জামানের বিরুদ্ধে ১২ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান সেজে প্রতারণার অভিযোগ

জিয়া উদ্দীন ওরফে জামান নিজেকে ১২টি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে দাবি করতেন। বিভিন্ন দেশে তার বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে বলে ভুয়া প্রচারণা চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতেন। এসব ব্যবসায় অংশীদার বানানোর লোভ দেখিয়ে তিনি শতাধিক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে প্রায় ১৭০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
প্রতারণার এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার (১১ এপ্রিল) রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১ এর অভিযানে রাজধানীর উত্তরা থেকে মো. জিয়াউদ্দিন ওরফে জামানকে (৫৫) গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানের সময় বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৭টি চেক বই, ৬ বোতল বিদেশি মদ, ৯৯ হাজার টাকার জালনোট, ৬ হাজার জাল ইউএস ডলার, প্রতারণামূলক কার্যকলাপের জন্য ফোসান সিরামিক প্ল্যান্ট এবং জিয়া টাওয়ারের কাঠামোগত ভবিষ্যত পরিকল্পনা, ওমানে অর্থ পাচারের তথ্যাদি, প্রতারণামূলক কার্যকলাপের জন্য 'জাপানে তৈরি' স্টিকার, ৫ ধরনের আইডি এবং বিজনেস কার্ড, নগদ ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং ২০০ কোটি টাকা নেয়ার ভবিষ্যত পরিকল্পনা সংক্রান্ত নথিপত্র জব্দ করা হয়।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, জিয়া উদ্দিন ১২টি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বা এমডি হিসেবে দাবি করে থাকেন। সে নিজেকে জাহির করার লক্ষ্যে এ ধরনের তথ্য সম্বলিত ভিজিটিং কার্ড তৈরি করেছে। এ ছাড়াও তার অস্ট্রেলিয়া, চায়না, হংকং, ওমান ও দুবাই এ বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে বলে ভুয়া প্রচারণা চালায়। সে বিভিন্ন ব্যক্তিকে কৌশলে প্রলুব্ধ করে ব্যবসায়িক অংশীদার বানানোর নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে। এ ছাড়া প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে নানাভাবে প্রতারিত করার বিষয়ে জানা যায়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে জানায়, সে ২০১৪ সালে ফোসান সিরামিক লিমিটেড স্যানিটারি প্যাড, হাইলেডি স্যানিটারি ন্যাপকিনসহ বিভিন্ন পণ্যের আকর্ষনীয় টিভিসির মাধ্যমে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করেও প্রতারিত করত।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ব্যবসায়িক অংশীদার বানানোর লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন ভুক্তভোগীর কাছে কয়েক শতকোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। এইভাবে ব্যবাসায়িক অংশীদারের প্রস্তাব দিয়ে তিনি প্রায় শতাধিক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে প্রায় ১৭০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
কেএম/টিটি
