মুসাকে ওমান থেকে আনার প্রস্তুতি চলছে: এআইজি মহিউল

মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজ ছাত্রী সামিয়া আফনান প্রীতি হত্যার অন্যতম আসামি সুমন শিকদার ওরফে মুসাকে ওমান থেকে দেশে আনার সকল প্রস্তুতি চলছে। এ কথা জানিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইজি মহিউল ইসলাম। শুক্রবার (৩ জুন) তিনি ঢাকা প্রকাশ-কে এ কথা জানান।
মহিউল ইসলাম ঢাকা প্রকাশ-কে বলেন, টিপু হত্যার অন্যতম আসামি সুমন শিকদার অরফে মুসাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ইতোমধ্যে আমাদের ডগস্কোয়াড টিম কাজ করছে। ওই দেশের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। আমরা কিছু কাগজ পত্র পাঠিয়েছি। আমাদের পুলিশের একটি দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অনুমতি পেলে তারা মুসাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ওমান যাবে।
জানা যায়, আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল মুসাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করার পর এখন ওমান থেকে তাকে ফেরত আনার প্রক্রিয়াও শুরু করছে বাংলাদেশ পুলিশ। এ মামলার তদন্তে মুসার নাম আসার পর তাকে ধরতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চেয়েছিল বাংলাদেশের পুলিশ। বাংলাদেশের হয়ে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি ডেস্ক।
পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল মুসাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করার পর এখন ওমান থেকে তাকে ফেরত আনার প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে। এ মামলার তদন্তে মুসার নাম আসার পর তাকে ধরতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চেয়েছিল বাংলাদেশের পুলিশ। বাংলাদেশের হয়ে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি ডেস্ক। পুলিশের এনসিবির সহযোগিতায় অবশেষে মুসাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক টিপু সড়কে গাড়িতে থাকা অবস্থায় গত ২৪ মার্চ রাতে খিলগাঁও রেলগেইটের কাছে আক্রান্ত হন। মোটর সাইকেলে আসা এক ব্যক্তি যানজটে আটকে পড়া টিপুর গাড়ির কাছে এসে তাকে গুলি করে। সে সময় গাড়ির পাশে রিকশার আরোহী কলেজছাত্রী প্রীতিও গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নিলে দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
হত্যাকাণ্ডের পর টিপুর স্ত্রী স্থানীয় নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি যে মামলা করেছেন, তাতে আসামির তালিকায় কারও নাম উল্লেখ করা ছিল না। এর পরে ২৬ মার্চ রাতে বগুড়া থেকে মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই ব্যক্তিই টিপুকে গুলি করেছিলেন। পরে আরফান উল্লাহ দামাল নামে আরও একজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয় কমলাপুর থেকে।
নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যার ঘটনায় ২ এপ্রিল মুসার ভাই সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, মতিঝিল থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় র্যাব। মামলার পর ২৬ মার্চ রাতে বগুড়া থেকে শ্যুটার মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। ২৮ মার্চ তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয় আদালত।
কেএম/এএজেড
