রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মোবাইল চোর চক্রের ১৮ সদস্য গ্রেপ্তার

র্যাব-৩ এর অভিযানে রাজধানীর শাহবাগ, যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ এলাকা হতে মোবাইল চোর চক্রের ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান চোরাই মোবাইল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (৩১ মে) র্যাব-৩ এর অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (স্টাফ অফিসার) বীণা রানী দাস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, সোমবার (৩১ মে) র্যাব-৩ এর দল রাজধানীর শাহবাগ, যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোবাইল চোরচক্রের সদস্য মো. আক্তার হোসেন খান, মো. লিটন, মো. দিদার, মো. মিজান, মো. রাশেদ ঢালি, মো. হাদিদ ইকবাল, মো. রতন মোল্লাওরফে সোহেল, মো. আব্দুসসালাম ওরফেকাল্লু, মোহাম্মদ আলী, মো. দ্বীনইসলাম, মো. খোকন, মো. মামুন, জয়নাল, মো. সুমন, মো. হরুন, মো. রনি সরদার, মো. আবুল বাসারকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
বীণা রানী দাস বলেন, র্যাব-৩ গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে যে, মোবাইল চোর সিন্ডিকেট চক্র ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ মোবাইল কেনা-বেচার বাণিজ্য নিয়ে তৎপর রয়েছে এবং এসব মোবাইল ফোন বিভিন্ন মার্কেটের সামনে ভাসমাণ দোকানে গোপনে বিক্রি করে আসছে। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন স্থান হতে চুরি এবং ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোনের ছিনতাইকারী চক্র সুকৌশলে নানা সিন্ডিকেট হোতার সাথে যোগসাজশে এসব চোরাই মুঠোফোন কেনা-বেচায় জড়িত রয়েছে।
তিনি বলেন, এ অভিযানের সময় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের নিকট হতে ট্যাব ৭ টি, টাচ মোবাইল ২৪২ টি, বাটন মোবাইল ৩৯০ টি, আইপ্যাড ১ টি, সীমকার্ড ২৪ টি এবং নগদ ৩৩,৯৫২/-টাকা উদ্ধার করা হয়।
বীণা রানী দাস আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা মূলত ছিনতাই/চোরাইকৃত মোবাইল ফোনসমূহ অল্প দামে ক্রয় করে সুযোগ বুঝে বেশি দামে বিক্রি করে। আসামিরা প্রত্যেকেই মুঠোফোন ছিনতাই ও চোর চক্রের সদস্য এবং চোরাই ও ছিনতাইকৃত মোবাইল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত।
আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
কেএম
