অতিরিক্ত আইজিপির বাসায় গৃহকর্মীর মরদেহ, অপমৃত্যুর মামলা

রাজধানীর রমনা এলাকায় অতিরিক্ত আইজিপি আবু হাসান মুহম্মদ তারিকের সরকারি কোয়ার্টার থেকে গৃহকর্মী মৌসুমি আক্তারের (১৪) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রমনা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২ জুন) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম।
ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, 'গৃহকর্মী মৌসুমির সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। সুরতহালে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মেয়েটির একটু মানসিক সমস্যা ছিল বলে জানতে পেরেছি।' ওসি বলেন, 'নিহতের মরদেহ তার বোন ও নানি এসে নিয়ে গেছেন। মেয়েটির বাবা নেই। তিনি ১০ বছর আগে মারা গেছেন। তার মা অন্যত্র বিয়ে করে চলে গেছেন, যার কারণে মেয়েটির মায়ের ওপর ক্ষোভ ছিল।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত আইজিপির বাসা থেকে শিশু গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার
তিনি বলেন, মেয়ের নানির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাঁদের কোনো অভিযোগ নেই। তারা মরদেহ টাঙ্গাইলে নিয়ে গেছেন।' ওসি মনিরুল বলেন, 'মেয়েটি তিন বছর ধরে স্যারের বাসায় কাজ করে। মেয়েটির ছোট ভাইকেও স্যার নিয়ে এসে মাদ্রাসায় ভর্তি করে দিয়েছে। তার পড়ালেখার খরচ স্যার দিত। মেয়েটির একটি বড় বোন আছে, বিয়ে হয়েছে। সে স্বামীর সঙ্গে টাঙ্গাইল থাকে।'
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ সূত্রে জানা গেছে, নিহত গৃহকর্মী মৌসুমির মরদেহ হাসপাতাল থেকে রমনা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. ফজলুল গ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অতিরিক্ত আইজিপি আবু হাসান মুহম্মদ তারিকের রমনা অফিসার্স কোয়ার্টারের ১৪/এ নম্বর শিমুল ভবনের ১৩ তলা থেকে গৃহকর্মী মৌসুমির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় ছাদের বারান্দায় ফ্যানের হুকের সঙ্গে মৌসুমির মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। মরদেহ উদ্ধারের পর মৌসুমির মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমেনা খানম। তিনি সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, মৃত মৌসুমির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে গলায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির একটি দাগ আছে।
কেএম/এএজেড
