সচিবালয় ঘেরাও করলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
সচিবালয় ঘেরাও করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেনাবাহিনীকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করেছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল বের করে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন। অনশনে অংশগ্রহণকারী অসুস্থ শিক্ষার্থীরা রিকশায় করে সচিবালয়ে পৌঁছান। এসময় তাদের মধ্যে কয়েকজন স্যালাইন নিয়ে ছিলেন।
এর আগে, বিকেল ৪টায় শিক্ষার্থীরা সেনাবাহিনীকে কাজ হস্তান্তরসহ তিনটি দাবির জন্য এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। আল্টিমেটামের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা সচিবালয় অভিমুখে রওনা দেন।
দুপুর ১.৩০টায় অনশনরত শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, যদি মন্ত্রণালয় ও সেনা কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন না, তবে তারা সচিবালয় ঘেরাও করবেন। দুপুর ২টায় সেনাবাহিনীকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর নিয়ে সচিবালয় থেকে একটি চিঠি জারি করা হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন জানিয়েছেন, আগামী বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি, এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এবং দাবি পূরণের রূপরেখা নির্ধারিত হবে।
তবে, শিক্ষার্থীরা মন্ত্রণালয়ের চিঠি সংশোধনের প্রস্তাব দেন এবং তাদের আল্টিমেটাম অনুযায়ী লিখিতভাবে দাবি মেনে নেওয়ার অঙ্গীকার না করলে অনশন ভাঙবেন না এবং বিকেল ৪টায় সচিবালয় অভিমুখে গণপদযাত্রা করবেন। দাবি পূরণের নিশ্চয়তা না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিকেল ৪টায় সচিবালয়ের দিকে রওনা দেন।
রোববার থেকে শুরু হওয়া তিন দফা আন্দোলনের মধ্যে শিক্ষার্থীরা অনশন করছেন। তাদের প্রধান দাবিগুলো হচ্ছে— সেনাবাহিনীকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর, শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা, এবং অস্থায়ী আবাসন না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ৭০% শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা প্রদান।
অনশনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৫-২০ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ করে শাটডাউন কর্মসূচি পালন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।