চোরাই মোবাইল বিক্রিকারীদেরও গ্রেপ্তার করা হবে

শুধু মোবাইল চোরকে নয়, চোরাই মোবাইল ফোন যারা বিক্রি করে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার। বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ১৫৮টি চোরাই ফোন উদ্ধার করে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার। সংবাদ সম্মেলনে ডিবি জানায়, রাজধানীর মোতালেব প্লাজা থেকে চুরি হওয়া মোবাইলটিসহ আরো ১৫৭ টি চোরাই মোবাইল, ১টি ল্যাপটপ ও ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগ।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, সম্প্রতি মোবাইল ফোন চুরি বা টান মেরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। পুলিশের কাছে যে ঘটনাগুলো আসে সেগুলো উদ্ধার করা হয় এবং আসামীদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন পর তারা জামিনে এসে আবারও একই কাজে লিপ্ত হয়। কারণ চোরাই মোবাইল বিক্রি করতে পেরে তারা এ কাজে উৎসাহ পায়। যারা চোরাই মোবাইল বিক্রি করবে তাদেরকেও প্রচলিত আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করা হবে।
হাফিজ আক্তার বলেন, চুরি হওয়া মোবাইলগুলো ৩টি হাত বদল হয়। প্রথমত যে চুরি করে সে মোবাইলভেদে ৪ থেকে ৮ হাজার টাকায় টেকনিশিয়ান বা কোন চোরাইফোন ক্রেতার কাছে বিক্রি করে দেয়। পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, টেকনিশিয়ান বা চোরাই ফোন ক্রেতা ফোনের পার্সওয়ার্ড বা ফাইন্ড ইউর ফোন এ অপশনটি চালু থাকলে তার ডিসপ্লে ও কেসিং উচ্চমূল্যে বিক্রি করে আর এসব অপশন চালু না থাকলে আইএমইআই পরিবর্তন করে আইফোনের ক্ষেত্রে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা ও অন্য ফোনগুলো ১৫-২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।
অল্প পয়সায় দামী ফোন কেনা-বেচার কথা উল্লেখ করে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোবাইল ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পুরাতন মোবাইল বিক্রির ক্ষেত্রে কোন আপত্তি নেই কিন্তু ব্যবসায়ীদের কাছে চোরাই মোবাইল থাকলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। যারা বিক্রি করে তারাও অপরাধী। বিক্রেতাদের এসব কাজ থেকে সরে আসার অনুরোধ করেন তিনি।
মোবাইল ফোন চুরি প্রতিরোধে জনসাধারণকে রাস্তাঘাটে চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্ক থেকে চলাচল করতে অনুরোধ করেন তিনি। এছাড়া রিকশা বা পাবলিক পরিবহনে চলাচলের সময় কথা বলার প্রয়োজন হলে গাড়ির ভিতরের দিকে মোবাইল রেখে কথা বলার পরামর্শ দেন ডিবির এই কর্মকর্তা।
কেএম/এএজেড
