যুবলীগ নেতা মিল্কি হত্যার বদলা নিতেই টিপুকে খুন: র্যাব

আট বছর আগে যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কি হত্যার প্রতিশোধ নিতেই রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে এ বিষয়ে বিভন্ন তথ্য দেয় সংস্থাটি। র্যাব জানায়, তারা তদন্তে পেয়েছে খুনিরা ৮ বছরের ক্ষোভ জমিয়ে রেখে মিল্কি হত্যার বদলা নিতেই টিপুকে খুন করে।
র্যাব জানায়, মাত্র ১৫ লাখ টাকার চুক্তিতে টিপুকে হত্যা করে গ্রেপ্তাকৃত খুনিরা। র্যাব বলছে, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বেশ কিছু লোক জড়িত রয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আরও ভালো কিছু তথ্য বের হতে পারে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। তবে, সেগুলো তদন্তের স্বার্থে বলা যাচ্ছে না।
এই হত্যাকাণ্ডে মতিঝিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও জড়িত। টিপু হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ২০১৩ সালে রাজধানীর গুলশান শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে মিল্কি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা মিল্কির সহযোগী ছিল। এ ঘটনার সঙ্গে টিপু জড়িত ছিলো বলে গ্রেপ্তারকৃতরা সন্দেহ করত। তখন মিল্কি হত্যায় যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল সেখানে এজাহারভুক্ত আসামি ছিল টিপু। কিন্তু বিচারিক কার্যক্রমে তার (টিপু) নাম বাদ পড়ে। যা গ্রেপ্তারকৃতদের মনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভিকটিম ও হত্যার পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে বিরোধ ছিল। মতিঝিল এলাকার চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, স্কুল-কলেজের ভর্তি বাণিজ্য, বাজার নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার নিয়েও তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছিল। আর এসব দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করেই টিপুকে হত্যা করা হয়।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, রাজধানীর মুগদা, শাহজাহানপুর ও মিরপুরে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যায় জড়িত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, নাছির উদ্দিন ওরফে কিলার নাছির ও মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে হত্যার সময় ব্যবহৃত মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছে র্যাব। হত্যাকাণ্ড দেশে হলেও কলকাঠি নাড়াচাড়া হয়েছে দুবাইয়ে। টিপু হত্যায় আন্ডারওয়ার্ল্ড সন্ত্রাসীদের নামও বেরিয়ে আসছে বলে জানায় র্যাব।
গ্রেপ্তাকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
কেএম/এমএমএ/
