কেনার কথা বলে বাইক নিয়ে উধাও, পুলিশের হাতে ধরা

একটি বাইক বিক্রির জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেন এক ব্যক্তি। ঢাকার পল্লবী এলাকা থেকে বাইকটি কেনার জন্য একজন আসেন। ঠিকঠাক আছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য চালিয়ে দেখার কথা বলে বাইকটি নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
এরপর বাইকটি ফেরত দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েও তা ফেরত দেয়নি ওই প্রতারক। পরে ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন।
গ্রেপ্তার প্রতারকের নাম সামিউল ইসলাম। তার বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদীর চঙ্গভান্ডা গ্রামে।
সোমবার (১১ এপ্রিল) বিকালে সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের ই-ফ্রড টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার সুরঞ্জনা সাহা এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সহকারী পুলিশ কমিশনার সুরঞ্জনা সাহা বলেন, একজন ভিকটিম তার আরওয়ানফাইভএম (R15M) বাইক বিক্রির জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেন। বাইকটি কেনার জন্য একজন তারসঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে বাইক দেখার জন্য আগের পরিকল্পনামতে তারা ঢাকার পল্লবী এলাকায় মিলিত হন এবং বাইক টেস্ট ড্রাইভ দেওয়ার কথা বলে বাইক নিয়ে পালিয়ে যান প্রতারক সামিউল।
তিনি বলেন, বাইক নেওয়ার পরও প্রতারক চক্র ভিকটিমকে বাইক ফেরত দেওয়ার কথা বলে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ভয়েস পরিবর্তন করে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। ভিকটিম তার কথায় বিশ্বাস না করলে বিশ্বাস স্থাপনের জন্য ইমোতে বাইকের ছবি ও ভিডিও পাঠান। ভিকটিম ৭ হাজার টাকা নগদের মাধ্যমে দিলেও বাইক ফেরত দেওয়া হয় না।
সাইবার পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির পল্লবী থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটি সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ই-ফ্রড টিমকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে বিশেষ প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিকে হাজারীবাগ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় আরওয়ানফাইভএম (YAMAHA R15M) বাইকটি। যার মূল্য ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ফেক ফেসবুক আইডিসহ ভিভাইসটি হেফাজতে নেওয়া হয়।
কেএম/আরএ/
