নিউমার্কেটে সংঘর্ষের ঘটনায় তিন মামলায় আসামি ১৪১৪

নিউমার্কেটে দোকান মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৪০০ জনকে আসামি করে তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশের দায়ের করা একটি মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে বিএনপির স্থানীয় এক নেতাকে। এ ছাড়াও মামলায় বিএনপির আরও কয়েকজনের নাম রয়েছে।
এ ঘটনায় তিনটি মামলার মধ্যে দুই মামলার বাদী পুলিশ এবং অপর মামলার বাদী নিহত নাহিদের চাচা।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স. ম. কাইয়ুম।
ওসি স. ম. কাইয়ুম বলেন, পুলিশের কাজে বাধা, পুলিশকে আক্রমণ ও ভাংচুরের অপরাধে দায়ের করা মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন—নিউমার্কেট থানা বিএনপির সভাপতি মকবুল হোসেন, ব্যবসায়ী ও নিউমার্কেট থানা যুবদলের আহ্বায়ক আমির হোসেন আলমগীর, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মিজান, দোকান মালিক ও চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার রায়শ্রীর ইউনিয়নের বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়া উদ্দিন টিপু, হাজী জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম শন্টু, শহিদুল ইসলাম শহিদ, জাপানি ফারুক, মিজান বেপারী, আসিফ, রহমত, সুমন, জসিম, বিল্লাল, হারুন, তোহা, মনির, বাচ্চু, জুলহাস, মিঠু, মিন্টু ও বাবুল।
ওসি আরও বলেন, পুলিশের এ মামলায় নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও কর্মচারী ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়াও আসামি করা হয়েছে ঢাকা কলেজের ৬০০ থেকে ৭০০ অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীদের। মামলাগুলো থানা পুলিশের পাশাপাশি অন্য সংস্থার সদস্যরাও তদন্ত করছে।
সংঘর্ষের সময় বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার হওয়ায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা আরেকটি মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
দুটি মামলার বাদী নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান ও পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়ামিন কবির।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাত ১১টার দিকে কথাকাটাকাটির জেরে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে থেমে থেমে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষে বহু মানুষ আহত হন। যার মধ্যে দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
কেএম/এসএন
