ওসি-এসআই পরিচয়ে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ৪

চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতি চক্রের মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব)। এসময় বিপুল পরিমাণ ভূয়া নিয়োগপত্র, জাল অফিস আদেশ ও সিল উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১ জুন) র্যাব-৩ এর সদর দপ্তর টিকাটুলিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। এর আগে মঙ্গলবার (৩১ মে) রাজধানীর মিরপুর ও মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. হেলাল উদ্দিন, মো. মফিজুল ইসলাম অরফে লেবু, মো. খন্দকার মারুফ ও মো. আব্দুল কাদের অরফে রাজু। এ অভিযানের সময় গুরুত্বপূর্ণ সিলমোহর ২৪টি, ভূয়া নিয়োগপত্র ১১ পাতা, নিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তিপত্র ৩ পাতা, মোবাইল ফোন ৮টি ও নগদ ২১ হাজার ৫০০ টাকা জব্দ করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মিরপুর ও মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেপ্তার মো. হেলাল উদ্দিন এ চক্রের মূলহোতা। তিনি কোথাও মোহাম্মদপুর থানার ওসি, কোথাও থানার এসআই হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে আসছেন। চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন। বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।পরে প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের মাঝে ভাগাভাগি করে নিতেন।
এ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার মফিজুল ইসলাম লেবু ও আব্দুল কাদের রাজু দেশের বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষ করে লালমনিরহাট, বগুড়া, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে চাকরিপ্রার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের হেলালের কাছে নিয়ে আসতেন। বিভিন্ন সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ সিলমোহর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ভূয়া স্বাক্ষর সম্বলিত বিভিন্ন অফিস আদেশ এবং ভুয়া নিয়োগপত্র খামে বন্দি করে ভুক্তভোগীদের হাতে ধরিয়ে দিতেন।
৫ বছর ধরে চক্রটি ৫০ জন চাকরিপ্রার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
কেএম/এসএন
