিয়ারপুর মহাসড়ক থেকে ‘ঠান্ডা-শামীম বাহিনী’র ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্র জব্দ করা হয়।
শনিবার (৪ জুন) দিবাগত রাতে সাভার থানার বলিয়ারপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ‘ঠান্ডা-শামীম বাহিনী’র মূলহোতা মো. শামিম ওরফে সব্দুল, মো. আনিসুর রহমান ওরফে ঠান্ডা, মো. সালাউদ্দিন, মো. ইখতিয়ার উদ্দিন, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর সরকার, মো. সজিব ইসলাম, মো. জীবন সরকার, শ্রী স্বপন চন্দ্র রায়, মো. মিনহাজুর ইসলাম ও শ্রী মাধব চন্দ্র সরকার।
শনিবার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, তাদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, পাইপগান, ওয়ান শুটারগান, গুলি, ম্যাগাজিন, চাইনিজ কুড়াল, দেশীয় নানা অস্ত্র ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ঠান্ডা-শামীম বাহিনীর মূলহোতা শামীম ওরফে সব্দুল এবং তাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড আনিসুর ওরফে ঠান্ডা। তাদের নাম অনুসারে বাহিনীর নাম রাখা হয় ঠান্ডা-শামীম বাহিনী। এ বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় গৃহ ডাকাতি, সড়ক ডাকাতি, গাছ কেটে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাত্রীবাহী বাস, গরুবাহী ট্রাক, মালবাহী ট্রাক ও বিভিন্ন মালামালের গুদামে ডাকাতি করে আসছে।
তিনি বলেন, ডাকাতির অভিযোগে শামীম ও ঠান্ডা একাধিকবার আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে গ্রেপ্তার হয়েছেন। জেলহাজতে থাকার সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন অপরাধীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে উঠে। জামিনে বের হয়ে তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে ডাকাত বাহিনী গড়ে তোলেন। তাদের বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ২৫ জন। এ ছাড়া, যে এলাকায় ডাকাতির পরিকল্পনা করে, সেই এলাকার ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক, গোডাউনের কর্মচারী ও নৈশ প্রহরীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ডাকাতি করে।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার শামীমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সাতটি ডাকাতি মামলা ও আনিসুর ওরফে ঠান্ডা’র বিরুদ্ধে ডাকাতি, মাদক ও বিভিন্ন অপরাধের পাঁচটি মামলা রয়েছে।
কেএম/এসএন