চাকরি দেওয়ার কথা বলে অপহরণ, গ্রেপ্তার ৪

রাজধানীর পল্টন এলাকা হতে অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪।
গ্রেপ্তারদের নাম- আরিফুল ইসলাম মাসুম (৪৪), মো. রেফাজুল ইসলাম লিংকন (২৭), মো. মতিয়ার রহমান (৫০), মো. মজিবর রহমান (৫২)।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) র্যাব-৪ এর অধিনায়ক, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার ১৩ (এপ্রিল) রাজধানীর পল্টন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও ৪ জন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, গত (১২ এপ্রিল) ভুক্তভোগীর বাবা র্যাব-৪ এর নিকট লিখিতভাবে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সে অভিযোগে জানায়, কিছু দুষ্কৃতিকারী লোক তার ছেলে মো. আনোয়ারুল ইসলামকে (২২) নগদ ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে ভালো বেতনে সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকা এনে অপহরণ করেছে।
ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক আরও বলেন, এ চক্রের সদস্য মো. মতিয়ার রহমান ভুক্তভোগীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা বলে ঢাকায় নিয়ে আসেন। পরে ভুক্তভোগীর বাবা তার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পায়। অপহরণের দিন বেলা ৩টার দিকে ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে তার বাবা আরিফুল ইসলামকে জানায়, তার ছেলে তাদের (অপহরণকারীদের) কাছে আছে এবং তাকে ফেরত পেতে হলে প্রাথমিকভাবে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। অন্যথায় তারা তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে এবং তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ অন্যত্র বিক্রি করে দেবে।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা একে অপরের পূর্ব পরিচিত। তারা পরস্পর যোগসাজশে প্রথমে দেশের বিভিন্ন এলাকার শিক্ষিত বেকার যুব সমাজকে টার্গেট করে তাদের সঙ্গে কৌশলে সখ্যতা তৈরি করে এবং ভুক্তভোগীদের নগদ অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখায়। এতে অনেক চাকরি প্রত্যাশী বেকার লোকজন তাদের কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাদের দেওয়া প্রস্তাবে রাজী হয়। তখন আসামিরা সুকৌশলে নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগীদের তাদের সুবিধাজনক স্থানে আসতে বলে। নিয়োগপত্র পাওয়ার আশায় ভুক্তভোগীরা সেখানে গেলে আসামিরা তাদের আটকে রেখে মারধর করাসহ বিভিন্ন অমানবিক নির্যাতন চালায় এবং তাদের পরিবারের নিকট মোবাইল করে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
কেএম/টিটি
